করোনাভাইরাস এর টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু তা অনেক ক্ষেত্রে আশার কথা শুনায় এবার আসার কথা শোনালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।এ বছরে সব টিকার 10 কোটি ডোজ এমন কি আগামী বছর অন্তত 200 কোটি ডোজ তৈরি হতে পারে বলে বলে মনে করা হয় ৷ একই কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বিশেষজ্ঞ |তিনি বলেছেন এ বছরেই টিকা পাবে সমগ্র বিশ্ব ৷ যা এ ভয়ঙ্কর মহামারী থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে বলে মনে করা হয় ৷তাই করোনা নিয়ন্ত্রনে আর বিস্তৃত দেয়ার সুযোগ প্রদানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করা হয়।একবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌম্য সীমানাথান বলেন ,বর্তমানে বিজ্ঞানীরা বিশ্বব্যাপী 200 এর অধিক টিকা নিয়ে কাজ করেছেন ৷এর মধ্যে অন্তত দশটি মানবদের পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে ৷তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের মধ্যেই ২-৩ টি সফল টিকা পেতে পারে বিশ্ব ৷এর উপর ভিত্তি করে কাজ চলে যাচ্ছে ৷তিনি আরো বলেন যে এ বছর 10 কোটি ডোজ তৈরি করা হতে পারে আর আগামী 2021 সালে 200 কোটি ডোজ আমরা পেতে পারবো ৷এখন পর্যন্ত তথ্য দিয়েছে যে নতুন করোনার কারণে সৃষ্ট অসুস্থতাকে পরিবর্তন করতে পারে নিজের মধ্যে এমন কোন রূপান্তর ঘটাতে পারেনি এমন সম্ভাবনা পাওয়া যায়নি৷নোবেল করোনাভাইরাস এর সরকারি প্রাথমিক পরীক্ষার ফল উৎসাহব্যঞ্জক ৷আমরা এ নিয়ে অনেকটাই আশাবাদী হতে পারি যে টিকা আবিষ্কার করা সম্ভব৷ টিকা আবিষ্কারে তালে তাল মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে পুরো পৃথিবী ৷যুক্তরাষ্ট্রের কোভিড 19 বিষয়ক কমিটির প্রধান উৎস সরকারিভাবে বলেন,কিছু এলাকায় বিকল্প কিছু পাওয়া যেতে পারে ৷ যেমন প্রতিদিন স্কুল খোলার পরিবর্তে একদিন বাদে একদিন স্কুল চালু করা ৷ সকালে বা বিকেলে স্বিফট করা ৷মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসা প্রভৃতি নিয়ম মানা হতে পারে ‘ দেশের সীমান্ত কবে নাগাদ খোলা হতে পারে এমন প্রশ্নে কিছু বলা যায় না ৷স্পষ্টতই অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ কিছুটা স্বাভাবিক ফিরে আসার আগ্রহ রয়েছে ৷কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমা বলা যাচ্ছে না ৷এর আগে গত মাসে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয় ,আগামী বছর শুরুর আগেই এক-দুটি করোনা টিকা আসতে পারে ৷ ভয়ঙ্কর এই ভাইরাসকে পরাস্ত করতে দেড়শ কোটি ডোজ টিকা দরকার হবে বলেও জানান কোম্পানিগুলোর নির্বাহীরা ।টিকা আবিষ্কার হলে 3 গ্রুপের মানুষের জন্য এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়বে ৷ তারা হলেন :করোনা যোদ্ধ তথা চিকিৎসা কর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং সামনের কাতারে কাজ করে থাকে তারা৷
সূত্রঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা,BBC।
কপিরাইট: এর কোনো কপিরাইট নেই ৷