মহান রাব্বুল আলামিন মানুষকে অনেক অঙ্গ-প্রতঙ্গের সমন্বয়ে কতই না নিখুঁতভাবে তৈরী করেছেন। মানবদেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গই গুরুত্বপূর্ণ। চোখ তার মধ্যে অন্যতম বিশেষ অঙ্গ। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির অপার সৌন্দর্য দেখার জন্য অন্তরে অনুভব করার জন্য চোখ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
চোখ বহুদূরের কিংবা কাছের বস্তু দেখে পর্যবেক্ষন করে তথ্য মস্তিষ্কের কাছে পৌঁছায়।আর এই কারণে মস্তিষ্ক কোনোকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে চোখ বিশাল ভুমিকা পালন করে। এছাড়া আমরা অনেকেই কাজের প্রয়োজনে বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয় কম্পিউটার, মোবাইল ফোন কিংবা বইয়ের পাতায়। এসব কিছুর পর আমাদের চোখ ক্লান্ত হয়ে যায়। এমনকি মানসিক চাপ ও ঘুমের ব্যাঘাতের কারণে চোখে সমস্যাসহ মাথাব্যথা অনুভব হয়। আর এসব অসুবিধা কাটিয়ে উঠতে এবং চোখ সুস্থ রাখতে চোখের যত্ন নেওয়া জরুরি।
কিভাবে চোখের যত্ন নেওয়া যায় তা দেয়া হলোঃ
১)চোখের যত্নের জন্য প্রথমেই খাবার এর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, খাদ্য তালিকায় প্রচুর মাছ, সবুজ -লাল শাকসবজি, ফলমূল, পালংশাক রাখতে হবে। কেননা এতে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ রয়েছে।
২)লেখাপড়া বা অন্যকাজ করার সময় যথেষ্ট আলোতে কাজ করতে হবে। অন্ধকার বা কম আলো চোখের জন্য ক্ষতিকর।
৩)বিরতিহীন ভাবে টেলিভিশন দেখা ও মোবাইল ব্যবহার করা অনুচিত।
৪)মাঝে মাঝে চোখ পিটপিট করা চোখের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। নিয়মিত চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতি তিন থেকে চার সেকেন্ড একবার চোখের পাতা বন্ধ ও খোলার অভ্যাস করতে হবে।
৫)চোখকে আরাম দিতে হবে। যেমন, দুই হাতের তালু ঘষে তাপ উৎপন্ন করে তা দুই চোখে কিছুক্ষণ পরপর তাপ দিতে হবে। এতে চোখের জ্বালা-পোড়া কমবে ও আরামবোধ হবে।
৬)চোখ চুলকালে চোখে ময়লা হাত দেয়া উচিত নয়। চোখ চুলকালে হাত ভালো করে ধুয়ে চোখ পরিষ্কার পানি দিয়ে বা কুসুম গরম পানিতে তুলা ভিজিয়ে চোখ পরিষ্কার করা যেতে পারে।
৭)চোখে কোনো টোটকা ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়। বিশেষত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া চোখে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়।
৮)সূর্যের আলো চোখের ফ্রী চিকিৎসা দেয়। তবে প্রখর সূর্যের আলো নয়। প্রথম সকাল ও শেষ বিকেলের সূর্য চোখের জন্য উপকারী।
৯)মুখ ধোয়ার সময় চোখে বেশি বেশি পানি ঝাপটা দিতে হবে এতে চোখ পরিষ্কার হয় এবং সারাদিনের আটকে থাকা ধুলোবালি চোখ থেকে ধুয়ে যায়।
১০) ধুমপান চোখের জন্য ক্ষতিকর। তাই অবশ্যই ধুমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।
১১)ঘুমের ব্যাঘাত এর কারণে চোখের পাশে ব্যাথা বা মাথাব্যাথা করলে ঘুমিয়ে নেওয়া উচিৎ।
১২)চোখ যখন ক্লান্ত হয় তখন একটু মাথায় হালকা ম্যাসাজ করলে আরামবোধ করবেন।
১৩)চোখের মনি-তে কোনো বাইরের বস্তু পড়লে চোখে কিছু না দিয়েই নিকটস্থ চোখের ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
উপরিউক্ত নিয়মানুসরন করলে আমরা আমাদের চোখ সুস্থ রাখতে পারবো।