করোনা ভাইরাস
সমগ্র বিশ্ব এখন প্রায় নীরব এবং সাথে স্তব্ধ। এক মহামারী এসে যেন সব কিছু উল্টে পাল্টে দিয়েছে।
করোনা ভাইরাস। এই মহামারীর আঁচ লাগে নি এমন জায়গা পাওয়া যাবে না নিঃসন্দেহে। করোনা ভাইরাসের মহামারীতে মানুষ এখন উদ্বেগে। এর প্রভাব ও প্রকোট খুব বেশি পাচ্ছে যেন ব্যবসা বাণিজ্যে খাত।
স্মার্টফোনের বাজার যাচ্ছেতাই
টেক বাণিজ্য ছিল সবচেয়ে আলোড়িত। আরও একটু নির্দিষ্ট করে বললে “স্মার্টফোন”। স্মার্টফোনের বাজার কিছু দিন আগেও ছিল রমরমা, এর অবস্থা এখন খুব স্বাভাবিক ভাবেী বলা যায় “যাচ্ছেতাই”।
কাউন্টার পয়েন্ট
কাউন্টার পয়েন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান বাজার নিয়ে গবেষণা করে থাকে। বাজার গবেষণার এই প্রতিষ্ঠান কাউন্টার পয়েন্ট বলছে,
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বিক্রি ১৪ শতাংশ গত ফেব্রুয়ারি মাসেই কমে গেছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্মার্টফোনের বাজার চীনেই। করোনার উৎপত্তি স্থল বলতে আমরা সবাই চীনকেই জানি। করোনার এই উৎপত্তি স্থল চীনে গত মাস মার্চেই স্মার্টফোন বিক্রি কমে দাঁড়িয়েছে ৬২ শতাংশে।
অনলাইন প্লাটফর্মে বেড়েছে বিক্রি
কাউন্টার পয়েন্টের বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন,
উদ্বেগই মূল কারণ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মানুষের উদ্বেগের কারণেই অনেক বাজারে স্মার্টফোন বিক্রি কমে গেছে। এ সময়ে শুধু একটি জায়গায় বিক্রি বেড়েছে। আর সে প্লাটফর্ম হল, অনলাইন প্লাটফর্ম। এই অনলাইনে বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। চীনের বাজারে অফলাইনে স্মার্টফোন বিক্রি এখন মাত্র ৫০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে অনলাইন বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় গড়ে স্মার্টফোন বিক্রি কমেছে ৩৮ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারি মাস ও উৎপাদন
বাজার বিশ্লেষকদের মতামত অনুসারে,
ফেব্রুয়ারি মাসকে স্মার্টফোন উৎপাদনের মাস বলে ধরা হয়। আর পরিহাসে বিষয় হল, স্মার্টফোন বাজারে আনার বা সরবরাহের বিষয়টি এ ফেব্রুয়ারি মাসেই এবার সবচেয়ে কমতে দেখা গেল। এক বছর আগের তুলনায় এ সময় স্মার্টফোন সরবরাহ প্রায় ১৮ শতাংশ কমেছে।
আইসোলেশন
কাউন্টার পয়েন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গবেষণা পরিচালক পিটার রিচার্ডসন এ ব্যপারে বলেন,
অনেক মানুষ এখন আইসোলেশনে আছেন বা দূরে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। এর ফলে অনেকেই এখন স্মার্টফোন কিনতে দেরি করছেন। তাঁদের মধ্যে এখনো যা রয়েছে তা হল অনিশ্চয়তা। তবে একসময় তাঁরা আবার ফোন পরিবর্তন করার কথা খুব নিশ্চিত ভাবে ভাববেন। এর মানে স্মার্টফোন বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ হবে না।
স্যামসাং
কাউন্টার পয়েন্টের তথ্য অনুসারে, করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বেশি প্রভাব চীনের সাপ্লাই চেইনের ওপর পড়ায় স্যামাসং ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনের চাহিদা স্থিতিশীল রয়েছে। সবচেয়ে মজার ব্যপার হল, এখনো স্মার্টফোন বাজার যাচাই করলে, ২২ শতাংশ দখলে রেখে বাজারের শীর্ষে রয়েছে যে কোম্পানি তা হল স্যামসাং। অ্যাপলের সাপ্লাই চেইনে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তাদের স্মার্টফোন বিক্রিতে প্রভাব পড়বে বলে কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে।