আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহূ!
সাপ্তাহিক শুক্রবার পবিত্র জুমার দিন বিশ্ব মুসলমানদের একটা পবিত্র দিন, আর গরীব মানুষের জন্য এটা একটা হজ্ব স্বরূপ। ইবনে মাজাহ শরীফের ১০৮৪ নং হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দিন সমূহের মধ্যে জুমার দিন শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহ তা’আলার নিকট সর্বাধিক সম্মানিত। কুরবানির ঈদ ও ঈদুল ফিতরের দিন অপেক্ষাও তা আল্লাহ্ তা’আলার নিকট সর্বাধিক সম্মানিত। এ দিনে পাঁচটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
* এ দিনে আল্লাহ্ তা’আলা আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করেন,
* এ দিনেই আল্লাহ্ তা’আলা আদম (আঃ) কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন এবং এ দিনেই তাকে মৃত্যু দান করেন,
* এ দিনে এমন কিছু মুহূর্ত রয়েছে, যদি কোন বান্দা সে মুহূর্তে হারাম ব্যতীত কোন কিছু আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে, তবে তিনি সেটা দান করেন।
* আর এ দিনেই কেয়ামত হবে,
* নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগণ, আসমান যমীন, বায়ু, পাহাড় পর্বত ও সমুদ্র সবই জুমার দিনে শংকিত হয়।
বুখারী শরীফের ৮৩২ নং হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন জানাবাত (ফরজ) গোসলের মতো গোসল করে মসজিদে যায় সে যেন একটি উট কুরবানি করল। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে যে ব্যক্তি যায় সে যেন একটি গরু কুরবানি করল। তৃতীয় পর্যায়ে যে ব্যক্তি যায় সে যেন একটি মেষ কুরবানি করল। চতুর্থ পর্যায়ে যে ব্যক্তি যায় সে যেন একটি মুরগী দান করল। আর যে ব্যক্তি পঞ্চম পর্যায়ে যায় সে যেন একটি ডিম দান করল, এভাবে লিখতে থাকেন আর ইমাম সাহেব যখন খুতবা দেয়ার উদ্দেশ্যে বের হয় তখন ফেরেশতাগণ তাদের দফতর (খাতা) গুটিয়ে খুতবা শুরু করেন।
এ দিনে কিছু ফযিলতময় আমল আছে।
১। যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামায আদায় করার পর আপন স্থানে বসে “আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সয়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লিম তাসলিমা।” দরূদ শরীফ ৮০ বার পাঠ করবে। তার ৮০ বছরের ছগীরা গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদাতের সাওয়াব তার আমলনামায় লিখা হবে।
২। যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে তার জন্য এ জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত একটা নূর চমকাতে থাকবে।
৩। অপর হাদীসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে কিয়ামতের দিন তার জন্য আরশের নিচে আকাশ তুল্য একটি নূর প্রকাশ পাবে এবং বিগত জুমা থেকে এ জুমা পর্যন্ত তার সব ছগীরা গুবাহ মাফ করে দেয়া হবে।