বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এখন এক বিস্ময়ের ব্যাপা। বর্তমানে আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া একটা দিনও কল্পনা করতে পারি না। এই আধুনিকায়নের ছোয়া আমাদের জীবনকে করেছে আরামদায়ক। আজকে আমরা খেলাধুলার ব্যাপারে বিজ্ঞান এর ব্যবহার সম্পর্কে জানবো। খেলাধুলা আমাদের সকলের জীবনেই একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। খেলাধুলা আমাদের রক্ত চলাচলেও অনেক বড় ভুমিকা পালন করে। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার এইসব পরিশ্রমী খেলাধুলাকে আজ দূরে ঠেলে দিয়েছে। এর ফলে এখন সবাই ঘরে বসেই বিজ্ঞান এর এসব প্রযুক্তি দ্বারা খেলে সময় কাটায়। কিন্তু এর ফলে আমরা অলসতায় ভুগি৷ কিন্তু তারপরেও আমরা এইসব নিয়েই ব্যস্ত থাকি। এতে আমাদের ব্রেইন এর ও অনেক ক্ষতি হয়।
তো আমরা অনেকেই কম্পিউটারে গেইম খেলে থাকি। কম্পিউটারে গেইম খেলার ফলে আমাদের মস্তিষ্কে এক ধরনের চাপের সৃষ্টি হয়। এবং সেটি আস্তে আস্তে খারাপ দিকে পতিত হয়। এজন্য কম্পিউটারে গেইম খেলার ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকেই অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এখন সেই সতর্কতা আমরা কিভাবে অবলম্বন করতে পারি তাই তো? হুম আমরা কয়েকটা পদ্ধতি অনুস্মরণ করে চললেই এই সমস্যা গুলা এড়িয়ে চলতে পারবো।
১)একাধারে ২ ঘন্টার বেশি গেইম খেলা যাবে না।
২) ৩০ মিনিট পর পর ৫ মিনিট এর জন্য চোখ বুজে থাকতে হবে। এতে করে চোখে বেশি প্রেসার পড়বে না।
৩) মাঝে মধ্যে হাত দুটোকেও একটু রেস্ট দিতে হবে। নাহলে আঙ্গুলএ ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
উপরোক্ত কার্যক্রমগুলো কম্পিউটারে গেইম খেলার ক্ষেত্রে অনুস্মরণ করে চললে আর কোনো শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
কিন্তু শুধুমাত্র এই গেইম নিয়েই পড়ে থাকলে চলবে না। মাঝে মধ্যে শারীরিক ব্যায়াম ও করতে হবে। বাইরে হাটাহাটি করতে হবে। বিজ্ঞান এমনও অনেক খেলাধুলার প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে যেগুলো দ্বারা খেললে সেটা শারীরিক ব্যায়াম এর কাজ করে। সেগুলো নিয়েও কিছুক্ষণ খেলাধুলা করলে এতে করে মন মানসিকতাও ঠিক থাকে। মনটা উৎফুল্ল থাকে। স্মার্টফোন এও আজকাল এমন সব অদ্ভুত গেইম দেখা যায় যেটি মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। এ সকল গেইম থেকে আমাদের সবাইকে বেঁচে থাকতে হবে।
এবার আসা যাক রূপচর্চার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার এর কথায়। আধুনিক বিজ্ঞানিরা আমাদের শরীরে ব্যবহারের জন্য অনেক প্রসাধনী আবিষ্কার করেছে। যেগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা অনেক উপকার পেয়ে থাকি। কিন্তু এসব প্রসাধনী ব্যবহারে আমাদেরকে অবশ্যই অনেক সাবধান থাকতে হবে। এর অনেক কিছুতেই বিপরীত প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। বিজ্ঞানের প্রযুক্তি দ্বারা আবিষ্কৃত হলেই যে সেটা একশত শতাংশ সাইড এফেক্ট ছাড়া হবে এমন কোনো কথা নেই। সবকিছু ব্যবহারেই সাবধান থাকতে হবে যাতে করে আপনার ত্বকের যেন কোনো ক্ষতি না হয়।
আজকে এখানেই শেষ করছি। আসসালামু আলাইকুম। ভালো থাকবেন সবাই।