এখন এই করোনাকালীন সময়ে সব বাসায় শিশুদের খাঁচায় থাকা পাখিদের মতো অবস্থা। এর থেকে মুক্তি কত দিনে আসবে তা আমরা কেউ জানিনা। তবে এখন আমাদেরকে এর সাথেই খাপ খাওয়াতে হবে। এরজন্য সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে ঘরের শিশুদের প্রতি। তাদের শিক্ষা ও মানসিক উন্নতির দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে মা-বাবার।
আজকাল অনেক শিশু ঘরে থাকতে থাকতে বিভিন্ন ধরনের মানমসিক সমসায় পড়ছে।আমাদের ঘরের শিশুদের মানসিক চাপ মুক্ত রাখতে ও তাদের জন্য বাসার ভিতরে আনন্দময় পরিবেশ তৈরির জন্য আমরা কয়েকটি কর্মপরিকল্পনা নিতে পারি, যেমন:
- বাসায় বিভিন্ন ধরনের বোর্ড গেইম খেলার ব্যবস্থা করা যেতে পারে যেমন লুডু, দাবা, কেরাম বোর্ড, শব্দ তৈরির খেলা ইত্যাদি।
- বাচ্চাদেরকে তাদের বয়স অনুযায়ী গৃহের বিভিন্ন কাজের ভার দিয়ে দেওয়া যেতে পারে। যেমন, তাদের ঘরের বিছানার চাদর ঠিক করা, নিজের পড়ার টেবিল ও খেলনা গুছিয়ে রাখা এছাড়াও তাদেরকে রান্নাবান্নার কাজে মাকে সাহায্য করতে উৎসহ দিতে পারেন। এতে করে তারা শিশু বয়স থেকেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। কাজের মাঝে থাকলে সময়ও ভালো কাটবে।
- তাদের নিজেদের যেসব কাজ ভালো লাগে তা করতে উৎসাহ দিতে পারেন, যেমন ছবি আঁকা, গান নাচ, আবৃত্তি ইত্যাদি । এসব করতে পারলে তারা প্রফুল্ল থাকবে।
- তাদের যদি কোন ভালো শখের কাজ থাকে তাদের কে তা করতে দিন। যেমন ভিডিও এডিটিং, লেখা লেখি করা, বেকিং করা ইত্যাদি।
- এখন বেশির ভাগ বাচ্চাদের online ক্লাস হচ্ছে তাই স্কুলের ক্লাসের সময় ব্যতীত অন্য সময় যেন মোবাইল, টিভিতে ও কম্পিউটার বেশিক্ষন না ব্যবহার করে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। বিকল্প হিসেবে গল্পের বই পড়তে উৎসহ দিতে পারেন তাদেরকে।
- এখন আমাদের সবারই বাইরের প্রকৃতির কাছে যাবার জন্য সবসময়ই মন চাইছে, তাই ঘরেই এখন সবুজের সমারোহ করে প্রকৃতির কাছে যেতে পারেন। নিজের বাড়িতেই তাই বাগান করতে পারেন ছোট করে, যার রক্ষণাবেক্ষণ ভার ঘরের শিশুদের উপর দিয়ে দিতে পারেন। গাছে প্রতিদিন পানি দেওয়ার মতো সহজ কাজ তারা করতেই পারে। এতে তাদের মধ্যে দায়িত্ব বোধ জাগ্রত হবে।
এভাবেই আমরা আমাদের শিশুদের মানসিক শান্তির ব্যবস্থা করতে পারি। এই সব সহজ উপায় অবলম্বন করে সকল শিশুর সুস্থতা কামনা করছি।