কম্পিউটারের হার্ডওয়ার হচ্ছে নিষ্প্রাণ দেহের মত । নিষ্প্রাণ দেহ বিশালকার হলেত্ত মৃত। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের প্রাণশক্তি হচ্ছে সফটওয়্যার। সফটওয়্যার ছাড়া হার্ডওয়ার অচল । সফটওয়্যার প্রধানত দুই প্রকার । যথা পূর্ব লিখিত সফটওয়্যার এবং বিশেষ প্রয়োজনে তৈরি করে নেয়া সফটওয়্যার । পূর্ব লিখিত সফটওয়্যার দুই প্রকার যেমন এপ্লিকেশন প্রোগ্রাম এবং সিস্টেম সফটওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেম। বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ব্যবহারকারীদের সাধারণ চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন করে এবং বাজারজাত করে। কিন্তু বাজারে প্রাপ্ত পূর্ব লিখিত সফটওয়্যারের সাহায্যে যদি কোন ব্যবহারকারীর চাহিদা পুরোপুরি মেটাতে সম্ভব না হয়, তাহলে ব্যবহারকারীর নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যার তৈরী করে নিতে হয় । এই বিশেষভাবে তৈরি করে সফটওয়্যার নেওয়া সফটওয়্যারকে কাস্টমাইজড সফটওয়্যার বলা হয়। শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পদ্ধতিতে হিসাব নিকাশ তথ্য ব্যবস্থা অন্যান্য কাজের জন্য অনেক সময় বিশেষ সফটওয়্যার তৈরি করে নেওয়ার প্রয়োজন হয় ।
এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম (Application Program) : এ্যাপ্লিকেশন প্রােগ্রাম বা ব্যবহারিক কর্মসূচি হচ্ছে কাজ করার হাতিয়ার বা অবলম্বন। যেমন – লেখার জন্য কলম বা বলপেন, ছবি আঁকার জন্য তুলি,
নক্সা করার জন্য কাটা-কম্পাস, স্কেল, পেন্সিল ইত্যাদি অপরিহার্য উপকরণ বা অবলম্বন । এর একটি দিয়ে অন্যটির কাজ চলে না । প্রত্যেকটির কাজের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন উপকরন ব্যবহার করতে হয়। ঠিক তেমনি ভাবে কম্পিউটারের সাহায্যে একেক ধরনের কাজের জন্য একেক ধরনের উপকরণ/অবলম্বন বা কর্মসূচীর প্রয়ােজন হয়।
অপারেটিং সিস্টেম (Operating System) : অপারেটিং সিস্টেমকে সিস্টেম সফ্টরয়্যার হিসাবেও অভিহিত করা হয় । অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া কম্পিউটার চলতে পারে না। কম্পিউটারের অভ্যন্তরীন কাজগুলাে পরিচালনা করে অপারেটিং সিস্টেম। অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং এ্যাপ্লিকেশন প্রােগ্রামের মাঝখানে অবস্থান করে। হার্ডওয়্যারকে দিয়ে এ্যাপ্লিকেশন প্রােগ্রামের কাজগুলাে করিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন করে । অপারেটিং সিষ্টেমের প্রধান কাজঃ
১. অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারকে সচল ও ব্যবহার উপযােগী করে ।
২. ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইজগুলির যেমনঃ প্রিন্টার, হার্ডডিস্ক, ড্রাইভ, মনিটর ও কী- বাের্ড ইত্যাদির নিয়ন্ত্রন, ক্রটি ও অবস্থা পর্যবেক্ষন এবং সমন্বয় সাধন করে ।
৩. ব্যবহারকারীর সাথে বিভিন্ন সফটয়্যারের সংযােগ সমন্বয় সাধন, পরিচালনায় ও সফটওয়্যার গুলির নিয়ন্ত্রন ও বিভিন্ন প্রােগ্রাম লােড করা ও কাজ করার সুযােগ সৃষ্টি করে। নির্দেশ গ্রহনে সহায়তা প্রদান করে ।
৪. ব্যবহারকারীর নির্দেশ গ্রহন, বিশ্লেষণ ও ব্যাচ প্রসেসিং করা।