কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ভেতর একটি বিশেষ অঙ্গ। কিডনি আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ নিষ্ক্রিয় করে মূত্রের সাহায্যে বের করে দেই। কিডনি মানুষের শরীরে সোডিয়াম ও পটাসিয়ামের প্রক্রিয়া ও ভারসাম্য রক্ষার্থে সাহায্য করে থাকে। সোডিয়াম ও পটাসিয়াম শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কিডনির মাধ্যমেই সোডিয়াম ও পটাসিয়াম শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখে।
কিডনি মানুষের শরীরের তরল পদার্থ নিয়ন্ত্রনে সহয়ায়তা করে এবং মূত্র পরিষ্কার রাখে। তবে ইদানিং কিডনিতে সমস্যাজনিত রোগীই হাসপাতালে বেশী লক্ষ করা যাচ্ছে। আমাদের প্রতিদিনের কিছু বদভ্যাসের কারণেই কিডনি বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে। মানুষের শরীরের এই বিশেষ অঙ্গ একবার ক্ষতিগ্রস্থ হলে সেটা থেকে শরীরের অন্য মারাত্বক রোগের সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও নিজেরা সতর্কতা অবলম্বন না করলে চিকিৎসকরা কঠিন পরিস্থিতিতে কিছুই করতে পারবে না। এইজন্য চিকৎসকরা মানুষের শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনির বিশেষ যত্ন রাখতে বলে এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
যে ৫টি বদভ্যাসের কারণে মানুষ কিডনিজনিত রোগে বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন:
মূত্র চেপে ধরে রাখা: দীর্ঘসময় ধরে মূত্র চেপে রাখলে কিডনির সমস্যা হয়ে থাকে। এর ফলে দীর্ঘসময় ধরে মূত্র চেপে ধরে রাখলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন ও ব্লাডার ইনফেকশন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন এবং পরবর্তীতে বিষয়টি কিডনির সমস্যার দিকে চলে যেতে পারে।
বেশী প্রোটিনযুক্ত খাবার: খুব বেশী প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে কিডনি মারাত্বক ঝুকিতে চলে যেতে পারে। প্রতিদিনের খাবারে সোয়াবিন তেল, ডিম, মাংস, মাছ অত্যন্ত প্রোটিনযুক্ত খাবার এবং প্রোটিন শরীরে বেশী পরিমানে গ্রহন করলে কিডনির সমস্যা এবং কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
খাবারে বেশী লবন: প্রতিদিনের খাবরে লবনের পরিমান বেশী থাকলে বা কাঁচা লবন বেশী খেলে শরীরে সোডিয়ামের পরিমান বৃদ্ধি পাই এবং সোডিয়াম কিডনির পাশে পানি ধরে রাখে। এর ফলে কিডনি মারাত্বক ঝুকিতে থাকে।
বেশী কফি পান: কফি পানে শরীর মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং কফিতে প্রচুর পরিমানে ক্যাফেইন থাকে পা কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এজন্য কফি বেশী পরিমানে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
পানি কম খাওয়া: পানি বেশী খেলে কিডনি ভাল থাকে এবং আপনি যদি নিয়মিত পানি না খেয়ে বসে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি পরবর্তীতে কিডনির সমস্যাই ভুগতে পারেন। এজন্য কিডনি সুস্থ্য রাখতে একটি মানুষের প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতে হবে। তাহলে আপনার কিডনি সুস্থ্য থাকবে।
কিডনি শরীরের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ এবং কিডনি রক্ষার্থে আপনাকে অবশ্যই নিজে থেকে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে আপনি কিডনি রোগ থেকে রেহাই পাবেন।
সূত্র: এইসময়.কম