জীবন বড় কষ্টের বড় যন্ত্রণার এই বলে সুমন অনিকে ধরে কেঁদে দিলো |অনিক বলে ভাই সুমন তোকে আমি সবময় নিজের বন্ধু ভাবলেই মন থেকে তুই আমার ভাই | তুই সব কষ্টের কথা আমার সাথে বলবে এটাই আমি আশা করি |আজ তোর কান্না আমার হৃদয় টাকে ওলোটপালোট করে দিচ্ছে |আমি বুজতে পারছিনা কি এমন হয়েছে যে তুই আমাকে তা বলতে পারছিসনা|
সুমন শুনতেচাস আর আমি যদি তোকে এই জীবনব্যথা বলি তাহলে তুই কি করবে | অনিক বলে সুমন ভাই আমার তুই আমারে বল তোর কি হইছে |আমি তোরে কথা দিচ্ছি আমি আমার মত চেষ্টা করবো তোর এই হৃদয়ভরা দুঃখ দূর করতে | সুমন অনিকে বলে নারে ভাই পারবিনা আজ আর তুই পারবিনা এই বলে সুমন তার বাড়ি চলে গেলো| দূর থেকে দাঁড়িয়ে অনিকের ছোট বোন মায়া সব কথা শুনে তার দুই চোখ যেন জলে ভরে গেলো |
অনিক পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে তার বোন মায়া |কিরে মায়া তুই এখানে আর চোখ ভরা পানি কিরে কি হয়েছে তোর |যা মাকে গিয়ে ডাক সুমির বাড়ি থেকে ফোন এসেছে ওখানে যেতে হবে বিয়ের তারিখ ঠিক করতে সুমির বাবা আমায় আর মাকে যেতে বলেছে |
পরেরদিন বিকাল বেলায় সুমি সুমনের সাথে দেখা করতে তাদের বাড়িতে যায় |বাড়ি গিয়ে দেখে ওখানে অনিক আর সুমন এক সাথে বসে দুজন চা খাচ্ছে |সুমি ভাবছে অনিক সুমনের বাসায় কি করছে| সুমি জানেনা যে সুমনের ছোটবেলার বন্ধু অনিক |অনিক এতদিন বিদেশে থাকায় সুমন তার প্রিয় বন্ধু অনিকের সাথে পরিচয় করে দিতে পারিনি | সুমি বাড়ি চলে যায় |বাড়ি গিয়ে সুমনকে ফোন করে অনেকবার ফোন করে অনেকবার ফোন করার পর সুমন ফোন টা ধরেনি |
সুমন চাইনা তার বন্ধু অনিককে কষ্ট দিতে |সুমন চায় সুমি যেন অনেক সুখে থাকে |অনিক তার জীবনে প্রতিষ্ঠিত একজন মানুষ আর সুমন বেকার সুমিকে সে ভালো রাখতে পারবেনা |সুমির বাবা অনিকের সাথে সুমির বিয়ে ঠিক করেছে |একজন বাবা তার মেয়ের জন্য সঠিক পাত্র নির্বাচন করতে পারে |আর অনিকেই সুমির উপযুক্ত সঙ্গী |সুমন বার বার এটাই ভাবছে |এইদিকে সুমন আর সুমি অনেক কষ্ট পাচ্ছে |ঐদিকে অনিকেই জানেনা যে, যেই মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হইছে সে তার বন্ধু সুমনের ভালোবাসা |
সুমি পরেরদিন বিকেলে আবার সুমনদের বাসায় যায় |সুমনের মা সুমিকে দেখে বলে তুমি এখানে কেন এসেছো তোমার বাবা আমার ছেলেকে এত অপমান করেই শান্তি হয়নি এখন তুমি এসেছো অপমান করতে |সুমি বলে মা আপনি আমায় ভুল বুচ্ছেন |