আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। সেই কামনায় করি।
বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কার কে কাজে লাগিয়ে এখন অনেক ধরনের জটিল রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে। শুধু যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগ নির্ণয় করা যাচ্ছে ঠিক তা নয় অনেক জটিল রোগ ও নিরাময় করা সম্ভব হচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে। যা অতীতে কল্পনা করা যেত না তা এখন সত্য। আজকে এই পোস্টটি মূলত চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিজ্ঞান প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে।
বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাজে লাগছে এমন একটি যন্ত্রের নাম ইসিজি।এর অর্থ হলো ইলেকট্রোকার্ডিয়াম। ইসিজি করে মানুষের হৃদপিন্ডের স্পন্দন ও পেশী জনিত কাজকর্মগুলো পর্যবেক্ষণ করা যায়। ইসিজি মেশিন অত্যন্ত সহজ সরল ঝামেলা মুক্ত হওয়ায় শরীরের ভিতরকার হৃদপিন্ডের অবস্থান সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুব সহজেই পাওয়া যায় বলে এই রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যাপকভাবে প্রচলিত।
ইসিজি মেশিন ব্যবহার করে হৃদপিন্ডের স্পন্দন হার ও ছন্দ ময়তা পরিমাপ করা যায়। ইসিজি মেশিন ব্যবহার করতে হলে প্রথমে দুই হাতে দুটি, দুই পায়ে দুটি 6 টি হৃদপিন্ডের অবস্থান সংলগ্ন বুকের উপরে লাগানো হয় প্রত্যেকটি ইলেকট্রোড থেকে তাদের সংকেত সংগ্রহ করা হয়। যখন এই সংকেতগুলো ছাপানো হয় তখন সে সেটিকে বলা হয় ইলেকট্রো কার্ডিওগ্রাম। ইসিজি মেশিন সাধারণত হৃদপিন্ডের রোগী, হাঁপানি রোগী সহ আরো অনেক কাজেই এই মেশিন ব্যবহার করা হয।় বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটি একটি খুবই প্রয়োজনীয় জিনিস। এছাড়া এই রকম আরো অনেক যন্ত্র বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ব্যবহার করা হয়। সুতারং বর্তমান চিকিৎসায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক।
এছাড়া চিকিৎসকরা বিভিন্ন ঔষধ বানাতেও প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
চিকিৎসকরা গবেষণা প্রযুক্তি ব্যবহার করে টিকা উৎপাদন করছে।যা রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি উৎপাদনে সক্ষম হচ্ছে।
আশা করি আপনাদের পোস্ট টি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।