লিবিয়ায় আরও 19 বাংলাদেশী আটকে আছে পাচারকারীদের হাতে
কেমন আছেন আপনারা আশা করি সকলে ভালো আছেন সম্প্রতি লিবিয়ার একটি ঘটনা সকলের মনে দাগ কেটেছে ঘটনাটি হল সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রায় 26 জন অভিবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে লিবিয়ার কিছু পাচারকারী দলের লোক। 26 জন সহ তারা মোট 30 জনকে হত্যা করেছে বলে জানা গিয়েছে সংবাদমাধ্যম গুলোতে। এ মৃত্যুর শোক কাটতে না কাটতে আরেকটি নতুন তথ্য জানা গেছে সেটি হলো লিবিয়ার পাচারকারীদের হাতে আরো 19 বাংলাদেশি আটক হয়ে আছে যারা বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া গিয়েছিল কাজের সন্ধানে দালাল চক্রের মাধ্যমে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি জানিয়েছেন যে উনিশ বাংলাদেশ লিবিয়ার মানব পাচারকারীদের হাতে আটক আছে।
উল্লেখ্য যে, পাচার কারীদের হাতে 26 জন বাংলাদেশী সহ সর্বমোট 30 অভিবাসী হত্যার ঘটনায় মূলহোতা অর্থাৎ পাচারকারীদের মূলহোতাকে জাতিসংঘের ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে লিবিয়ার গণমাধ্যম। ইতিমধ্যে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছে আরো 19 বাংলাদেশ লিবিয়ায় আরও ১৯ জন বাংলাদেশি অন্য একটি পাচারকারীদের গোপন আস্তানায় আটকে রাখা হয়েছে এই বাংলাদেশীদের। মুক্তিপণের জন্য তাদের ওপরও নি’র্মম অ’ত্যাচার চলছে। তবে তাদের কারো পরিচয় জানা যায়নি। বাংলাদেশের কোন লোকাল দালাল বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময় অভিবাসীকে বাংলাদেশ থেকে লিবিয়ার পাঠিয়েছেন বলে ধারণা করছেন তারা। মন্ত্রী আরো বলেন লিবিয়ায় এখন যুদ্ধ অবস্থা চলছে। আর এই পরিস্থিতিতে দেশটিতে মানব পাচারের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে দিনদিন। বিশ্বের প্রায় সব দেশ থেকে দরিদ্র লোকদের বাছাই করে লোভনীয় বেতনে কাজ দেওয়ার নাম করে তারা মানব পাচার করছে বলে জানা যাচ্ছে।
এছাড়া যে 19 জন বাংলাদেশিকে আটক করে রাখা হয়েছে তাদের ওপর চলছে নির্মম নির্যাতন এবং তাদের পরিবারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে টাকা পাঠানোর জন্য। এর আগেও যে 30 জন ব্যক্তিকে পাচারকারী দল হত্যা করেছিল তাদের পরিবার থেকেও দাবি করা হয়েছিল মোটা অংকের টাকা কিন্তু তাদের পরিবার দরিদ্র হওয়ায় সে টাকা দিতে পারে নাই আর তাই তাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তাই যেসব পরিবারের সদস্যরা লিবিয়ায় কাজের উদ্দেশ্যে গিয়েছে তাদেরকে অতিসত্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই মন্ত্রী। যদি তারা নিকটস্থ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দের কোনরকম তথ্য না দেন তবে সে বাংলাদেশীদের পরিচয় জানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আর তাদেরকে উদ্ধার করাও কষ্ট সাধ্য হবে বলে মনে করছেন।
বিগত অনেক বছর ধরে কাজের উদ্দেশে অনেক বাংলাদেশী বিদেশের পথে পাড়ি দিচ্ছেন কেউ কাজ পেলেও বেশিরভাগ মানুষ প্রতারিত হয়ে ফিরছেন এবং হতে হচ্ছে নির্মম অত্যাচারের শিকার। যা খুবই দুঃখজনক।
ডেঙ্গু ও আবহাওয়ার দুশ্চিন্তা নিয়ে নাড়ির টানে নগর ছাড়ছেন মানুষ
পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দকে পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে নাড়ির টানে নগর ছাড়তে শুরু করেছেন অসংখ্য মানুষ। আগামীকাল শুক্রবার ও...