রাজপুত্র দ্বিতীয় ঘরে এল।সেটা হলো রাজদরবার। সোনার প্রদীপ দিয়ে বাতি জ্বলছে। সিংহাসনে পাথরের রাজা বসে আছেন। মন্ত্রী পাত্র-মিত্র সিপাই লস্কর সব পাথরের মূর্তি। স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চারদিক নিস্তব্ধ। কোন কথা নেই, হাসি নেই, নড়াচড়া নেই। রাজার মাথায় রাজছত্র হেলে আছে। সবাই যেন গভীর ঘুমে ডুবে গেছে। তৃতীয় ঘরে ঢুকে রাজপুত্র দেখল ঘরটা শুধু ধনদৌলতে ঠাসা। চারদিকে হিরে মণি-মুক্তো ছড়িয়ে রয়েছে। সেই সব কিছুই ধরলো না। চতুর্থ ঘরে গিয়ে ঢুকলো। এই ঘরে পা দিতেই রাজপুত্র মিষ্টি ফুলের গন্ধে বিভোর হয়ে গেল। এই পদ্ম ফুলের গন্ধে চারদিক মম করছে। তবে মজার কথা হল। এই পদ্মফুল গুলো শুকনো জায়গায় ফুটে রয়েছে আশেপাশে কোন জলের চিহ্ন নেই। আস্তে আস্তে রাজপুত্র সামনে এগিয়ে গেল। দেখে ফুলবনে সোনার পদ্মফুলে এক অপূর্ব সুন্দরী রাজকন্যা ঘুমিয়ে আছে ঋ রাজকন্যা হাত পা শরীর কিছুই দেখা যাচ্ছে না, শুধু তার টলটলে মিষ্টি মুখটা সোনার পাপ্রি গুলোর সঙ্গে মিশে রয়েছে। রাজপুত্র অবাক হয়ে সব দেখতে লাগল। এমন অদ্ভুদ রাজপুরী সে আগে কখনো দেখেনি। রাজপুত্র ঠিক করল, যতদিন না এই রাজকন্যার ঘুম ভাঙবে ততদিন যে এই রাজ পরিত্যাগ করবে না। বছরের পর বছর কেটে যেতে লাগলো। কারো ঘুম ভাঙ্গে না। রাজকন্যা এতই ঘুমে বিভোর যে বিশময় তাকে দেখতে থাকে রাজপুত্র। এভাবেই দিনগুলো কাটতে থাকে। হঠাৎ আজ ফটো দেখতে পায়, রাজকন্যার মাথার সামনে এক সোনার কাঠি, পায়ের সামনে রুপার কাঠি। রাজপুত্র সোনার কাছে নিয়ে এদিক ওদিক দেখতে থাকে। টুক করে রাজকন্যার গায়ে পড়ে গেল সোনার কাঠি তা। ব্যাস সঙ্গে সঙ্গে ঢাকঢোল বেজে উঠলো। পাখিদের গান শুরু হয়ে গেল। রাজকন্যা হাত-পা নেড়ে ঘুম থেকে উঠে বসালো।
পর্ব দুই এ পর্যন্তই। আসসালামুয়ালাইকুম। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।