কিছু প্রমাণের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে যে, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত বেশিরভাগ বাচ্চারা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় অনেক বেশি ঝুঁকিমুক্ত। কিছু শিশু কোভিড -১৯ এ অাক্রান্ত থাকলেও প্রাপ্তবয়স্ক ও বৃদ্ধরা আজ পর্যন্ত মৃত্যুর হারের ক্ষেত্রে বেশিরভাগই ধরাশায়ী।
কোভিড-১৯ রোগের লক্ষন বিভিন্ন লোকের বয়স ও অন্যান্য বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আলাদা হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে আবার কোভিড-১৯ এ অসুস্থ হওয়া মানে হলল একটু ফ্লু হওয়ার মতো। কারও কারও জ্বর, কাশি বা গভীর শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। কোভিড-১৯ তে আক্রান্ত বেশিরভাগ লোক সুস্থ্যতার দিকে এগিয়ে। কোভিড -১৯ তে আক্রান্ত বাচ্চাদের মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোমের ক্ষেত্রে বেশ শক্তিশালী মনে হয়।
বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে বড়দের যা করনীয়ঃ
প্রতিদিন নিয়ম করে কোভিড প্রতিরোধমূলক কাজ বা ব্যায়াম শেখান এবং শরীরকল শক্তিশালী করুন।
বাচ্চাদের হাত ধোয়া শেখানোর ক্ষেত্রে বাবা-মা এবং অন্যান্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। হাত ধোয়ার অভ্যাস তাদের সুস্থ রাখতে পারে এবং ভাইরাসটিকে অন্যের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রাখতে পারে। এই উপদেশগুলো তাদের কাছে ব্যাখ্যা করুন।
তাদের কাছে কোভিড প্রতিরোধে আপনি একটি ভাল রোল মডেল হতে পারেন। আপনি যদি প্রায়ই হাত ধুয়ে থাকেন তবে আপনার সন্তানরাও দেখাদেখি হাত ধুয়ার অভ্যাস করার সম্ভাবনা বেশি।
প্রতিদিন হ্যান্ড ওয়াশিং আপনার পারিবারিক নিয়মিত কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করুন।
আপনার শিশুকে প্রতিটি মূহুর্তে শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্রিয় থাকতে সহায়তা করুন।
আপনার শিশুকে বাইরে ফাকা স্থানে খেলতে উতসাহিত করুন। এটি শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালল কাজ করে। আপনার সন্তানের সাথে আপনিও হাঁটুন বা সাইকেল চালাতে যান।
আপনার বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে স্ট্রেচ ব্রেক বা নাচের মতো কোনো একটি কাজ অন্তর্ভুক্ত করুন।
আপনার শিশুকে সামাজিকভাবে বিভিন্ন শিশুসুলভ কাজে সংযুক্ত থাকতে সহায়তা করুন।
ফোন বা ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে তার বন্ধু ও পারিবারিক আত্মীয়স্বজনদের সাথে সংযুক্ত থাকার ব্যবস্থা করুন।
আপনার শিশুকে মানসিক চাপ মোকাবেলায় সহায়তা করুন। চাপ বা আচরণের পরিবর্তনের লক্ষণগুলি গভীরভাবে নজর করে দেখুন।
সকল শিশু এবং কিশোররা একই রকম চাপের মধ্যে থাকেনা। এটা দেখার জন্য কিছু সাধারণ বিষয় রয়েছে। যেমন, অতিরিক্ত উদ্বেগ বা দুঃখ, অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার অভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস, মনোযোগে অসুবিধা ইত্যাদি। এ সকল ক্ষেত্রে আপনার সন্তানকে সমর্থন করুন।
কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে আপনার শিশুর সাথে কথা বলুন। তাট প্রশ্নের উত্তর দিন। আপনার সন্তান যেন বুঝতে পারে এমনভাবে কোভিড -১৯ সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করুন।