আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। আজকের বিষয়ঃ জমির নকশা কোথায় পাওয়া যায়, অনলাইনে দেখার উপায় । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
জমির নকশা কোথায় পাওয়া যায়, অনলাইনে দেখার উপায়
জমির নকশা কোথায় পাওয়া যায়? অনলাইন থেকে কি জমির নকশা বের করা যায় কি না? আপনার মাঝে এরকম প্রশ্ন যদি এসে থাকে তাহলে আপনি সঠিক স্থানেই এসেছেন। জমির নকশা সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য জানতে আমাদের আর্টিকেল টি সম্পূর্ণ পড়ুন।
আপনি এই আর্টিকেল টি পড়তে আসছেন এর কারণ হয়তো আপনি আপনার জমির নকশার ডকুমেন্ট যেকোনো কারণে হয়তো হারিয়ে ফেলেছেন কিংবা চুরি হয়ে গেছে কিংবা কোন ক্ষতি হয়েছে। জমির নকশা, দলিল এবং এই জাতীয় সকল ডকুমেন্টস খুবই প্রয়োজনীয়, যা আপনার কাছে খুব যত্ন সহকারে রাখা উচিত এর অন্যতম দুইটি কারণ হলো:
- ১. জমির নকশা ছাড়া আপনি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না,
- ২. জমির নকশা ছাড়া আপনি জমি বিক্রিও করতে পারবেন না।
আমরা প্রায়ই জমি দেখিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করি তাই ব্যাংকের রিকুয়েরমেন্ট অনুযায়ী জমি বা ভূমির অবশ্যই সঠিক নকশা থাকতেই হবে। জমির তিনটি জিনিস খুব যত্ন সহকারে রাখতে হবে:
- ১. খতিয়ান ও পর্চা
- ২. জমির দলিল
- ৩. জমির নকশা
খতিয়ান বা পর্চা: এক কোথায় খতিয়ান বলতে, জরিপ বিভাগ থেকে জমির মালিকের সম্পূর্ণ পরিচয় অর্থাৎ:
- ১. এক বা একাধিক মালিকের নাম
- ২. পিতা বা স্বামীর নাম
- ৩. ঠিকানা
- ৪. দাগ নম্বর
- ৫. ভূমির পরিমাণ
- ৬. অংশ
- ৭. খাজনা, ইত্যাদি
জমির দলিল: জমি কেনা বেচার ক্ষেত্রে জমির প্রাণ হচ্ছে দলিল, যিনি জমির মালিক তার কাছে জমির সবথেকে গুরুতপূর্ণ অংশ টি হল জমির দলিল, কারণ জমির মালিক যে আপনি এর একমাত্র প্রমাণ ই হলো জমির দলিল। জমির দলিল হতে হবে নিখুত এতে কোন ভুল হলে জমির ক্রেতার এই ভুল সংশোধন করতে হবে।
জমির নকশা: আপনি যে ভূমি টি ক্রয় করলেন তার একটি নকশা দেয়া হয় তাকেই জমি কিংবা ভূমির নকশা বলে, খতিয়ান, দলিল এর মতই জমির নকশা খুব দরকারী কাগজপত্র।
জমির নকশা সাধারনত দুইটি অফিসে পাওয়া যাবে:
১. জেলা ডিসি অফিস: এই অফিস থেকে সকল প্রকার মৌজা ম্যাপ সংগ্রহ করা যাবে, যার জন্য আপনার ৫২০ টাকা প্রদান করতে হবে, এখন এর টাকার পরিমাণ কিছু তা বাড়তে পারে।
২. ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর: এই অফিস থেকেও আপনি সকল প্রকার ম্যাপ তুলতে পারবেন, এখানে আবেদনের খরচ ফর্ম থেকে শুরু করে কোর্ট ফি এবং ডিসি আর সহ মোট ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকার মতন খরচ হবে। এই অফিসের ম্যাপ সম্পূর্ণ বাংলাদেশে সবথেকে বেশি গ্রহণযোগ্য, তাছাড়া ম্যাপ তুলতে আপনার ২ থেকে ৭ দিনের মোট সময় লাগতে পারে।
অনলাইনে ভূমির নকশা ডাউনলোড
বর্তমানে অল্প কিছু সংখ্যক এলাকা বাদে জমির আর এস ম্যাপ, বি আর এস, আর এস ম্যাপ, এস এ ম্যাপ খুব সহজেই অনলাইনে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
ভূমির নকশা ডাউনলোড করতে সর্বপ্রথম এই লিংক টি তে ক্লিক করুন ” https://eporcha.gov.bd/map-search-panel ”
এর পর আপনার কাছে যে তথ্য গুলো চেয়ে সেগুলো ফিল আপ করে শেষে রকেট এর মাধ্যমে নির্ধারিত টাকা প্রদান করে রেজিস্ট্রেশন করে ফেললেই আপনার ভূমির ম্যাপ পরবর্তী প্রক্রিয়া অনুযায়ী আপনার হতে পেয়ে যাবেন।
আজ এই পর্যন্তই। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।