আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভাল আছেন! আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো নভেল করোনাভাইরাস। আজকে আমরা জানব করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কিছু বিশেষ তথ্য, যা সবারই জানার খুবই প্রয়োজন। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভাইরাস হলো এই করোনাভাইরাস। এটি একটি মরণব্যাধি ভাইরাস। আজকে বিশ্বকে কাঁপিয়ে তুলেছে এই মহামারী। এই করোনা ভাইরাস এর উৎপত্তি চীন থেকে। সর্বপ্রথম করোনা শনাক্ত হয় চিনে। এরপরে আক্রান্ত হয় ইতালি,ইরান, ইরাক,ভারত, সৌদি আরব সহ সমস্ত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এই করোনাভাইরাস এ অনেকেই মৃত্যুবরণ করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ এ করোনাভাইরাস মারাত্মক ক্ষতি করছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক মহান ব্যক্তিবর্গ মৃত্যুবরণ করেন এ করোনাভাইরাসে। বাংলাদেশ এ করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় 1 লাখ ছাড়িয়েছে। অন্যান্য দেশগুলোতে করোনা আক্রান্ত লোকের সংখ্যা অনেক বেশি। এইজন্য এই ভাইরাস কে মহামারী বলা হয়। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এই নভেল করোনা ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেন। যা খুবই দুঃখজনক বিষয়। এই ভাইরাসের কারণে বিশ্ব থমকে দাড়িয়েছে। এবং রাষ্ট্রগুলো অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক পিছিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই সব এলাকাতে লকডাউন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। তবুও এই মহামারী কে শান্ত করা যাচ্ছে না। তবে বিজ্ঞানীরা এর ওষুধ তৈরীর অনেক চেষ্টা করছে। এখন আমরা জানব করোনা ভাইরাসের কিছু লক্ষণঃ এই করনো ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ নেই তবুও কিছু লক্ষণ আছে যা জেনে রাখা সবারই দরকার প্রথমত এই ভাইরাসের লক্ষণ হলো জ্বর, সর্দি, কাশি,ডায়রিয়া ইত্যাদি। এছাড়াও আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে। এই মহামারী থেকে আমাদের বাঁচার জন্য কিছু উপায় জেনে নিন: আমাদের অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এরপরে হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখতে হবে। বাইরে বের হলে মুখে মাক্স পরে বের হতে হবে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় এবং বাড়িতে প্রবেশের সময় সাবান দিয়ে হাতমুখ পরিষ্কার করতে হবে। কারো সাথে কোলাকুলি করা যাবে না। প্রয়োজন না হলে বাড়িতে থাকতে হবে। খুব প্রয়োজন হলে বাড়ি থেকে বের হতে হবে। একজনের গ্লাস,প্লেট অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। মাক্স সাত থেকে আট ঘণ্টা পরপর পরিবর্তন করতে হবে। বিশেষ করে গরম পানি পান করতে হবে। এবং পারলে আদা দিয়ে লাল চা পান করতে হবে। এতে অনেক সুবিধা আছে। এই করোনাভাইরাস এ কারো বাসায় মেহমান যাওয়া যাবে না। এই করোনা ভাইরাস কে নাম দেওয়া হয়েছে covid 19। আমাদের এই করোনা ভাইরাস কি ভয় না পেয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। তুই আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। আমরা সতর্কতার মাধ্যমে এই নোবেল করোনাভাইরাস কে মুক্ত করতে পারি। বড় বড় বিজ্ঞানীরা বলেছেন তোমরা এই করোনাভাইরাস কে ভয় না পেয়ে সর্তকতা অবলম্বন কর। এতে করে এই ভাইরাস বিস্তার লাভ করতে পারবে না। আমরা দোয়া করব এবং প্রার্থনা করব এই যে অতি শীঘ্রই যাতে আমরা এ করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পায় কারণ এটি একটি অতি মহামারী অসুখ যার কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। এই করনো ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয় ছোট শিশু এবং বৃদ্ধ মানুষ। তাই অবশ্যই তাই অবশ্যই তাদেরকে সাবধানে থাকতে হবে। এবং তার সাথে আমাদের সকলকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং তাদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা যদি সকলেই এক হয়ে এই ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করি তবে অবশ্যই আমরা সফলতা অর্জন করব। এই করোনাভাইরাস নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলেন অনেক গুজব সৃষ্টি করেছেন। আপনারা যারা এই পোষ্টটি দেখবেন তাদেরকে বলতে চাই, আপনারা গুজবে কান না দিয়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করুন। এতে আপনার অনেক ভালো হবে এবং আশেপাশের মানুষকে রক্ষা করতে পারবেন। বুঝলেন এই হল আমার আজকের বিষয়। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আসসালামু আলাইকুম।
