একাকীত্ব দূর্বলতা নয় বরং যোগ্যতা। যারা একা থাকতে পারে না, একাকীত্ব ঘিরে যাদের বিষন্নতা সৃষ্টি করে, কথা, কাজ, মৌন চেতনা , আবেগ, অনুভূতি ইত্যাদি মরা কাষ্ঠের ন্যায় মুষড়ে পড়ে তাদের জন্য একা থাকতে পারাটাই জীবনে বড় একটা সুযোগ । মানুষ একা থাকতে না পারার দরুন নিজেকে স্বচ্ছন্দে রাখার জন্য যেসব আবশ্যকীয় প্রয়োজনীয়তা মিটাতে সঙ্গ ও সঙ্গিনী শূন্যতা পূর্ণ করে থাকে, সে সব অত্যাবশ্যকীয়তা যখন তার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বা বিপরীত দিকে ধাবিত হয়
তখনই সে একাকীত্ব উপলব্ধি করে থাকে।
কেউ একাকীত্বকে সাদরে বরণ করে নেয়, কেউ নিজেকে চরমভাবে শাস্তি যোগ্য বলে মনে করে এবং একাকীত্বের এ শূন্যতায় দূঃসহনীয় পাহাড় পাহাড় গড়ে, কেউ বা আবার স্বভাবতই সবার থেকে একটু ভিন্ন। তাঁরা একাকীত্বকে জীবনের শ্রেষ্ঠ অবলম্বন মনে করে নিজেকে আবিস্কার করেন। জগৎ জীবন ও জ্ঞানের প্রতি অনুরাগী মানুষ অন্য সবের মত স্বাধীন হলেও সে কখনো বৈচিত্র্যময় একাকীত্বের পরম রহস্যময়তার অধীন থেকে দুর্বার ঝড় বাতাসের মত মুক্ত নয়। একা থাকার এ স্বাধীন সুযোগ তাকে নিজেকে চেনা, জানা, আবিস্কার করা এবং পরম আত্মসংযম, আত্মশুদ্ধিতা, সৃজনশীল কর্ম-তৎপরতার এমন এক পাঠশালা তৈরী করে দিয়েছে, যে শত ইচ্ছা থাকলে ও এ পাঠশালা থেকে তাঁর ছুটি নেয়ার কোন সুযোগ নেই।
পৃথিবীতে যারাই মহান ও মহৎ বড় ব্যক্তিত্বের অধিকারী তাদের জীবনকে পর্যালোচনা করলে প্রশ্ন জাগে যে, তাঁরা কখন ঘুমাতেন। কখন কিভাবেই বা জঙ্গলাকৃতির এ পৃথিবী আবাদ করে যুগান্তকারী অভাবনীয় আবিস্কারের মাঝে নিজেকে রেখে গেলেন? নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, তাদের জীবনে শান্তির ঘুম , কারো বিরক্তির কারণ, প্রতিহিংসার কারণ, রাগ অভিমানের কারণ, জবাবদিহিতার কারণ, এবং কারো গতি পথে আঘাত বা ব্যাঘাত সৃষ্টির কারণ হয়েছেন এমন নেই।
তবে একাকীত্বের বদান্যতায় সকলেই যে সমান মহিমা অর্জন করতে সক্ষম হবেন এমনটা নয়, তবে কম বেশি ব্যস্ততার অবসাদ কিবা কাজের মধ্যে ইমেজিং ফিরিয়ে আনার জন্য কখনো একা থাকার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। আর একাও সত্য যে, দূর্বলতা আর ব্যর্থতার মাঝে থেকেও যদি সঠিক যোগ্যতা অর্জন করা যায় তবে বড়দের মতো করেই মহৎ ও বড় হওয়া যায়। আর এজন্যই “একা থাকাটা কোনো দূর্বলতা নয়, একা থাকতে পারাটা একটা যোগ্যতা কারণ সবাই একা থাকতে পারে না।”
কবিতা :
যে সুখে ভালোবাসি
মুহা. কবির হোসেন
বসন্তের ভরা যৌবনের হাসি
গোলাপের ঠোঁটে ভাসা ,
শোভিত করে হৃদয় অবিনাশী
বুঝি সে ভালোবাসা।
অনুভূতি খুঁজি সৌরভ মাতি
সরোবরে অশ্রু জল,
প্রতিশ্রুতি আজি গৌরব জ্যোতি
খুঁজে ফিরি সম্বল।
জাদুকরী রঙে রঙিন শ্রী
মোহিনী পরশে হাসি,
মনের অঙ্গে গহীন কীর্তি
সে হরষে ভালোবাসি।
চোখের পাতায় ছিল ঝলমল
দেখেনি হাসিতে জল,
রূপের রঙে জল টলমল
এখন দেখি সে সম্বল।
আটকে রেখে চোখের ও জল
ফুটিয়ে মুখে হাসি ,
আজও আমার সেটুকু সম্বল
যে সুখে ভালোবাসি।
হিত কথা :
সন্দেহ সংসার ভাঙ্গে , সুখ কেড়ে দেয় দুঃখ , সন্দেহের নেই ধর্মগুণ এড়িয়ে চলাই তাই হবে সুখ।