জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে লাইফ-স্টাইল বদলানো উচিত। বাস্তবে সাবলীল মানুষকে কে না পছন্দ করে। আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে স্মার্ট হওয়ার কতটা প্রয়োজন তা আমরা সবাই জানি। আপনি জীবনে কতটা সফল হবেন তা নির্ভর করে আপনি কতটা স্মার্ট তার উপর। সকালে ঘুম থেকে উঠে কর্মস্থলে যাওয়ার পর থেকে সন্ধ্যায় বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরতে স্মার্ট থাকাটা জরুরী। আপনি যদি সবার সামনে এভাবে কথা বলতে না পারেন নম্র, ভদ্রভাবে সবার সামনে পেশ হতে না পারেন তাহলে পরবর্তীতে আপনাকে কেউ শুনতে চাইবে না। কেউ আপনার কথার গুরুত্ব দিবে না। সবার কাছ থেকে পাত্তা হাড়িয়ে ফেলবেন।
.
কোন একটি বিশেষ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে স্মার্ট হওয়া যায় না। বরং স্মার্ট হওয়ার সকল অভ্যাস গুলো যথাযথভাবে আয়াত্বে আনলে ও নিয়মিত অনুশীলন করলে ধীরে ধীরে স্মার্ট হয়ে ওঠা সম্ভব. স্মার্ট হওয়ার জন্য বেশকিছু অভ্যাস আপনাকে গড়ে তুলতে হবে যেমন,
১) সাবলীল, মার্জিত ও সুন্দর ভাষায় কথা বলতে হবে:
স্মার্ট হওয়ার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে যে অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে সেটা হলো সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় কথা বলা। ছোট-বড় সবার সাথে নম্র ও ভদ্র ভাবে কথা বলতে হবে। রাগের সুরে বা কর্কশ কন্ঠে আপনি যদি কোন কথা বলেন, সেটি যতই ভালো হোক না কেন এবং কল্যাণকর হোক না কেন, মানুষ আপনাকে কখনো পছন্দ করবে না, বরং আপনাকে এড়িয়ে চলবে।
২) নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে:
যত বেশি বই পড়বেন ততো বেশি জ্ঞানী হবেন, আর যত বেশি জ্ঞানী হবেন ততোই আপনার আশেপাশের মানুষদের চেয়ে নিজেকে জ্ঞানী, অভিজ্ঞ হিসেবে তুলে ধরতে পারবেন। আর এতে করে আপনার কথার দাম মানুষের কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। তার জন্য বেশি বেশি ভালো বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ম্যাগাজিন, পত্রপত্রিকা ও বিভিন্ন আর্টিকেল মাধ্যমে নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে হবে।
নিত্যনতুন সকল বিষয়ে আপডেট থাকার চেষ্টা করতে হবে। পৃথিবীতে সাকসেসফুল ও বিলিয়ন টাকার মালিক প্রচুর বই পড়তেন। বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ, অ্যালোন মাক্স সহ অনেক বিখ্যাত মানুষ যারা সাফল্যের চূড়ায় আহরিত হয়েছেন। তারা সবাই প্রচুর পরিমাণে বই পড়েছেন। বর্তমানে বিল গেটস প্রচুর পরিমাণে বই পড়েন ও তার লেখা বই গুলো অনলাইন আর্টিকেলে পাওয়া যায়।
৩) শরীরের গঠন তথা ফিটনেস আকর্ষণীয় রাখা:
বর্তমানে কে না চাই সুন্দর ও আকর্ষণীয় আকর্ষণীয় ফিগারের অধিকারী হতে। নিজেকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে আকর্ষণীয় ফিগারের অধিকারী হতে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই তাজা ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা ও ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজেকে শক্তিশালী হিসেবে সবার সামনে উপস্থাপন করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একদিন বডিবিল্ডিং করতে হবে। এছাড়া প্রতিদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা ও তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গেলে নিজের ফিটনেস ভালো থাকে।
৪)সময়ের মূল্য দেওয়া ও নিত্যনতুন আইডিয়া বের করা:
স্মার্ট হওয়ার ভালো অভ্যাস হতে পারে প্রতিনিয়ত সময়ের মূল্য দেওয়া ও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিত্য নতুন আইডিয়া বের করার পাশাপাশি সে অনুযায়ী কাজ করা। যারা প্রতিনিয়ত নতুন আইডিয়া আইডিয়া বের করে তারাই প্রকৃত অর্থে স্মার্ট। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষতা ও যোগ্যতার সহিত আইডিয়া উদ্ভাবন করতে হবে। তাহলে ভালো হতে পারবেন, স্মার্ট হতে পারবেন ও সবার সাথে সবার সামনে ইউনিক হতে পারবেন।
৫) শিক্ষিত ও স্মার্ট মানুষের সাথে চলাফেরা করুন:
কথায় আছে “সৎ সঙ্গে সর্ববাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ”। স্মার্ট হতে প্রথমত আপনার সঙ্গী বাছাই করতে হবে। স্মার্ট মানুষের সাথে থাকলে আপনিও স্মার্ট হতে পারবেন। ভালো কিছু শিখতে পারবেন। স্মার্ট অশিক্ষিত মানুষের সাথে আড্ডা দিতে পারেন। তাদের আইডিয়া ও কার্যকর পরামর্শ নিয়ে নিজেকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।
কথা বলার সময় বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, কথাটা স্পষ্ট হচ্ছে কি না, শতভাগ সত্য ও নিশ্চিত কি না। অগোছালো ও তর্ক সৃষ্টি হয় এমন কোন কথা বলা যাবে না। প্রয়োজনের বেশি অতিরিক্ত কথা না বলাই স্মার্ট ও বুদ্ধিমান মানুষের বৈশিষ্ট্য। বিভিন্ন পরামর্শ ও কৌশলগুলো কাজে লাগাতে হবে। এই অভ্যাসগুলো নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে পারলে আপনিও সবার সামনে নিজেকে স্মার্ট হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবেন।