তথ্য প্রযুক্তি(Information Technology)
বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ, আমাদের এই ব্যাস্ত জিবনে আমাদের এই ব্যস্ত সময়ের অনেকটাই এই তথ্য প্রযুক্তির পিছনে ব্যয় করে থাকি। কিন্তু আমরা কি জানি তথ্য প্রযুক্তি বলতে কাকে বোঝায়, বা আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য্য কোন পন্য গুলি তথ্য প্রযুক্তির আওতায় পরে। চলুন আজকে জেনে নেয়া যাক তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে কিছু কথা। তথ্য প্রযুক্তি বলতে, সাধারনত তথ্য রাখা এবং একে ব্যবহার করার প্রযুক্তিকেই বোঝানো হয়। একে ইনফরমেশন টেকনলোজ বা এইটি নামে অবিহিত করা হয়। অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারিতে তথ্য প্রযুক্তিকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এভাবে- “ The branch of technology concerned with the dissemination, processing, and storage of information, especially by means of computers” তথ্য প্রযুক্তি মূলত একটি সমন্নিত প্রযুক্তি, যা যোগাযোগ, টেলিযোগাযোগ, অডিও, ভিডিও, কম্পিউটিং, সম্প্রচার সহ আরও বহুবিদ প্রযুক্তির সম্মিলনে দির্ঘদিন চর্চার ফলে তথ্য প্রযুক্তি রুপে আর্বিভূত হয়েছে। সার্বিকভাবে বলতে গেলে কম্পিউটার এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ, একত্রীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, এবং বিনিময় বা পরিবেশনের অবস্থাকে তথ্য প্রযুক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তথ্য প্রযুক্তির সাথে যোগাযোক ব্যবস্থার রয়েছে নিবির সম্পর্ক। আর বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তিকে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি( Information and Communication Technology(ITC) বলা হয়।
তথ্য প্রযুক্তির অবদান।
আধুনিক সভ্যতার ক্রমবিকাশে তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব অপরিসীম। কম্পিউটারের নির্ভুল কর্ম সম্পাদন, দ্রুত গতি, স্থিতি, স্বয়ংক্রিয় কর্ম সম্পাদন, নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তথ্য আদান প্রদান, যোগাযোগ ইত্যাদি বৈশিষ্ঠের জন্য তথ্য প্রযুক্তির প্রোয়গ ক্ষেত্র আজ সুবিশ্রিত।
তথ্য প্রযুক্তির উল্লেখযোগ্য অবদান হলো-
১, অপচয় রোধ করে।
২, সময় সাশ্রয়ী হয়।
৩, তথ্যের প্রাপ্যতা সহজ হয়।
৪, তৎক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব হয়। ফোন, ল্যাক্স, ইন্টারনেট, ইমেইল, এসএমএস, এমএমএস, প্রভৃতি এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
৫, প্রশিক্ষণ ও সংশ্লিষ্ঠ কর্মকান্ডের গতিকে ত্বরান্বিত করে।
৬, সর্বক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
৭, ব্যবসায়-বাণীজ্যে লাভজনক প্রক্রিয়া সৃষ্টি করে।
৮, ই-মমার্সের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পণ্যের বাজার সৃষ্টি করা যায়।
৯, ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পছন্দের এবং প্রয়োজনীয় জনিসের অর্ডার দেয়া যায়।
১০, শিল্প প্রতিষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার মনুশ্যশক্তির অপচয় কমায়।
১১, মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটায়।
১২, শিক্ষার্থীরা এখন ঘরে বসেই অনলাইনে বিশ্বের বিভিন্ন নামী-দামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহন করতে পারছে।
১৩, ই- গভর্নেন্স চালুর মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের মধ্যে কাজের সমম্বায় ঘটান যায়।
১৪, সিটিজেন চার্টারের মতো নাগরিক সুবিধাগুলো ঘরে বসেই পাওয়া যায়।
১৫, ঘরে বসেই বিদ্যুৎ,পানি, গ্যাস,ফোনবিলের মত বিভিন্ন ইউটিলিটি বিলগুলো এখন মোবাইল ফোনেও দেয়া যায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণেই।
তথ্য প্রযুক্তির উপাদান
তথ্য প্রযুক্তিতে বর্তমানে যেসব মৌলিক উপাদান ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলো হলো-
১, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি(Computer and other devices)
2.কম্পিউটিং (computing)
3, রেডিও, টেলিভিশন, ফ্যাক্স (Radio, Television, Fax)
4, অডিও ভিডিও (Audio video)
৫, স্যাটেলাইট(Sattelite)
6, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক (Computer network)
৭, ইন্টারনেট (Internet)
৮, আধুনিক টেলিযোগাযোগ (modern Telecommunication)
৯, মডেম ইত্যাদি। (Modem etc.)