একটি পাএে রেখে তাতে একটি ব্যাঙ্গ রেখে পানি গরম করা শুরু হলো।পানির তাপমাএা বাড়ার সাথে সাথে ব্যাঙ্গটি ও তার তাপমাএা বৃদ্ধি করে সহনীয় পর্যায়ে নিতে শুরু করলো।যদি ও সে চাইলে লাফ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারতো।কিন্তু সে সেটা করে নি।সে ভাবলো হয়তো সে তাপমাএার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে।তাই সে সহ্য করতে থাকে।আস্তে আস্তে তাপমাএা যখন আরো বেড়ে যেতে থাকে,পানি যখন ফুটন্ত হতে থাকে,তখন সে আর সহ্য করতে পারে না।বাধ্য হয়ে নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য সে সিদ্বান্ত নেয় লাফ দেওয়ার।কিন্ত তখন আর লাফ দেওয়ার মত শক্তি তার শরীরে থাকে না।পানি আরো গরম হতে থাকে,যার ফলে সেই গরম পানিতে পুড়ে একটা সময় সে মারা যায়।
-এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় ব্যাঙ্গটি আসলে কেনো মারা গেছে??
তাহলে অধিকাংশ মানুষই বলবে আসলে গরম পানির কারনে সে মারা গেছে।সত্যিই কি এই কারনে সে মারা গেছে।মোটে ও না।তার মারা যাওয়ার কারনটি হচ্ছে সঠিক সময়ে লাফ দেওয়ার সিদ্ধান্তটি না নেওয়ার কারনে।সে যদি সঠিক সময়ে লাফ দিতো,তাহলে হয়তো আজকে তাকে মরতে হতো না।
নিজের ছোট একটা ভুলের কারনে তার জীবনটা শেষ হয়ে গেলো।
বর্তমানে আমাদের সমাজের মানুষের অবস্থা ঠিক এই রকম।
করোনা ভাইরাস যখন চীনে শুরু হলো,তখন আমরা বলতে লাগলাম চীনেই তো হয়েছে,আমাদের কি,আমাদের দেশে তো আর হয় নি।কিন্ত যখন আমাদের দেশে শুরু হলো তখন আমরা বলতে লাগলাম,এখন তো ঢাকায়,আমাদের এলাকায় তো আর হয় নি।আরে ভাই করোনা যখন চীন থেকে ঢাকা আসতে পেরেছে।তখন ঢাকা থেকে কি গ্রামে আসতে পারবে না?
করোনা আপনার থেকে বেশি দূরে নয়।এখনো সময় আছে সচেতন হন।এমন কিছু মানুষ আছে বলে,ভাগ্যে যা অাছে তাই হবে।মরতে তো হবেই একদিন।
তাদেরকে আমি বলতে চাই আরেই মরেই যখন যাবেন।তাহলে এত কষ্ট করে লেখাপড়া চাকরি করেন কেনো?কারন মরেই তো যাবেন একদিন।
আপনার মেয়েকে যখন আপনি বিয়ে দেন।তখন ভালো ছেলে চাকরিজীবি ছেলে খুজেন কেনো?
বেকার ছেলের কাছে বিয়ে দেন না কেনো?কারন আপনিই তো বলেন মেয়ের কপালে যা আছে তাই তো হবে।
আপনার ইচ্ছা আপনি অনেক বড় চাকরি করবেন।কিন্তু তার জন্য তো আপনাকে লেখাপড়া করতে হবে তাই না?.
আপনি যদি লেখাপড়া না করে ভাগ্যের উপর ভরসা করে বসে থাকেন।তাহলে কি আপনি জীবনে কিছু করতে পারবেন?মোটে ও না।
আসুন আমরা সবাই মিলে সচেতন হই।সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে সবাই নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করি।নিজে ভালো থাকি, পরিবারের সদস্য গুলোকে ভালো রাখি।আর মহান আল্লাহর কাছে সবার সুস্থতা কামনা করি।