#করোনা আর #বৃষ্টি ২ টাই যেন অসহায় মানুষের জন্য এক নিরব আঘাত।।
অসহায়ত্ব কতটুকু হলে বৃষ্টির মাঝে এভাবে বসে থাকতে হয়, একটু খাবারের আসায়…….!
করোনার কারনে দেশের মানুষ আজ অসহায়।সকলেই নিরূপায় ঘরবন্দী।হাজার হাজার মানুষের প্রান যাচ্ছে। এসময় আমাদের ঘরে থাকা উচিত। ঘর থেকে আমরা না বের হই,নিজেরা সর্তক থাকি।গরিব অসহায় মানুষদের প্রতি আমরা সকলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই। কারন আমরা যদি মানুষ হয়ে মানুষের পাশে না দাড়াই তাহলে আমরা মানুষ নই পশুর সমতুল্য। রাস্তায় রাস্তায় কত অসহায় মানুষ রয়েছে, তারা একবেলা খাবারও পায়না।বৃষ্টিতে ভিজে যায় একবেলা খাবারের আসায়। আমরা সবাই নিজেদের মতো করে খাচ্ছি কিন্তু অন্য দিকে খেটে-খাওয়া পরিশ্রমী মানুষরা অসহায় অবস্থায় পড়ে আছে। তাদের কোনো আয় নেই বললেই চলে। তাই করোনায় সৃষ্ট সংকটময় পরিস্থিতিতে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে খাদ্যদ্রব্য, নগদ অর্থসহ জরুরি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।’ করোনাভাইরাস শ্রমজীবী ও গরিব-দুঃখী মানুষকে অসহায় অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে। এ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশবাসীকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। মানুষ নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থে এ নির্দেশনা মেনে চলছে। স্বভাবতই এর ফলে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে জনজীবন। সমাজের গরিব-দুঃখী-অভাবী মানুষের জন্য এ সংকটময় মুহূর্তে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাদের সহায়তায় সরকার নানা কর্মসূচি নিলেও তা লাখ লাখ মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়। সরকারি উদ্যোগের বাইরে বিপন্ন জনগোষ্ঠির পাশে সমাজের সম্পন্ন মানুষ ও সামাজিক সংগঠনগুলোর দাঁড়ানোর বিষয়টি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে মহাদুর্যোগের এই সময়ে। করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী, গরিব ও দুঃখী মানুষের পাশে সাধ্যানুযায়ী সবাইকে দাঁড়াতে হবে।
লকডাউন কথাটা মনে হলে প্রথম দৃষ্টি যায় গার্মেন্টস সেক্টরের দিকে। কাজবিহীন অবস্থায় বেতন দিয়ে গার্মেন্টস মালিকরা কর্মীদের চাকরিতে রাখবে সে নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। বিশ্ব বাজারের স্থবিরতার ধাক্কা প্রথমেই এ সেক্টরে আসে এ কথা ভুলে গেলে চলবে না।
পেটের অন্ন জোগাড়ের জন্য মানুষ বিপথগামী হয়। দেশে এখন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড যেমন ছিনতাই চুরি ডাকাতি অনেকাংশে কম। উচ্চবিত্তদের উহ্য রেখে বলতে হয় দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ করোনার চেয়ে ভয়ানক পরিস্থিতির স্বীকার হবে যদি লকডাউন হয়। তাই এখনই সন্দিহান হয়ে বাজার পরিস্থিতি অস্থির না করাই শ্রেয়। বরং পারিবারিক সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে করোনাকে প্রতিহত করতে সচেতন হতে হবে।
তাই আসুন এই লকডাউনের সময় আমরা সকলে গরিব অসহায় মানুষদের প্রতি সাহায্যের হাতটা একটু বাড়িয়ে দেই।