অনেক সময় কি হয় অচেনা কারো সাথে কথা বলার সময় আমাদের মাথা পুরো ব্ল্যাংক হয়ে যায় হায় হ্যালো বলার পরেই তারপরে কি বলবো কিছুই মাথায় আসতে চায় না। ফলে একটা ওকোর্ট সাইলেন্স ফেস করতে হয়।কিন্তু আজকের এই লিখাটি পড়ার পরে আপনাকে আর কখনো ভাবতে হবেনা যে কোন ব্যাথা অচেনা ব্যক্তির সাথে কিভাবে কথা বলা শুরু করবেন অথবা কিভাবে কথা চালিয়ে যাবেন। ফলে আর কখন সেই ব্যতিব্যস্ত সিচুয়েশন এর মধ্যে আপনাকে করতে হবে না। কারণ আজকে আমি step-by-step এক্সাম্পল এর সাহায্যে আপনাদেরকে বলবো যে কিভাবে কারো সাথে চালাকি করে কথা চালিয়ে যেতে হয়। টোটাল 5 টি স্টেপ রয়েছে এবং 5 নম্বর স্টেপ টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি যদি আপনার কমিউনিকেশন স্কিল থেকে নেক্সট লেভেল নিয়ে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আজকে র এই লিখাটি পড়তে হবে।অচেনা কারো সাথে কথা বলার সময় সব থেকে আগে যে কথাটি মাথায় আসে যে সামনে জন আমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক কিনা। তো প্রথম বাধাকে অতিক্রম করতে আপনাকে সাহায্য করবে আই কন্টাক্ট। সামনের মানুষটির সাথে কোন কথা শুরু করার আগে তার দিকে 2-3 সেকেন্ড তাকিয়ে থাকুন। যদি সে আপনার দিকে তাকিয়ে দুই তিন সেকেন্ড পরে দৃষ্টি সরায় তাহলে বুঝতে হবে যে সে আপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক।আর যদি আপনি তাকিয়ে আছেন দেখে সে আপনার দিকে খুব বিরক্তিকর দৃষ্টিতে তাকায় এবং সাথে সাথেই দৃষ্টি সরিয়ে নেয় তাহলে বুঝতে হবে সে আপনার সাথে কথা বলার জন্য মোটেও ইন্টারেস্টেড না। তাকে ছেড়ে অন্য কারো সাথে কথা বলার জন্য ট্রাই করুন।
এবার লক্ষ্য করুন তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এর দিকে যদি সে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকে অথবা কানে হেডফোন লাগিয়ে বসে থাকে অথবা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকে তাহলে এটা ইঙ্গিত করে যে সে কথা বলতে ইন্টারেস্টেড না ।কিন্তু সেই অচেনা ব্যক্তিটি যদি হাত পা ছড়িয়ে রিলাক্স হবে বসে থাকেন এবং এদিক ওদিক তাকাতে থাকেন তাহলে এটি ইঙ্গিত করে যে তিনি বোর হচ্ছেন এবং তার সাথে কথা বললে বরং তিনি খুশি হবেন।
আই কন্টাক্ট এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এরপরে যখন আপনি বুঝে গেলেন যে ব্যক্তিটি আপনার সাথে কথা বলতে ইন্টারেস্টেড তখন আপনি একটি হালকা হাসি দিয়ে আপনারা বর্তমানে যে সিচুয়েশনে আছেন সে বিষয়ে কথা বলা শুরু করতে পারেন।মনে রাখবেন কোন পার্সোনাল কোশ্চেন অথবা কোন ডিপ ইনকোয়ারি দিয়ে কারো সাথে কথা বলা শুরু করা একদমই উচিত নয় বিশেষ করে অচেনা কারো সাথে কথা বলা। এত হয়তো আপনাকে সাইকো পাবলিক ভেবে তিনি ডিফেন্সিভ মুডে চলে আসবেন এব আপনার সাথে ফ্রেন্ডলি কথা বলা তো দূরে থাক ভালোভাবে কথা বলতে চাইবে না ।
এরপরে আপনার নেক্সট কাজ হল আপনার নিজের ব্যাপারে কোন কথা সামনের জন্য সাথে শেয়ার করা এতে করে সামনের জন আপনার সাথে আর একটু কমফর্টেবল হয়ে উঠবে।আপনি নিজের ব্যাপারে কিছু না বলে যদি সরাসরি সামনের জনকে তার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতে থাকেন তাহলে সামনের জন অনেকটাই আনকম্ফোর্টেবল হয়ে পড়বে। অনেকেই এই কাজটা করে কিন্তু এটা করা একদমই ঠিক না এতে সামনের জন বিরক্ত বোধ করে এবং ডিফেন্সিভ মুডে ও চলে আসে।
এরপরেও যদি সামনের জন কথা বলতে ইন্টারেস্ট না দেখায় তাহলে আপনার বুঝতে হবে যে আপনি আই কন্টাক্ট এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজ পড়তে কথা একটু ভুল করেছেন। এতে করে হালকা করে চুপ মেরে যাওয়াই ভালো তাকে বেশি খুঁচিয়ে লাভ নেই। কিন্তু সামনের যন্ত্রটি কথা বলতে ইন্টারেস্ট দেখায় এর পর আপনিও কথা চালিয়ে যেতে পারবেন। আজকের মত এটুকুই ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
বাস্তবতা নিয়ে লেখালেখি। পর্ব ১: বাস্তবতা কঠিন নয়।
বাস্তবতা মানে এই জগৎ সংসার যাকে ধরা যায়। কথাটা শুনেই হয়তো মনে হলো কি বাংলা সাহিত্যিকের মতো বক বক করছি।...