বাংলাদেশে পোশাকশিল্পের পরেই ফার্মেসি শিল্পের অবদান। মোট চাহিদার ৯৭-৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। এ ছাড়া বিশ্বের ১৪০টি দেশে বাংলাদেশ ওষুধ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। ওষুধবিজ্ঞান এর আলোচ্য বিষয় হচ্ছে -ওষুধ বানানো, এর মান নির্ধারণ, ব্যবহার, বিতরণ, ও পরিবেশন করা।
প্রতিষ্ঠিত ও সম্মান জনক পেশার এক অন্যতম পেশা হচ্ছে ঔষধ পেশা।সমাজের মানুষকে সেবা দেওয়া ও পাাশাপাশি মুনাফা অর্জন করাই এ ব্যবসার উদ্দেশ্য।কিন্তু যে কেউ ইচ্ছে করলে এ ব্যবসা শুরু করতে পারে না।কারণ এ ব্যবসা শুরু করার পূর্বে কিছু নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়।ঔষধের ব্যবসা দু’ধরনের ।যথা-পাইকারি ব্যবসা ও খুঁচরা ব্যবসা।যে প্রকার ব্যবসায়ই আপনি করতে চান না কেন উভয় ক্ষেত্রে আপনাকে মানতে হবে কিছু নিয়ম-কানুন।থাকতে হবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট।অর্থাৎ একদিকে আপনার থাকতে হবে ঔষধ পেশায় যথেষ্ট জ্ঞান এবং অন্যদিকে থাকতে হবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট।তো আসুন জেনে নেই সেই ডকুমেন্ট গুলো কি কিঃ-
- প্রথমেই আপনার ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স
- দ্বিতীয়ত থাকতে হবে পৌর বা ইউনিয়ন পরিষধের লাইসেন্স
- ১৯৪০ সালের আইন অনুযায়ী এ্যালোপ্যাথিক,হোমিওপ্যাথিক,ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ব্যবসার জন্য অবশ্যই ড্রাগ লাইসেন্স থাকতে হবে।
- থাকতে হবে ফার্মাসিস্ট ট্রেনিং।অর্থাৎ ঔষধ সম্পর্কে আপনার থাকতে হবে যথেষ্ট জ্ঞান।যিনি ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মেসি, কমিউনিটি ফার্মেসি, অনলাইন ফার্মেসি, ভেটেরিনারি ফার্মেসি প্রভৃতি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখেন,তিনিই হলেন ফার্মাসিস্ট।তবে ঔষধ বিক্রির জন্য আপনাকে ’সি’ ক্যাটাগরির ফার্মাসিস্ট হতে হবে।
- ঔষধ বিক্রি করার অধিকার তারই আছে যার ঔষধ সম্পকে জ্ঞান রয়েছে।তার মানে যে কেউ ইচ্ছে করলেই এ ব্যবসা শুরু করতে পারবে না।
- আপনি এল.এম.এ.এফ ও আর.এম.পি, ডিিএম.এস ইত্যাদি কোর্স করে থাকলেও কোন ঔধন ব্যবসা করতে পারবেন না যদি না আপনার থাকে ফার্মাসিস্ট এবং ড্রাগলাইসেন্স।
তাই আসুন ফার্মেসী ব্যবসা করে মানুষকে সেবা দেওয়ার পাশাপাশি মুনাফা অর্জনে ।উৎসাহিত হই।তবে মনে রাখবেন বেশি লাভের আশায় অন্য কারও অপকার যাতে না হয় সেদিকেও নজর রাখবেন।