আসসালামু আলাইকুম।
আজকের আলোচনার শুরুতে আপনাদের একরাশ লাল- সাদা শাপলার উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাই। আচ্ছা বলুন তো, সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার, প্রিয় পাত্র হবার কিংবা চৌকস অর্থাৎ স্মার্ট হওয়ার ইচ্ছে কার না থাকে? নিজেকে স্মার্ট হিসেবে তুলে ধরার উপায় –
দৈনন্দিন জীবনে আমাদের নানা সময় নানা মানুষের সাথে মেলামেশা করতে হয়। কিন্তু সবার কাছে কি সমান গুরুত্ব সবাই পায়? নিশ্চয়ই না। এককথায় এর কারণ সে/ তারা স্মার্ট না। আপনার চারপাশের মানুষে সাথে আলাপ- আচরণে যদি ভিন্ন কিছু কৌশল অবলম্বন করেন তাহলে আপনিও হয়ে উঠবেন- স্মার্ট।
স্মার্ট হওয়া খুব বেশি কঠিন কাজ না। ছোট- বড় সবার সাথে মার্জিত ভাষায় কথা বলতে হবে। স্মার্টনেসের সামষ্টিক গুণাবলির মধ্যে অন্যতম গুণ হচ্ছে সুন্দর ও মার্জিতভাষী হওয়া। কথা বলার সময় কর্কষ কন্ঠী হওয়া একেবারেই নিষেধ। যা বলছেন স্পষ্ট করে বলুন, যাতে শ্রোতা সুন্দর মতো শুনতে ও বুঝতে পারে। স্বাভাবিক মন্থর গতিতে কথা বলুন; খুব দ্রুত কিংবা খুব ধীরে কথা বলা পরিহার করুন।
আর অবশ্যই কথা বলার সময় হাস্যজ্জ্বল চেহারা থাকতেই হবে নচেৎ আপনার ওপর পাশের ব্যক্তিটি অস্বস্তিবোধ করতে পারে অথবা আপনাকে তার প্রতি বিরক্ত বলে মনে করতে পারে। সুতরাং, কথা বলার সময় হাস্যজ্জ্বল চেহারা ও মার্জিত ভাষার ব্যবহার আপনার কথাকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে সহায়তা করে।
ভালো শ্রোতা হন। শুধু কি নিজেই বলবেন, অন্যকেও বলার সুযোগ দিন। সাধারণত মানুষ বলতে বেশি পছন্দ করে, শুনতে চায় কম। আর স্মার্ট মানুষেরা এখানেই বাজিমাত করে। আপনি যা বলতে চান সংক্ষিপ্ত কিন্তু সহজ ভাষায় বলুন। এতে আপনার সম্পর্কে অন্যের মনে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।
অতিরিক্ত কথা পরিহার করুন। স্মার্ট হওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোর অন্যতম ধাপ এটি। স্মার্টনেসের সবগুলো বৈশিষ্ট্য আপনার মাঝে বিদ্যমান থাকলেও এ বৈশিষ্ট্যের কারণে আপনি অন্যের কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে উঠতে পারেন। অতিরিক্ত কথা বলায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে; এমনকি এটা অনেক সময় বিতর্কের জন্ম দেয়। সুতরাং, বাচালতা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অল্প করে জানুন কিন্তু বেশি বেশি মানুন- তবেই আপনি আপনার লক্ষ্যে সফল হতে পারবেন। বন্ধুরা আজকের আলোচনা এতটুকুই, কথা হবে পরবর্তী পর্বে। ততক্ষণে উক্ত কৌশলগুলো রপ্ত করুন আর স্মার্ট হওয়ার এক ধাপ এগিয়ে যান৷ধন্যবাদ