সুন্দর এ পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম শব্দের বৃহত্তম অনুভূতি ‘মা’ প্রতিটি জীবের জীবনের জন্য প্রথম স্পর্শ’।প্রেমময় সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে দেয়া সন্তানের উপর “মা ” হলেন ভালোবাসার অনন্য এক অনাবিল স্বর্গ উদ্যান ।বিনা পারিশ্রমিকে যিনি গর্ভে ধারণ করেন,চাঁদ মামার গান শুনিয়ে ঘুম পাড়ান, হাতে ধরে হাটতে শেখান,এমনকি সন্তান বড় হওয়ার পরেও ভালো মন্দ দেখিয়ে পথ চলতে শেখান এবং অনন্ত ও অদৃশ্য জীবন ও জগৎ সম্পর্কিত চক্ষু দান করে ভবিষ্যতের পথে পূর্ণাঙ্গ একটি উজ্জ্বল জীবনের আমরণ স্বপ্ন দেখেন। পৃথিবীর বড় নেয়ামতপূর্ণ এ মা স্বভাবতই নিজের জীবনকে তাঁর সন্তানের জন্য কবলা দিয়ে থাকেন।
তাই সৃষ্টিকর্তার পরে পৃথিবীতে প্রতিটি সন্তানের জন্য ফলধর ছায়াধর একমাত্র বিশেষ এক বৃক্ষ এবং নিরাপদ সুখের আশ্রয়স্থল ‘মা’। যাকে চোখ বন্ধ করে অন্ধের মতো বিশ্বাস করা যায়, যার আদালতে সন্তান ক্ষমার অযোগ্য অজস্র অপরাধ করেও ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে নিরপরাধ বলে মুক্তি পায় , সে আদালতের মালিক মা’, যার তুলনা স্বয়ং ‘মা ‘ ভিন্ন অন্য কিছু মেলে না। ‘মা’ এমনই একটি ছোট্ট শব্দ, যা পৃথিবীর কোন অভিধান এর মত মধুময় আরেকটি শব্দ খুঁজে দিতে পারবে না। শব্দটি যার কাছে যত ছোট্ট হোক না কেন মূলত এটির মধ্যে লুকিয়ে আছে অমূল্য কস্তুরী কিবা হীরা মণি অপেক্ষা মহা মূল্যবান ও অপরিমেয় স্বর্গীয় পরশ আর দয়ার সাগর।
মায়ের দয়া ও ভালোবাসার প্রতিটি বিন্দু দানা হীরা মণির চেয়েও মহান এবং মূল্যবান।কেননা, বিষধর সাপ যে মণি বহন করে তার মণি যত মূল্যবানই হোক না কেন মণি বাদ দিলে সে কেবলই বিষক্ত এবং হিংস্র সাপ কিন্তু যে মা দয়া বহন করে তার দয়া বাদ দিলেও সে হন প্রমময় মা। ত্রিভুবনের সব মায়া, মমতা, অকৃত্রিম স্নেহ, আদর,ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসার অকৃত্রিম প্রেমের নীড় এ মা কথাটির মধ্য লুকিয়ে রয়েছে।আকাশের চেয়ে উঁচু আর সমুদ্রের থেকে গভীরতম সসীমের মাঝে অসীম ও অপরিমেয় সম্পদ যদি কিছু থেকে থাকে সে জানি এক মা’য়ের হৃদয় ও তাঁর ভালোবাসার খনি সম্পদ। সন্তান নামে একটি গোলাপ তাঁকে তৃপ্ত করে, আর তাঁর মুখের মা ডাকের এ শব্দটি তাঁকে হত্যা করে।
মায়ের জন্য সন্তান যেন সমস্ত সুখের মূল। তাঁর স্বার্থ ধরে এবং তাকে উদ্ধার করতে নিজের জীবন বাজি রেখে লেলিহান নরক কুণ্ডে ঝাঁপ দিতেও দ্বিধাবোধ করেন না সে জগতে মা।
সন্তানের মুখে এক ফোঁটা হাসি দেখতে জনম দুঃখিনী মা অকপটে ফাঁসি বরণ করে নিতেও কখনো নারাজ হন না। দৃশ্যত দিবালোকের ন্যায় মা, সন্তানের প্রেমে মরণের অজস্র দৃশ্যপট পৃথিবীর বুক যে ভার করে আছে চরম এ সত্য অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। নিজের সব সুখ বিসর্জন দেন,দুঃখ লুকান,আড়ালে কাঁদেন, সন্তান মা’ বলে ডাক দেয়ার সাথে সাথে চোখের জল মুছে আবার হাসিমুখে সাড়া দেন ‘মা’।
কথিত আছে,পত্নী লাভে প্রতি দিনের মত অপেক্ষিত মা’র বুক ছিড়ে কলিজা নিয়ে দৌড়ে ছুটে চলা সন্তান হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে তখনও মা’র মর্মকথা শুনতে পায় উহ! ব্যথা পেয়েছ বাবা?
সন্তানের ওপর মা’ কত বড় নেয়া-মত ,সে জানেন কেবল সৃষ্টি করেছেন জিনি মা,সৃষ্টি করেছেন সারা বিশ্ব জগৎ।’ মা’সর্বোৎকৃষ্ট আশীর্বাদ স্বরূপ।
তামাম পৃথিবী সোনা রূপা হীরা মণি মাণিক্য পরিপূর্ণ করে দিয়েও যাকে সন্তান হতে বিচ্ছিন্ন করা যায় না এবং যার শূন্যস্থান পূরণ করার সক্ষমতা বাবার পক্ষেও সম্ভব হয় না সে একজনই মা, যিনি সর্বপ্রথম সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোৎকৃষ্ট ও সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। আর এজন্যই পৃথিবীতে আমাদের পরম স্বর্গ শ্রেষ্ঠ উপহার হলেন খোদায়ী নেয়ামত ‘মা’। তাই বলি মায়ের গর্ভ থেকে আসা পৃথিবীর কোন সন্তান যেন তোমার উপর দেয়া খোদার আশীর্বাদ স্বরূপ মাকে ভুলো না। সাবধান! এমন মায়ের সেবা ছাড়া স্বর্গ তো পরের কথা দুনিয়ার সুখ ও মিলবে না।
মায়ের উপমা” মা”
মুহা. কবির হোসেন
✨————-✨
দয়া মায়ার আরেকটি নাম
স্রোস্টার সৃষ্টি “মা”
প্রেম ভরা এই স্বর্গখানা
” মা’য়ের উপমা ” মা”।
দো- জাহানে পারাপারে ,
মা’য়ের আশীষ হলে
তরিয়ে নিতে খোদা ছাড়া
বাধা নেই সে কালে।
ত্রীভূবনে স্বপ্ন আশা
” মা” শিখালেন প্রথম ভাষা
মান অভিমান আছে মেশা
মায়ের ভালোবাসা ।
মাকে ছেড়ে প্রবাসেতে
একটু আঘাতে কষ্ট ক্লেশে
কাক পক্ষীটি জানার আগে
দেশে জানে মা ।
কেমনে আঘাত পেলি বাবা,
গোপন করিস না ,
মায়ের সাথে লুকোচুরি ?
ঔষধ পানি খা।
প্রেম মাখা মা’র মিষ্টি বদন
দেখলে জুড়ায় মনও নয়ন
আরশবাসী উচ্ছাস খুলে
স্বর্গের দোর বাতায়ন ।
হিত কথা :
“মা” সন্তানের উপর খোদার এক বিশেষ নেয়ামত বা, আশীর্বাদ স্বরূপ।
মুহা. কবির হোসেন