Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

কোলেস্টেরল কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। তো আজকে আমি আপনাদের সামনে কোলেস্টেরল কমানোর প্রাকৃতিক উপায় নিয়ে হাজির হয়েছি। তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

রক্তের এক ধরনের চর্বির উপাদান হচ্ছে কোলেস্টেরল। প্রতিটি মানুষেরই রক্তে কোলেস্টেরল থাকে। কোলেস্টেরল দুই ধরণের। একটি হলো এইডিএল বা ভালো কোলেস্টেরল ও অপরটি হচ্ছে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল।
কোলেস্টেরেল বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম করে থাকে। যেমনঃ হরমোন উৎপাদন, পিত্তরস তৈরি ইত্যাদি।

রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ার কারণ কি ও বাড়লে কি হয়?

রক্তে কোলেস্টেরল বিশেষ করে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি হলে নানান সমস্যা। খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে জিন। সহজ ভাষায় পরিবারের কারো হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে আপনারও কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেতে পারে। আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করা। অতিরিক্ত তেলজাতীয় খাবার খাওয়া, মদ্যপান করা বা সিগারেট পান করা। কর্মবিমুখ হওয়া ও কোনো শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম না করা।

বিশেষজ্ঞদের মতে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেলে স্ট্রোক বা হার্ট আ্যটাক হতে পারে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে ধমনীতে (রক্ত চলাচলের পথে) একধরণের দেয়াল তৈরি হয়। ফলশ্রুতিতে ধমনী সংকুচিত হয়ে যায় এবং রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে ফলে হৃৎপিণ্ডে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহ হয়না এবং একসময় রক্তনালী সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেলে হৃদপেশি অকেজো হতে শুরু করলে হার্ট অ্যাটাক হয়।

কোলেস্টেরল কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

কোলেস্টেরল কমানোর জন্য প্রথমেই আপনাকে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হবে। নিচে কোলেস্টেরল কমানোর কিছু প্রাকৃতিক উপায় দেওয়া হলোঃ

১. শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম যে শুধু রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় তা কিন্তু নয় বরং এটি উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। ব্রেকফাস্ট বা সকালের নাস্তার পর ও ডিনার বা রাতের খাবারের পর কমপক্ষে ৪৫ মিনিট।

২. কোলেস্টেরল কমানোর সহজ উপায় হচ্ছে ডিমের কুসুম এবং অন্যান্য বেশি কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার পরিহার করা। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত তেলজাতীয় খাবার ত্যাগ করা।

৩. সবজি এবং ফলমূল শরীরের জন্য উপকারী। প্রতিদিন শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এগুলো খারাপ কোলেস্টেরল কমানোর পাশাপশি আপনাকে ফিট থাকতেও সহায়তা করে।

৫. ধূমপান বা মদ্যপান করলে রক্তে উপকারী কোলেস্টেরল বা বেশি ঘনত্বের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায় বলে জানা যায়। রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করতে হবে।

তো এই ছিল কোলেস্টেরল সম্পর্কে কিছু তথ্য ও প্রাকৃতিক উপায়ে কোলেস্টেরল কমানোর কিছু উপায়। মূলত কোলেস্টেরল কমানোর জন্য নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কোনো বিকল্প নেই। অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাদ্য, মাদক সেবন এবং ধুমপান পরিহার করুন, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, শাকসবজি ও ফলমূল বেশি পরিমাণে গ্রহণ করুন। সকল খাদ্য একটি পরিমিত পর্যায়ে গ্রহণ করুন। উপরের কাজগুলোর পাশাপাশি আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রক বা কমানোর ওষুধ খেতে পারেন।

পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts

13 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No