মানুষ সেতো বড়ই আজব। দুই চাকার সাইকেল।
সৃষ্টিকর্তার তৈরি সেরা জীব মানুষ।স্রষ্টার সৃষ্টিকূলে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে তারা। মানুষ হয়তো জিরাফের মতো দ্রুতগামী নয়, অথবা হাতির মতো এতো শক্তিশালী ও ভার বহনে সক্ষম নয়।হতে পারে মানুষ উদ্ভিদের মতো নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না। উদ্ভিদের উপরই নির্ভরশীল থাকতে হয় তাকে।মানুষ পারে না মহাসাগর বানাতে, পারে না বিশাল আরেকটি আকাশ বানাতে। কিন্তু মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হওয়ার পিছনে কারন হলো তাদের রয়েছে বিবেক ও বুদ্ধিমমত্তা। মানুষ রকেটের মতো এতো গতিশীল নয় কিন্তু মানুষের চিন্তাধারা রকেটের চেয়েও গতিশীল। মানুষ মহাসাগর তৈরি করতে পারে না কিন্তু মহাসাগরে তলদেশেরও হাজার হাজার ফিট নিচে কি আছে তাও কল্পনা করতে পারে।
যেই অনু – পরমাণু দিয়ে প্রতিটি পদার্থ গঠিত তা হয়তো খালি চোখে দেখা সম্ভব নয় কিন্তু সেই পরমানু ও যে প্রোটন, ইলেকট্রন ও নিউট্রন দিয়ে গঠিত তাও প্রমান করে নিয়েছে এই মানুষ। মহাসমুদ্রের নিচে বসবাসরত কোটি কোটি প্রজাতির জীবের জীবন বিন্যাসও মানুষের অজানা নয়।
পৃথিবীর গন্ডি পেরিয়ে এই মানুষ পারি জমিয়েছে মহাকাশ গবেষনায়। পৌছে গেছে চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে। দ্রুতগামী যান রকেটও এই মানুষের তৈরি।মানুষ তৈরি করেছে কম্পিউটার, মোবাইল এর মতো আশ্চর্য সব ইলেকট্রনিক ডিভাইস। বড় বড় ইমারত, দালানকোঠা, সাগরের তলদেশে গাড়ি চলাচল, পাহাড়ের ভিতর দিয়ে রেললাইন, ইত্যাদি অনেক অসাধ্য সাধন করেছে মানুষ।
আদিমকাল থেকেই ধারাবাহিক পরিবর্তনের মাধ্যমে তারা গড়ে তুলেছে আজকের মডার্ণ পৃথিবী। এই মানুষই আবার বিভিন্ন সময়ে অন্যান্য প্রানীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে, কখনো আবার নৃশংসতা দূরে ঠেলে দিয়ে প্রকৃতি ও অন্যান্য প্রানীদের অস্তিত্ব রক্ষায় সংগ্রাম করে। নিজেদের মধ্যে মারামারি, খুন ইত্যাদি কর্মযজ্ঞ চালানো মানুষগুলোই একসময় জাতিসংঘের মতো শান্তি মিশন গড়ে তুলেছে। নিজেদের জীবনের তাগিদে যুগ যুগ ধরে পরিবেশের ক্ষতি করা মানুষগুলোই কখনো কখনো সেভ দ্যা আর্থ অর্থ্যাৎ পৃথিবী বাঁচাও স্লোগানে ঐক্যবদ্ধ হয়।
আবার এই মানুষে মানুষে ও রয়েছে বিভিন্নতা। কেউ সুন্দর, কেউ কালো। কেউ লম্বা তো কেউ খাটো। কেউবা পশুর মতো নৃশংস কেউ আবার শান্ত। খাবার- দাবার, ঐতিহ্য- সংস্কৃতি, চিন্তা – চেতনা , আচার -ব্যাবহারেও তাদের ভিন্নতার কোনো শেষ নেই। অর্থাৎ এ যেনো এক অদ্ভুত কান্ড যার মূলে রয়েছে মানুষ নামের এক অদ্ভুত প্রানী।