ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে, ভ্রমণ মানুষের মস্তিষ্ক ফ্রেশ রাখে।মানুষের মনকে প্রফুল্ল করে তোলে ভ্রমণ। একটি সুন্দর পরিবেশে ভ্রমণ মানুষের শরীর মন সবকিছুই চাংগা রাখে।ভ্রমণ আমারও খুব পছন্দ, তাই অনেক জায়গায় ভ্রমণ করেছি জীবনে। তেমনি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার জীবনের একটি ভ্রমণ কাহিনি।
ভ্রমণ করেছিলাম ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায় সেখানে রয়েছে খুব সুন্দর সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র, যেমন – বেতুয়া প্রশান্তি পার্ক, জ্যাকব টাওয়ার, শেখ রাসেল পার্ক প্রভৃতি।
ভোলা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের একটি জেলা।বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দ্বীপ হলো ভোলা জেলা। প্রথমে আমরা যাই ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলায়, সেখানে আমাদের যেতে যেতে রাত ৯টা বাজে। সেখানে এক পরিচিতদের বাসায় আমরা রাত কাটাই। পরেরদিন সকালে আমরা লালমোহন উপজেলার সৌন্দর্য উপভোগ করি,দুপুরের দিকে আমরা রওনা হই চরফ্যাশন উপজেলার উদ্দেশ্যে।যেতে যেতে প্রায় বিকেল হয়।
অতপর আমরা চরফ্যাশন উপজেলার সৌন্দর্য উপভোগ করি মন ভরে।
#বেতুয়া_প্রশান্তি_পার্ক
প্রথমে আমরা গিয়েছিলাম বেতুয়া প্রশান্তি পার্ক।ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায় অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বেষ্টিত এই পার্ক। এক অন্য রকম প্রশান্তি খুঁজে পাওয়া যায় এই পার্কে। বেতুয়া নদীর বুকে অবস্থিত এই প্রশান্তি পার্ক। নদীর বুকের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে এই পার্কে। এখানে বসে সূর্যোদয়ের দৃশ্য, মেঘনা নদীর মন মাতানো ঢেউয়ের খেলা, নদীর পাড়ের অন্যরকম দৃশ্য, মেঘনা নদীতে জেলেরা ইলিশ মাছ শিকারের দৃশ্য আর রাতের আঁধারে মনোরম আলোক সজ্জার দৃশ্য দেখে মন কেড়ে নেয় ঘুরতে আসা সকল মানুষের। দক্ষিণে সাগর মোহনার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুকরি-মুকরি, ঢালচর, তারুয়া সৈকত প্রাকৃতির এক অপার সৃষ্টি এবং পার্কের পুর্ব দিকে মনপুরা দ্বীপ ।
#জ্যাকব_টাওয়ার
তারপর সন্ধ্যার দিকে আমরা চলে যাই উপমহাদেশের সবচেয়ে উঁচু ওয়াচ-টাওয়ার জ্যাকব টাওয়ারে।বাংলাদেশের ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায় অবস্থিত এই ওয়াচ-টাওয়ার আইফেল টাওয়ারের আদলে নির্মিত ১৬তলা বিশিষ্ট। পুরো টাওয়ারে ৫০০জন দর্শক অবস্থান করতে পারবে। টাওয়ারের উপর দিয়ে এক অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করা যায়। প্রায় ২০কোটি টাকা ব্যয় করা হয় এই টাওয়ার নির্মানে। তবে যারা উচ্চতা ভয় পায় তারা উপরে না যাওয়াই ভালো।
#শেখ_রাসেল_শিশু_ও_বিনোদন_পার্ক
জ্যাকব টাওয়ারের বিপরীত পাশেই অবস্থিত শেখ রাসেল শিশু ও বিনোদন পার্ক।নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নির্মিত হয়েছে এই পার্ক।পার্কটিতে রয়েছে শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা, নারীদের ওয়াকওয়ে এবং বসার স্থানসহ আরও অনেক কিছু। এই মাঠের আয়তন ১দশমিক ২১ একর।ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০কোটি টাকা।চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে তৈরী করা হয়েছে পার্কটি।পার্কটিতে আরও কিছু নতুনত্ব পরিকল্পনা করেছেন,পরিবেশ,বন ও জলবায়ু উপমন্ত্রী।
মানসিক প্রশান্তি পেতে ঘুরে আসুন ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায়। শত ব্যস্ততার মাঝেও একবার অবশ্যই ঘুরে আসা উচিত সবার।আমাদের দেশের এক অপূর্ব পর্যটন কেন্দ্র ঘরে উঠেছে এই উপজেলায়।