- মজার একটি গল্পধাঁধা নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি মজার এই গল্পেধাঁধাটি ভালো লাগবে সবার।
বাড়ির নাম জাদুর বাড়ি। ঘুরতে এসেছে টুকটুকি, মৃদুল, বুলবুলি, বাবুই, লিলি, শারমিন, নীতু ও পাপন। ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎই তারা একটা ঘরের সামনে এসে দাঁড়ালো। ঘরটির দরজা বড় অদ্ভুত। দরজাটা খোলার কোন সিস্টেম নাই। না আছে হাতল, না আছে নব। ডানে না বামে কোনদিকে ঢুকতে হয় তাও বোঝা যাচ্ছে না। ওরা একে একে সবাই দরজাটা খোলার চেষ্টা করতে লাগলো। প্রথমে চেষ্টা করলো টুকটুকি। একবার দরজাটার ডানে ধাক্কা দিলো আবার বামে। কিন্তু কিছুতেই দরজাটা খুলল না। এরপর চেষ্টা করলো পাপন। কিন্তু সেও ব্যর্থ হলো। পাপনের পর এলো লিলি এবং যথারীতি ব্যর্থ হলো। লিলির পর এগিয়ে এলো মৃদুল। ও দরজাটায় ধাক্কা দেয়ার সাথে সাথে ঘটলো অবাক ঘটনা। ধাক্কা দিতেই মৃদুল দরজার ভেতরে অবলীলায় মিলিয়ে গেল। একটুও বাঁধা পেলো না।
ব্যাপারটা লক্ষ্য করে সবাই তো ভীষণ ভয় পেয়ে গেলো। সবাই দরজার কাছ থেকে দূরে সরে এলো। কিন্তু মৃদুলকে ভেতরে রেখে তারা যাবেই বা কী করে? ওরা একটু দূরে থেকে মৃদুলের অপেক্ষা করতে লাগলো। একটু পর মৃদুল একইভাবে আবার ঘরের ভেতর থেকে ঐ দরজা দিয়েই বেরিয়ে এলো। যেনো ও মানুষ না। ওর শরীর বাতাসের তৈরি। সবাই অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইল। কিন্তু ও তো মজা পেয়ে গেছে। ও একবার দরজা ভেদ করে বেরোয় আবার দরজার ভেতরে মিলিয়ে যায়। ওর এই ব্যাপার স্যাপার দেখে সবাই আবার দরজার কাছে এগিয়ে আসে। সবাই মৃদুলের মত ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করতে লাগলো আবার। কিন্তু শারমিন আর মিতু ছাড়া বাকি সবাই এবারও ব্যর্থ হলো। শারমিন আর মিতুও মৃদুলের মত মিলিয়ে যেতে লাগলো দরজার ভেতরে আবার বাতাসের মত দরজা ভেদ করে বেরিয়ে আসতে লাগলো। বাকিরা মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে ওদের খেলা দেখতে লাগলো।
হঠাৎ শারমিন বুঝতে পারলো ম্যাজিক দরজার রহস্যটা কী? শারমিন বলল, চলো তো দেখি আমরা সবাই একসাথে হাত ধরে ঢুকতে পারি কি না। শারমিনের বুদ্ধিতে এবার কাজ হলো। সবাই হাতে হাত ধরে অনায়াসে দরজার ভেতরে মিলিয়ে যেতে পারলো এবার। রহস্য ভেদ করতে পেরে এবার সবাই ভীষণ খুশি। এখন বলতে হবে ম্যাজিক দরজার রহস্যটা কী?