আসসালামু আলাইকুম। আজকে আমি আপনাদের বলতে যাচ্ছি জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম pdf সহ ডাউনলোড করুন ২০২২ ( জমি বন্ধক স্টাম্প লেখার নিয়ম )। তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
জমি বন্ধক কি জিনিস? চুক্তিপ্রত্র
জমি বন্ধক ঋণ নেওয়ার পর তা পরিশোধের একটি উপায়। ধরেন আপনার অনেক টাকার প্রয়োজন কিন্তু আপনার কাছে কোনো টাকাই নেই। সেক্ষেত্রে আপনি ঋণ দাতাকে কিভাবে সেই ঋণের টাকা ফেরত দিবেন? এসকল ক্ষেত্রেই আসে বন্ধক দেওয়া।
ধরেন আপনি কারো কাছ থেকে ১০০০০০০ (দশ লক্ষ টাকা) ঋণ নিয়েছে।
কিন্তু আপনার বর্তমানে তা পরিশোধ করার উপায় নেই। তখন আপনি আপনার জমি বন্ধক দিয়ে দিতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি যতদিন পর্যন্ত না ঋণ দাতাকে আপনার টাকা ফেরত না দেন ততদিন পর্যন্ত ঋণ দাতাই উক্ত জমি ভোগ করতে পারবে। বলতে পারেন ওই সময়ের জন্য ঋণদাতাই জমির মালিক।
জমি বন্ধক কিভাবে রাখে?
জমি বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার জন্য অবশ্যই দাতা ও গ্রহীতা উভয় পক্ষকে রাজি থাকতে হব। অর্থাৎ গ্রহীতা পক্ষ অর্থাৎ আপনি জমি বন্ধক নিতে ও এর বিনিময়ে টাকা দিতে রাজি থাকতে হবে। অপরদিকে দাতা পক্ষ অর্থাৎ যে আপনার কাছ থেকে ঋণ নিবে ও জমি বন্ধক দিবে তাকে রাজি হতে হবে৷ নিয়ে আপনাকে উক্ত পরিমাণ টাকা দিতে রাজি হতে হবে।
শুধু উভয় পক্ষ রাজি হলেই হবেনা। বর্তমানে জমি বন্ধক করে ঋণ দেওয়া ও নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম কানুন মানতে হয়। এর জন্য প্রথমেই একটি চুক্তিপত্র তৈরি করতে হয়। একে জমির বন্ধক নামা বলা হয়। তো এই চুক্তিপত্রে কি কি থাকে ও কি কি লিখতে হয় বা করতে হয় তা নিম্নে দেওয়া হলো।
জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম
এই বন্ধক নামায় যা যা থেকে তা আমি বলে দিচ্ছি। প্রথমে এই চুক্তি করার জন্য আপনার সাক্ষী রাখতে হবে। প্রথমে এই চুক্তি যে তারিখে করা হয়েছে সে তারিখটি দিতে হবে। এই বন্ধক নামার দুটি পক্ষ থাকে। প্রথম পক্ষ যেটি হচ্ছে গ্রহীতা পক্ষ ও দ্বিতীয় পক্ষটি হচ্ছে দাতা পক্ষ।
প্রথমে প্রথম পক্ষ অর্থাৎ গ্রহীতা পক্ষ তার নাম, পিতার নাম দিতে হবে। এর পর দিতে হবে সাং, ডাক, উপজেলা ও জেলার নাম দিতে হবে। দ্বিতীয় পক্ষের ক্ষেত্রেও একইভাবে নিজের নাম, পিতার নাম, সাং, ডাক, উপজেলা ও জেলার নাম দিতে হবে।
এর পরে দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় একট স্বীকারোক্তি টাইপ লিখতে হবে। লিখতে হবে যে,
আমি দ্বিতীয় পক্ষ মোঃ ক। আমার টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় অন্য কোন উপায় না পাইয়া আমার ৫০ শতক আবাদী জমি যাহার মৌজাঃ—————————জে,এল,নং————-খতিয়ান নং-সাবেক ——-নতুন——–, দাগ নং-সাবেক————— নতুনঃ——————–বন্দক রাখার প্রস্তাব করিলে প্রথম পক্ষ উহা বন্ধক গ্রহণ করিতে সম্মত হন। উক্ত জমির বিপরীতে এক লক্ষ টাকা, একযোগে বুঝিয়া পাইয়াছি, উক্ত জমি বন্দক ৩ বছরের জন্য। উপস্থিত স্বাক্ষীগনের সম্মূখে নিজ নাম সহি সম্পাদন করিলাম।
এরপরে দাতা ও গ্রহীতা উভয় পক্ষের নাম ও স্বাক্ষর দিতে হবে৷ দাতা বা গ্রহীতা পক্ষের কেউ যদি স্বাক্ষর দতে না পারে সেক্ষেত্রে টিপসই দেওয়া যেতে পারে।
এরপরে সাক্ষীগণের স্বাক্ষর দিতে হবে। উভয় পক্ষেরই কমপক্ষে এক থেকে দুই জন সাক্ষী থাকতে হবে। উক্ত সাক্ষীগণকে তার নিজের নাম, পিতার নাম, গ্রাম, ডাক, উপজেলা ও থানা দিতে হবে।
জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম pdf এখান থেকে ডাউনলোড করুন।
তো আজকের জন্য এতটুকুই। আবার কয়েকদিন পর আপনাদের সামনে নতুন কোনো টপিক নিয়ে হাজির হব। ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সেই কামনায় আজকের জন্য বিদায় জানাচ্ছি। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর Facebook Group এর সাথেই থাকুন, আল্লাহ হাফেজ