Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য ও এর উপাদান।

সাধারণভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে বোঝায় তথ্য রাখা ও একে ব্যবহার করার প্রযুক্তি।তথ্য হলো যেকোনো বিষয় সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর যা ঐ বিষয় সম্পর্কিত জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে।।তথ্য প্রযুক্তি মূলত এমন একটি প্রযুক্তি যা যোগাযোগ, টেলিযোগাযোগ, অডিও,ভিডিও, কম্পিউটিং, সম্প্রচার সহ আরো নানাবিধ প্রযুক্তির সম্মিলনে দীর্গদিন ধরে চর্চার ফলে সমৃদ্ধি লাভ করে তথ্য প্রযুক্তি রূপে আবির্ভাব করেছে।কম্পিউটার এবং টেলিযোগাযোগ মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, বিনিময় এবং পরিবেশনের ব্যবস্থাকে তথ্য প্রযুক্তি নামে অভিহিত করা হয়।তথ্য প্রযুক্তির সাথে সবচেয়ে৷ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে৷ যোগাযোগ মাধ্যমের।তাই বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলেও অভিহিত করা হয়।বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি ও নীতিমালা অনুযায়ী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি হলো –
“যেকোনো প্রকার তথ্যের উৎপত্তি, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চালনে ব্যবহৃত প্রযুক্তি। ”
তথ্য ও৷ যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদানঃ
আধুনিক সভ্যতার ক্রমবিকাশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব৷ অপরিসীম। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির জন্য আজকের বিশ্ব বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করছে। সকল ক্ষেত্রেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার রয়েছে।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া বর্তমান বিশ্ব অচল।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো হলো –
১. অপচয় রোধ করে এবং দময় সাশ্রয়ী হয়।
২. তথ্যের প্রাপ্যতা সহজ হয়।
৩.তাৎক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব হয়।
৪.প্রশিক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডের গতি বৃদ্ধি করে
৫. দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
৬. ব্যবসা -বাণিজ্যে লাভজনক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
৭. ই- কমার্সের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পণ্যের বাজার সৃষ্টি করে।
৮. ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন জিনিস কেনা বেচা করা যায়।
৯. শিল্প প্রতিষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে মানুষের কাজ সহজ হয় এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং মান বৃদ্ধি পায়।
১০. মানবসম্পদের৷ উন্নয়ন ঘটে।
১১. ঘরে বসেই কম্পিউটার ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা গ্রহণ করা যায়।
১২. ঘরে বসেই পানি,বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদির বিল পরিশোধ করা যায় যার ফলে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না।
১৩.সরকারি ব্যবস্থায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা সম্ভব হয়েছে।
১৪. ঘরে বসে ই বিভিন্ন নাগরিক সেবা পাওয়া যায় খুব সহজে ই।
এবার জেনে নেয়া যাক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপাদান সমূহ কি কিঃ
১.কম্পিউটার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি
২.কম্পিউটিং
৩.রেডিও, টেলিভিশন
৪.অডিও, ভিডিও
৫.স্যাটেলাইট
৬.কম্পিউটার নেটওয়ার্ক
৭.ইন্টারনেট
৮.আধুনিক টেলিযোগাযোগ
৯.মডেম ইত্যাদি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিজ্ঞানের৷ মহান অবদান যার উপর ভিত্তি করে বর্তমান পৃথিবী টিকে আছে।

Related Posts

8 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No