হেই বন্ধুরা তোমরা সবাই কেমন আছো। আশা করি সবাই ভালো আছ,আজ তোমাদের মাঝে নতুন একটা টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি।
বন্ধুরা আমরা জানি চাঁদ প্রতি বছর পৃথিবী থেকে আস্তে আস্তে দূরে চলে যাচ্ছে। কিন্তু কখনওই কি এর বিপরীত ভাবে ভেবে দেখেছেন, অর্থাৎ চাঁদ যদি পৃথিবীর নিকটে এসে পড়ে তাহলে কি হবে? আজ আপনাদের সাথে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।আশা করি পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়বেন।
চলুন শুরু করা যাক,,,,
বন্ধুরা আমাদের পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি অর্থাৎ gravity এতটাই বেশি, যে এটি বহু কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চাঁদের সার্ফেসেও তার প্রভাব দেখায়।ঠিক তেমনি চাঁদও পৃথিবীর উপর তার মধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাত দেখায়।
পৃথিবীতে এই প্রভাব বা আকর্ষণ সাধারণভাবে, আমরা সমুদ্রতে তৈরি হওয়া জোয়ারভাটা রূপে দেখে থাকি। যেখানে নদী ও সমুদ্রের পানির স্তর কমতে ও বাড়তে থাকে।আর চাঁদেও পৃথিবীর কারনে জোয়ারভাটা সৃষ্টি হয়। যাকে লুনার বডি টাইটস বলা হয়।আর চাঁদের সলিড সার্ফেস এর কারণে এটিকে সাধারণভাবে দেখতে মুশকিল হয়ে যায়।
আমাদের পৃথিবী ও চাঁদের আকার এতই বড় যে,এই মধ্যাকর্ষণ শক্তির ফলে তৈরি হওয়া সাধারণ ভুমির উপর তৈরি হওয়া এর প্রভাব দেখতে পাওয়া অনেক মুশকিল হয়ে যায়।
নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকার কারণে আমাদের পৃথিবীতে চাঁদ দ্বারা সংঘটিত জোয়ারভাটা নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়।যার কারণে নদী ও সমুদ্রে বসবাসরত জীব জন্তুদের জীবন সামঞ্জস্য থাকে।যদি চাঁদ হঠাৎ গায়েব হয়ে যায় , তবে আমাদের পৃথিবীতে জোয়ারভাটা হওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে।অনেক সামুদ্রিক এবং নদীর জীবের জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে।
এবং যদি চাঁদ এবং পৃথিবীর দূরত্ব অনেক কমে যায় তবে সমুদ্রতে বহু বিশাল আকারের ঢেউ আসা শুরু করবে।আমরা সবাই জানি যে পৃথিবীর ঘূর্ণন এবং সূর্যের কারনে আমাদের পৃথিবীতে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়।তদ্রূপ এটাও সত্যি, চাঁদের কারণে আমাদের আবহাওয়া স্থির থাকে।চাঁদের কারণে পৃথিবীর ঘূর্ণন ২৩.৪ ডিগ্রি কোণে ঝুঁকে আছে।যার কারণে যুগ যুগ ধরে আমাদের জলবায়ু চক্র একটা সমতার মধ্যে দিয়ে চলছে। বিজ্ঞানীদের মতে চাঁদ না থাকলে আমাদের একদিন কেবল আট থেকে বারো ঘণ্টা দীর্ঘ হতো।
বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি এতই বেশি যে,চাঁদের সামনের পৃষ্ঠে ২০ ইন্চি পর্যন্ত লুনার বডি টাইটস তৈরি করতে পারে( নাসা’র সুত্র মতে)।যা থেকে বোঝা যায় যে চাঁদ এবং পৃথিবীর মধ্যবর্তী এই মধ্যাকর্ষণ শক্তি অনেক বড় ভুমিকা পালন করে।
পৃথিবী থেকে চাঁদের গড় দূরত্ব প্রায় ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪ শত কিলোমিটার। এবং চাঁদের ঘূর্ণন ইলেকট্রিকাল। আর ব্রহ্মাণ্ডে ঘটা যেকোন পরিস্থিতির জন্য চাঁদের ঘূর্ণন বদলাতে পারে।এমনকি এটি আমাদের পৃথিবীর দিকে চলে আসতে পারে।
যদি এমন বিপর্যয় ঘটে তাহলে আমাদের পৃথিবীর সাথে কি ঘটতে পারে????
আর কি কি প্রভাব পড়তে পারে????
জানতে চাইলে অপেক্ষা করুন ,,,, খুব শীঘ্রই আসব।
পোস্ট পড়ে আপনার একটু উপকার হলে শেয়ার করতে ভুলবেননা।
আর ভুল হলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাকে জানাবেন।
ধন্যবাদ।