বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন, নিশ্চয়ই পরম করুনাময়ের অশেষ করুনায় ভাল আছেন, শিতের দিনে সবাইকে আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আমার নতুন পোস্ট শুরু করলাম, আমি কারো পোস্ট কপি পেস্ট এ বিশ্বাসী নই,আমার মনে যেটা আসে সেইটা লিখে সবার মনোরঞ্জন করার চেষ্টা করি, তাতে যদি টাকা নাও পাই তাতে কিছু যাই আসে না, শুধু চাই আমার লেখাটি পোস্ট হোক , তাতেই আমি সন্তুষ্ট, তবে আমার লেখা সার্থক হবে । আজকে আমি আপনাদের সামনে একটা নতুন গল্প নিয়ে হাজির হলাম। গল্পটি হল এই শিতের প্রেমের গল্প,আমার গল্পের নায়িকার নাম জারা,নায়ক হল আবির,
আবির বরাবরই ভাল ছেলে, সে গ্রামের সাধারন ঘরের সন্তান, সে সকলের উপকার করে,গ্রামের সবাই তাকে অনেক স্নেহ করে,ছাত্র হিসাবে সে অনেক ভালো । বাবা নেই মাকে নিয়ে তাঁর জীবন কেটেছে , বাড়িতে বাড়িতে টিউশনি করে কেটে যায় তার জীবন । আবির তার গ্রামের বড় লোকের বাড়িতে টিউশনি করতে যেত, একটা ছাত্র পড়াত,
বেতনও ভাল পেত, সাথে নাস্তা পেত, সেই ছাত্রর বোনের নাম জারা, সে তাকে আবির ভাইয়া বলে ডাকতো, পড়াতে পড়াতে এবং বাড়িতে যাতায়াত এর সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেম হয়ে যায় । এদিকে আবির ঢাকায় পড়তে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়,তারা একে অপরকে দেখতে না পারলে দিন কাটত না, নানা অজুহাতে আবির জারাদের বাড়িতে আসত, এভাবে তাদের দিন কেটে যেত, একদিন তাদের সম্পরকের কথা সবাই জেনে গেল, জারার বাবা আবির গরিব ছোটলোক বলে গালিগালাছ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।তারা দুইজন এখন দুই ভুবনের বাসিন্দা ,জারা বাড়ি থেকে পালিয়ে আবিরের কাছে আসে, কিন্তু আবীর জারাকে ফিরিয়ে দেয়, কষ্টে জারা বাড়িতে চলে আসে , এদিকে আবীর তার মনকে সান্ত্বনা দিয়ে কষ্ট বুকে নিয়ে পড়াশোনাো করার জন্য বাড়ি থেকে চলে আসে, এদিকে জারার অন্য যায়গায় বিয়ে ঠিক হয়।
আবিরকে ফোনে কল দেয় কিন্তু পায় না, তার অবশেষে জারা বিয়ে করে ফেলে, তার ৫ বছর পর আবীর বাড়িতে ফিরে আসে, সে এখন ভালো চাকরী করে , জারাদের বাড়িতে যায় দেখে জারার বিয়ে হয়ে গেছে, তারপর আবীর বাড়িতে ফিরে আসে , তার মা মেয়ে দেখে বিয়ে করতে বলে , কিন্তু আবীর বলে না আমি কোনোদিন বিয়ে করবো না,
আবীর আবার ঢাকায় ফিরে যায়, এভাবে আবীর জারার জন্য সারা জীবন বিয়ে না করে কাটিয়ে দেয়, তারপর থেকে আবীর আর বাড়িতে ফেরেণী,কোথায় নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে তার খবর আর পাওয়া যায় নি, এখানে আবিরের জীবনের শেষ হয় ।
গল্পটি কেমন হল কমেন্ট করতে ভুলবেন না । পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।