Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

কোভিড-১৯ ভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন বিশ্বের কয়েকটি দেশসহ বাংলাদেশেও সনাক্ত হয়েছে

মহামারী কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারনে সারা বিশ্বেই মানুষের মৃত্যুর মিছিল হিসাব করতে হয়েছে। এই পর্যন্ত সারাবিশ্বে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫.৩১ মিলিয়ন মানুষ।

সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় আছে যুক্তরাষ্ট্র। কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে মানুষের জনজীবন ভীষণ ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জে দারিদ্রতা বৃদ্ধি পেয়ে অর্থনীতিতে গভীর ইনফ্লেশন দেখা দিয়েছে। আগের রেশ কাটতে না কাটতেই কোভিড-১৯ ভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন বিশ্বের কিছু কিছু দেশে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিড-১৯ ভাইরাসের এই নতুন ধরণ ওমিক্রন সর্বপ্রথম ধরা পরে দক্ষিণ আফ্রিকায়।

ইতমধ্যে ইউরোপের কয়েকটি দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের কয়েকটি দেশের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকরা বলেছেন যে কোভিড-১৯ ভাইরাসের নতুন এই ধরণ বেশী মারাত্নক নই এবং নতুন এই ধরণ হইতো করোনাভাইরাসের পরিসমাপ্তি ঘটাবে। বাংলাদেশে ওমিক্রন শনাক্ত হবার পর রোগীদের ভেতর তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায় নি। বাংলাদেশের চিকিৎসক ও ডাক্তারদের ধারণা যে কোভিড-১৯ ভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন পূর্বের মতন মারাত্নক পরিবেশ তৈরী করবে না। বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই করনাভাইরাস টিকা হাসপাতাল কিনবা বিভিন্ন স্হান থেকে সরকারকতৃক স্বাস্হ্যকর্মী দ্বারা শরীরে গ্রহণ করছে।

যার কারণে চিকিৎসক ও গবেষকদের ধারণা যে ভাইরাসটি বাংলাদেশে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। গত কয়েকদিনে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা শূণ্যে নেমে এসেছে। স্বাস্হ্য মন্ত্রাণালয় বিষয়টি প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। ইতমধ্যে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ শহর থেকে গ্রামঅঞ্চল পর্যন্ত গ্রহণ করেছে। যেকোন পরিস্থিতিতে সরকারের স্বাস্হ্যমন্ত্রাণয় জনগণের সেবা নিশ্চিত করবে। এছাড়াও বিগত সময়ে কোভিড-১৯ মহামারী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মানুষের জীবনের তাড়না একেবারেই নিশ্তেজ হয়ে গেছে। দ্ররিদ্র মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে বাংলাদেশে বিদেশী রেমিটেন্স আসার কারণে অর্থনীতি পূণরায় চাঙ্গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে মোট করনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে ১.৫৮ মিলিয়ন এবং মোট মারা গেছে ২৮,০৩১ জন।

বিভিন্ন দেশ হতে দেশে ভ্যাকসিন আসার কারণে বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের চাহিদা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। ভ্যাকসিন রাজধানী ঢাকা থেকে এখন গ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছে গিয়েছে। ওমিক্রন মোবাবেলায় বাংলাদেশের মানুষের জন্য বিশেষ দিক নির্দেশনা স্বাস্হ্য মন্ত্রালয় থেকে জারি করা হয়েছে। স্বাস্হ্য বিধি মেনে মাস্ক পড়ে বাহিরে যেতে হবে। জনসমাগোম হতে দূরে থাকতে হবে। ওমিক্রন শনাক্ত হলে বাসায় ১৪ দিনের হোম কোরেন্টাইনে থাকতে হবে। এছাড়াও দরিদ্র দেশ হিসেবে জাতিসংঘের হেলথ অরগানাইজেশন বাংলাদেশের মানুষের জন্য নানা কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।

আসুন নিজে সতর্ক হই এবং অন্যকেও কোভিড-১৯ সম্পর্কে সতর্ক করি।

Related Posts

13 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No