আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই ?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় ব্যক্ত করি।
বিবাহ একটি পবিত্র এবং সুন্দর সামাজিক বন্ধন বলে বিবেচিত হয় আমাদের এই সমাজে। প্রাপ্ত বয়ষ্ক ছেলে মেয়ে তাদের পারিবারিক আত্নীয়দের উপস্থিতিতে কাজী সাহেব এর সম্মতিতে বিয়ে হয়ে থাকে। এটি একটি সর্বজন স্বীকৃত উপায়।কিন্তু বর্তমানে যুগ পাল্টেছে। তাই আজকাল কার ছেলেমেয়েরা প্রেম ভালোবাসাত সমীকরণে জড়িয়ে যায়।আর বাবা মা যদি তাদের এই পছন্দ মেনে না নেয় তখন তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে।পালিয়ে গিয়ে বিয়ে দুইধরনের রয়েছে।
১.কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে
২. কোর্টে গিয়ে বিয়ে যা কোর্ট ম্যারেজ নামে পরিচিত।
কাজী অফিসে বিয়ে কথা আমরা অনেকেই জানি। আজ আমি আপনাদের সামনে কোর্ট ম্যারেজ নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি আপনারা সাথেই থাকবেন।
আজকাল অনেকের মুখে একটি কথা প্রায় শুনা যায় তা হলো কোর্ট ম্যারেজ। সাধারণত ম্যাজিস্ট্রেট এর উপস্থিতিতে বর এবং কনের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আবোধ্য হওয়াকে বলা হয় কোর্ট ম্যারেজ।হবু বড় এবং হবু কনে ২০০ টাকা সমমূল্যের একটি হলফনামা কিনে কোর্টে মেজিস্ট্রেদের উপস্থিতিতে সাক্ষর দেওয়ার মাধ্যমে মাধ্যমে এই বিবাহ সম্পন্ন হয়। একটি হলফনামায় বর্ণিত থাকে বিবাহের প্রমাণ। যার বাস্তবিক কোনো ভিত্তি নেই। অর্থাৎ কোর্ট ম্যারেজ এর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। সেই সাথে মুসলিম আইন ,হিন্দু আইন কিংবা অন্যানো যেকোনো আইনের ক্ষেত্রে কোর্ট ম্যারেজ বৈধতার কোনো ধরণের প্রমান পাওয়া যায় নি। তাই এক কোথায় বলতে গেলে কোর্ট ম্যারেজ অবৈধ।
এতসব ঝামেলার পরও তরুণ তরূনীরা আবেগের বসে এসে কোর্ট ম্যারেজ করে বসে।কোর্ট ম্যারেজ করার জন্য তাই প্রথমে প্রয়োজন হবে একটি স্ট্যাম্প কিংবা হলফনামা। যা আপনাকে কিনে নিতে হবে। পরে আপনাকে নিচের লিংকে ফরম পূরণ করলেই বিবাহ সম্পন্ন হবে।
কোর্ট মেরেজ করার জন্য একটি হলফনামার প্রয়োজন হয় ,সেই হলফনামার ডাউনলোড লিংক :
এই সাইটে ধুকলে ” ফরম নং -১৬০১( ফরম ঘ) নিকাহনামা ”
নামে একটি লিখা আসবে।সেই লিখায় আপনাকে ক্লিক করতে হবে।সেই ফরম টি ডাউনলোড করে পুরণ করলে কাজ শেষ হবে।
সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন