বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুদিন পর পর বন্ধ করে দেয়।তাই এ দেশের শিক্ষার্থীরা ক্যারিয়ার নিয়ে নানা হতাশায় ডুবে আছেন। অনেকের তো পড়াশোনা করতেই অনীহা চলে এসেছে। কিন্তু দীর্ঘ এই সময়টা আপনারা চাইলেই নানা দক্ষতা অর্জন করে ক্যারিয়ারের দৌড়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।আজকে সেই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করবো,,,,,
ইংরেজিতে নিজেকে দক্ষ করে তুলুন :
বাংলাদেশে মোটামুটি অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থী বাংলা মিডিয়ামেই পড়াশোনা করেছেন। আর সত্যি কথা বলতে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মত ইংরেজিতে দক্ষ করার জন্য অত জোর দেয় না। তাই অনেক শিক্ষার্থীই ইংরেজিতে কমিউনিকেশন করতে ভয় পায়। কিন্তু বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে গেলে আপনাকে ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে।এছাড়া ও আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলেও আপনার ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। তাই এই সময়টাই আপনি পারেন সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে। কোন অনলাইন ইংরেজি কোর্সে ভর্তি হয়ে যান। এবং অবশ্যই বাড়িতে বসে বেশি বেশি অনুশীলন করুন।
বিসিএস এর প্রস্তুতি :
অনেকেই অনার্স জীবন শেষে বিসিএস এর প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেন। কিন্তু বিসিএস এর সিলেবাস তো আর একটু আধটু না। ব্যাপক সিলেবাস!!আর এই ব্যাপক সিলেবাস শেষ করার জন্য তখন পর্যাপ্ত সময় থাকে না। তাই এই দীর্ঘ সময়টাতে আপনি বিসিএস এর প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে দিতে পারেন। বাজারে ভালো মানের বিসিএস এর বই আছে।আর আজকাল ইন্টারনেটেও বিসিএস এর সঠিক গাইডলাইন দেয়া থাকে।এগুলো দেখে দেখে বিসিএস এর জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে দিন। যা আপনাকে ক্যারিয়ারের দৌড়ে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখুন :
আজকাল অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যায়।চাকরি অথবা পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে অধিক অর্থ উপার্জন করতে পারেন।এছাড়াও কেউ কেউ ফ্রিল্যান্সিংকেও পুরোপুরি পেশা হিসেবে গ্রহন করতে পারেন। কিন্তু তার জন্য চাই দক্ষতা। দক্ষতা না থাকলে এই ফিল্ডে কাজ পাওয়া মুশকিল। তাই এই সময়টাতে অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করে আর বেশী বেশী অনুশীলন করে ক্যারিয়ারের দৌড়ে নিজেকে এগিয়ে রাখুন।
কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজ শিখে ফেলুন :
কম্পিউটারে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড,এক্সেল,গ্রাফিক ডিজাইন ইত্যাদি শিখে ফেলুন।পরবর্তীতে চাকরিতে গেলে এগুলো অনেক কাজে দিবে। তখন নতুন করে শিখে এগুলোতে সময় দিতে হবে না।বরং সেই সময়টা অন্য কিছুতে কাজে লাগাতে পারবেন।
ইন্টারভিউয়ের জন্য আগে থেকেই একটা প্রস্তুতি নিয়ে ফেলুন :
চাকরীর ইন্টারভিউতে নার্ভাসনেসের কারনে অনেকেই বাদ পড়ে যান।কারণ ইন্টারভিউতে আপনার অ্যাটিটিউডকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। কোন এক গুরুজন বলেছিলেন – যদি আপনি আত্মবিশ্বাসের সাথে ভুল উত্তর ও দেন তাহলে ও সেটা সঠিক মনে হবে। কথাটা ঠিক মেকি মনে হলেও আসলে ভুল কিছু নয়। আমাদের আত্মবিশ্বাস লেভেলটা যত বাড়বে চাকরির ইন্টারভিউই বলুন কিংবা যেকোন জায়গায়ই হোক আপনি পাবেন অভাবনীয় সাফল্য। তাই আজ থেকেই থেকেই একটা প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে দিন।এবং নিজেকে ক্যারিয়ারের দৌড়ে এগিয়ে রাখুন।
প্রচুর বই পড়ুন:
জ্ঞানের কোন শেষ নেই। আপনি যত বই পড়বেন আপনার জ্ঞান তত বাড়তে থাকবে। বিভিন্ন সাহিত্য,গল্প,কবিতা,উপন্যাস,সায়েন্স ফিকশন,মোটিভেশনাল বই পড়ে নিজের দক্ষতা বাড়ান। অনেকই আছেন লেখক হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান।তাদের জন্য ও বলছি বই পড়ার বিকল্প নেই। বেশি বেশি বই পড়তে থাকুন।