আসসালামু আলাইকুম
চুল পড়া রোধে আমরা কত কিছু ই না করি। অনেক কিছু তেই আমরা আমাদের চুল পড়া রোধ করতে পারি। কিন্তু কে না চায় সোজা, ঝরঝরে, সিলকি চুল?? হ্যাঁ এবার কথা বলবো চুল সোজা এবং ঝলমলে করার উপায়। তার আগে কিছু কথা বলে নেয়া ভালো অনেক ক্ষেত্রে জিনগত কারণে চুল কোকড়া বা বাকা হয়। কিন্তু চুল স্ট্রেইটনারের সাহায্যে চুল সোজা করা বা অতিরিক্ত রঙ করার মাধ্যমে চুল পাতলা ও দুর্বল হয়ে যায় । সেক্ষেত্রে চুল কোকড়া দেখায়। তাই অবশ্য ই এসমস্ত উপায় থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাহলে মূল কথা য় আসা যাক।চুল প্রাকৃতিক ভাবেই সোজা করার কিছু উপায়..
১। প্রথমেই জেনে নেই চুল সোজা করতে গরম তেলের ব্যবহার। এক্ষেত্রে নারকেল তেলের সাথে বাদাম তেল,ক্যাস্টর ওয়েল,ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে চুলে ম্যাসেজ করতে হবে। এটি নিয়মিত করতে হবে।
২।৷ চায়ের লিকারঃঃ পরিষ্কার চুলে বা গোসল এর পর চা এর পানির সাথে এলোভেরা জেল এবং পরিমাণ মতো লেবুর রস নিয়ে সেটা সম্পুর্ণ চুলে লাগাতে হবে। এটি সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার দিন নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।
৩।।ঢেরসের ব্যবহার ঃঃ এটি অত্যন্ত সহজলভ্য কিন্তু সিজনাল। অবাক হলেও সত্যি এই সবজি টির সাহায্যে চুল সোজা করা যায় প্রাকৃতিক ভাবেই। এক্ষেত্রে ঢেরস কেটে পানিতে বেশ কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবং ঢেরস কচলে উঠিয়ে নিতে হবে। তারপর ওই পানি টাকে জ্বাল দিতে হবে অল্প আঁচে। খানিক ক্ষণ পরেই দেখা যাবে পানিটা অনেক ঘণ হয়ে জেল এর মতো দেখাচ্ছে। তখন ই তৈরি রেমিডি। এটি পুরো চুলে লাগিয়ে এক ঘন্টা মতো রেখে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন করে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।
৪।।কাঁচা দুধঃঃ কাঁচা দুধ চুল সোজা করতে অতি কার্যকরী। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো কাঁচা দুধ নিয়ে সারা চুলে লাগাতে হবে এবং চুল বার বার আঁচড়াতে হবে। ব্যাস এক ঘন্টা রেখে ধুয়ে নিতে হবে।
৫।। তিসির জেলঃঃ তিসি আমরা কম বেশি সবাই চিনি। এই তিসির জেলের সাহায্যেও চুল সোজা করা যায়। প্রথমে এক টেবিল চামচ তিসি নিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে জ্বাল দিতে হবে অল্প আঁচে। তারপর কিছু ক্ষণেই তৈরি হয়ে যাবে একটা ঘণ জেল। জেল টা অনেক ঘণ বা অনেক পাতলা করা যাবে না। ব্যাস চুলে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলেই ধুয়ে নিতে হবে।
যেহেতু এই পদ্ধতি গুলো ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক তাই অবশ্য ই এগুলো নিয়মিত এবং এক্টু সময় ধরে করতে হবে। এক্ষেত্রে চুল পড়া যেমন বন্ধ হবে তেমনি চুল হবে প্রাণবন্ত এবং সাথে সাথে ঝরঝরে, সোজা এবং সিলকিও হবে। ধন্যবাদ