ক্যারিয়ার
চাকরিতে প্রবেশের আগেই নিজেকে মানসিকভাবে তৈরী করতে হবে । এজন্য সবাইকে একটি সঠিক পরিকল্পনা ধরে এগিয়ে যেতে হবে।। ক্যারিয়ার গড়ার পেছনে এই পরিকল্পনা তৈরী এবং তার বাস্তবায়ন জীবনের উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।
১.পেশা নির্বাচন করুন আগ্রহ ও স্বাচ্ছন্দ্য মত
যে কাজে আপনার আগ্রহ রয়েছে এবং যেটা করতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এমন পেশা নির্বাচন করুন। কাজটা যেনো অবশ্যই উপভোগ্য হয়। পড়াশুনা শেষ করে কোন পেশায় নিজেকে দেখতে চান এবং নিজেকে একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে কোন পর্যায়ে দেখতে চান তার স্বচ্ছ ধারনা রাখতে হবে
২. নির্দিষ্ট চাহিদা ও দক্ষতা নির্ধারণ
পরিকল্পনা অনুযায়ী সফল ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে আপনার প্রয়োজন হবে নিজেকে দক্ষ কর্মী হিসেবে তৈরী করা । এই লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের কর্মশালা,সভা, সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে হবে। বর্তমানে যুগের সাথে তাল মেলাতে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার সর্ব ক্ষেত্রে।। তাই এসব বিষয়ে পারদর্শিতার কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
৩.নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরী
চাকুরী হল সোনার হরিণ ।। কিন্তু অনেকে চাকুরীতে ঢোকার আগে নিজের পদ ও তার বিপরীতে কাজ ও দায়িত্বের পরিধি সম্পর্কে অবগত থাকে না।। যার ফলে চাকরিতে অহেতুক সমস্যা সৃষ্টি হয়। অনেক সময় নিজের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিম্নতর পদে চাকুরী করতে হয় । আবার যোগ্যতার অতিরিক্ত পদ পেলেও নানা রকম সমস্যা ফেস করতে হয়
৪.পরিশ্রম করুন সফল হবেন
পরিশ্রম বিহীন কোনো চাকুরিতে আপনি ভালো করতে পারবেন না। তাই সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে কাজ করুন। কায়িক পরিশ্রম নয় বরং নিজের বুদ্ধি মত্তা খাটিয়ে কাজ করু।। এতে আপনি সকলের নজর কাড়বেন ।
৫.জ্ঞানের জগৎ কে বিকশিত করুন
একাডেমিক ফলাফল চাকরি পেতে একটা বড় ভুমিকা পালন করে। চাকরি পাওয়ার পর অনেকে জ্ঞান আহোরনের যাত্রা বন্ধ করে দেয় । যা একটা মারাত্মক ভুল । অফিসের কাজে যদি শিক্ষা গত জ্ঞান ব্যবহার করতে না পারেন তবে সফলতা আসবে না । আর চাকরীর পদে পদে বিপদে পড়ার ও সম্ভাবনা থাকে।।
৬.পজিটিভ মানসিকতা
সব সময় পজিটিভলি চিন্তা করুন ্শুধু চাকরি নয় এটা জীবনের সব ক্ষেত্রে প্রয়োজন । আপনার উপর অর্পিত দায়িত্ব পজিটিভলি নিন এবং নিষ্ঠার সাথে তা পালন করেন । প্রথমে দায়িত্ব সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা নিন এরপর কাজে লেগে যান ।। সবাই যোগ্য ও পরিশ্রমী কর্মী চাই।। তাই পজিটিভ হওয়ার কোনো বিকল্প নাই