ইদানিং দেখা যাচ্ছে কাজ করার প্রবণতা কমে গেছে নতুন প্রজন্মের ভিতর। স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে নতুন প্রজন্ম। বিদেশী কালচার প্রবেশের মাধ্যমে বেড়ে যাচ্ছে সহিংসতা। সব কালচারেরে পরিবর্তন থাকে।তবে আমাদের কালচার পরিবর্তন হচ্ছে খুব দ্রুত। বলতে গেলে হঠাৎ পরিবর্তন হয় ছেলে-মেয়েদের ফ্যাশন। অন্তত নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে পরিবারকে সহায়তা করার মানসিকতা তারা হারিয়ে ফেলছে।
গেইম খেলতে যেয়ে হাত ব্যথা হয়ে যাওয়ার পর ডাক্তারের কাছে যে যাবে সে বিষয়েও তাদের অনীহা। তাদের কর্মদক্ষতা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কম বয়সী শিশু থেকে তরুণদের মাঝেও বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। তাহলে জেনে নেয়া যাক বর্তমান সময়ের এই কর্মবিমুখতার পাঁচটি কারণ।
১.স্যোসাল স্টাটাস নিয়ে ভুল ধারণা
কাজ করলে সম্মান অথবা সামাজিক মর্যাদা নষ্ট হয়ে যাবে। এ ধরণের প্রচলিত ভুল ধারণা রয়েছে। কাজে কখনো মর্যাদা নষ্ট হয় না বরং বাড়ে। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষকে দেখেছি কাঁচি দিয়ে গাছের গোঁড়া পরিষ্কার করতে।
২. শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুল ধারণা
একটি বিষয় লক্ষ্য করবেন কেউ প্রকৌশল পড়ে যদি মাছের ব্যবসা করে তবে সেটা নিউজ হয়। ধারণাটি ছোট পরিসরে ভাবতে গেলে একজন উচ্চমাধ্যমিকে পড়া শিক্ষার্থী গরুর পরিচর্যা করতে গেলে লজ্জার স্বীকার হতে পারে। ধারণাটি ভুল। প্রত্যেক কাজ গুরুত্বপূর্ণ সেটার সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন সম্পর্ক নাই।
৩. আসক্তি
আর একটি বিষয় খেয়াল করবেন কোন আসক্ত ব্যক্তিকে যদি বলেন আপনি এটা কেন করছেন? এটা তো ভালো না। সে সেই বিষয়ে বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে বলবে সেটা ভালো। এমনকি সেই বিষয়ে সঠিক পরিসংখ্যান বলে দিবে গড় গড় করে।ঠিক তদ্রুপ স্মার্টফোনে আসক্তরাও একি কথা বলবে।অথচ এটি তাদের বাস্তব জগত থেকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। অনেক কে বলতে শুনবেন গেইম বানিয়ে অথবা ব্লগ করে অনেক টাকা কামাই করছে বিদেশীরা। ওরা কি হাত পা গুটিয়ে কাজ না করে সেটা করছে!
৪. ভয়ঙ্কর শব্দ বিষণ্ণতা
বিষন্নতা মানুষের সব কর্মদক্ষতা নষ্ট করে দেয়। তবে সেটা হওয়ার কারণের মধ্যে একটি হল অবাস্তব উচ্চাকাঙ্ক্ষা । নিজের অবস্থান বুঝে পর্যায়ক্রমে লক্ষ্যের দিকে এগুতে হয়। পরিশ্রম ছাড়া আশা করা ঠিক নয়।পরিশ্রম ছাড়া আশা করলে ব্যর্থতা বেশী করে চোখে পড়বে। তবে বিষণ্ণতা তিব্র মাত্রায় হলে ভালো চিকিৎসকের সু-পরামর্শ নিতে হবে।
৫.আত্মবিশ্বাসের অভাব
আত্মবিশ্বাসের অভাবেও অনেকে কাজ করতে পারে না। আমি এটা পারব এ ধরণের ভাবনা তাদের মধ্যে নাই। বার বার ব্যর্থ হলে যা হয় আর কি। তাদের জন্য বিশেষ কাউন্সিলিং দরকার।