সুন্দর ঠোঁট তো আমাদের সবারই ভালো লাগে। নরম, গোলাপি ঠোঁট কে না চায়? ঠোঁট আমাদের সারা মুখের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে। কিন্তু নানা কারণে আমাদের এই ঠোঁট কালচে হয়ে যায়। এই ঠোঁট কালচে হওয়ার জন্য আমরা ও আমাদের কিছু কাজ দায়ী। যেসব কারণে আমাদের ঠোঁট কালো হয় সেগুলো হলো:
আমরা কাজ করার সময় একটু পর পর লালা দিয়ে ঠোঁট ভেজাতে থাকি। এটি ঠোঁট কালচে হওয়ার প্রধান কারণ। এছাড়াও রয়েছে ধূমপানসহ আরও অনেক কারণ।অনেকের আবার জন্মগত কারণেই ঠোঁট কালো হয়ে থাকে।
তবে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে আমরাও নরম, গোলাপি ঠোঁট পেতে পারি। এই পদ্ধতিগুলো হল:
১.নারকেল তেলের সাথে মধু মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগান।
২.একটু হলুদ নিয়ে এর মধ্যে কাচা দুধ মেশান। এবার এটি ঠোঁটে লাগান।
৩.বিটরুটের রস লাগাতে পারেন।
৪.চিনি দিয়ে ঠোঁট ঘষবেন। কারণ চিনি ঠোঁটের মরা চামড়া ওঠায় সাহায্য করে।
৫.লেবুর সাথে চিনি মেশান। এরপর এই মিশ্রণ ঠোঁটে ঘষুন। এই কাজটি করলে ভালো উপকার পাবেন।
৬.প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে মধু লাগাতে পারেন। মধুর সাথে চাইলে অ্যালোভেরা মিশিয়ে লাগাতে পারেন।
৭. সকালে ঘুম থেকে উঠে এক টুকরো লেবুতে চিনি মিশিয়ে দেড় থেকে দুই মিনিট ঘষবেন। এতে ভালো উপকার পাবেন।
৮. কাচা দুধ বাটিতে করে নিয়ে এক টুকরো পরিষ্কার তুলা ভিজিয়ে সেটি ঠোঁটে ঘষবেন। এতে করে ঠোঁটের ময়লা উঠে যাবে।
৯. ধূমপান করা যাবে না। এতে ঠোঁটের অনেক ক্ষতি হয়। এটি ঠোঁট কালো হওয়ার জন্য বিশেষভাবে দায়ী।
১০. ঠোঁট লালা দিয়ে ভেজানো যাবে না। এর বদলে ভ্যাসলিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
১১. ঘুমাতে যাওয়ার সময় অ্যালোভেরা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
১২. গরমের দিনে টমেটো দিয়ে আপনার ঠোঁট ঘষে নিন। এতে করে আপনি ভালো উপকার পাবেন। কারণ টমেটো ঠোঁটের পোড়া জায়গা ঠিক করতে সাহায্য করে।
১৩. গোসল করার সময় কাপড়ের কণা দিয়ে ঠোঁট ভালোমতো পরিষ্কার করে নেবেন। গোসল শেষ করে ঠোঁটে মধু দিয়ে রাখবেন। কারণ ঠোঁট দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার না করলে ঠোঁটের ওপর আপনার অজান্তেই ছত্রাক আক্রমণ করতে পারে।
ঠোঁট কালচে থেকে গোলাপি হতে বেশ কিছু দিন সময় লাগে। তবে একটা প্রবাদ আছে “যত্ন করলে রত্ন মেলে”। দেহের প্রতিটি অঙ্গই আমাদের সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটিকে ছাড়া অপরটি অচল। ঠোঁট ছোট্ট একটি অংশ হলেও এটির গুরুত্ব কম নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, সৌন্দর্য শুধু মানুষকে দেখানোর জন্য নয়, বরং এটি নিজের সন্তুষ্টি ও রুচির বহিঃপ্রকাশ। শরীর পরিষ্কার ও সুন্দর হলে মনও ভালো থাকে। নিজের মনে প্রশান্তি অনুভূত হয়। তাই আমাদের উচিত আমাদের সারা দেহের প্রতি যত্নবান হওয়া।
জীবন গঠন করতে হবে শিক্ষা জীবন থেকে
শিক্ষা জীবনকে বলা হয় ভবিষ্যৎ গঠনের উত্তম সময়। কারণ একজন শিক্ষার্থীর আচার, আচরণ দক্ষতাই বলে দিবে সে ভবিষ্যতে নিজেকে কেমন...