গত ৮ ই মার্চ বাংলাদেশে ১ম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে করোনা আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪০০শ এর বেশি।সাথে মৃত্যু হয়েছে অনেকের।গত ৫৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৮ হাজারের ও বেশি।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৫৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৭১ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হয়েছেন
আরও এক নারী ও পুরুষ। শুক্রবার দুপুরে অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ব করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠানই গবেষনা চালাচ্ছেন।ঠিক একই ভাবে
মে-মাসে দেশের করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তার উপরও চলছে বিশ্লেষণ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতে , এ মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াবে।
আটটি বিভাগের তথ্য পর্যবেক্ষণ করে গবেষকরা বলছেন, মে মাসেই আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছাতে পারে অর্ধ লক্ষে।তার অর্থ দাড়ায় মে মাস পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়াবে ৫০ হাজারে।
গবেষকদের তথ্যমতে মৃতের সংখ্যা দাড়াতে পারে ৮০০ থেকে ১ হাজার।
তবে সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) ডেটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাবের গবেষকদের দেয়া তথ্যমতে আগামী ১৯ মে এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ৯৭ শতাংশ কমে যাবে। ৩০ মে এর মধ্যে কমে যাবে ৯৯ শতাংশ।গবেষকদের এই তথ্যটি বাংলাদেশের মনে অবশ্যই আশার যোগান দেয়।
মে মাসে করোনা রোগী ৫০ হাজার ছাড়ানোর বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের সেন্সে এটা কাজে লাগবে। আমাদের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি আছে কিনা বা আরো লাগবে কিনা সে সম্পর্কে কাজে লাগবে। তবে তারা ধারণা করেছেন মানেই এই নয় যে, তাই ঘটবে। তারা ৫০ হাজার ধারণা করেছেন, সেখানে ৪০ বা ৩০ হাজারও হতে পারে।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৫শ ৭৩ নমুনা পরীক্ষা করে ৫৭১ জন করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেছে। এদিন মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও দুজন। তাদের মধ্যে এক নারী ও পুরুষ।স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানছেন না উল্লেখ করে সংক্রমণ ঠেকাতে আরো সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এক মাসেই বাড়তে পারে অন্তত ৪০ হাজারেরও বেশি কোভিড রোগী। এর প্রধান কারন সামাজিক দুরত্ব ও লকডাউন না মানাকেই দায়ী মনে করছেন অনেকে।
তাই প্রত্যকেরই উচিৎ যার যার জায়গা হতে সচেতন থাকা।