আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজকে ” তুমি কি সত্যি আমার !! ” গল্পের একাদশ তম পর্ব প্রকাশিত হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমার লেখা গল্প নিশ্চয়ই আপনাদের ভালো লাগে। যদি সত্যিই আমার লেখা গল্প আপনার ভালো লাগে তাহলে দয়া করে comment এ জানাবেন। আপনার একটি সুন্দর comment আমাকে গল্প লিখতে উৎসাহিত করে। অনেক ষন ধরে বকবক করছি। দয়া করে ব্যাং বিরক্ত হয়ে যাবেন না। চলুন পরবর্তী পর্বে যাওয়া যাক।
অবশেষে ঈতিশা ছবি দিতে রাজি হল। অনেক জোর করে দুইটা ছবি নিলাম। ওকে মটু না বললে তো ছবি দিতই না। দশম পর্বের পর থেকে………
ওর ছবি দুটা দেখে তো আমি হা করে তাকিয়ে আছি। ছবিতে ওকে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। এমনিতেই আমার crush। ছবি দেখে আবারও crush খেলাম। ইচ্ছে করতেছে এখনি propose করি।
[ ঈতিশা আর আমার মধ্যে Facebook এ কথোপকথন।]
আমি: wow. এতো সুন্দর হলে কীভাবে?
ঈতিশা: আরে, আমি সুন্দর হই নাই। আগে যেমন ছিলাম এখনো তেমনি আছি। অনেক দিন পর দেখতেছো তাই এরকম মনে হচ্ছে।
আমি: ওও…. তবু ও তো সুন্দর।
ঈতিশা: তাছাড়া এই ছবি গুলো মেক আপ করে তুলেছিলাম।
আমি: মেকআপ করা হোক আর ময়দা মাকাই হোক দেখতে তো সুন্দর লাগছে। এটাই হলো বড় কথা।
ঈতিশা: না। সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হচ্ছে তুমি মেকআপ কে ময়দার সাথে তুলনা করলে কেন?
আমি: যাক বাবা!! আমি আবার কখন বললাম। আর মেকআপ কে ময়দার সাথে তুলনা করি নাই। আসলে আমি বলতে চাইছি যে মেকআপ আর ময়দার মাঝে কোন পার্থক্য নাই।
ঈতিশা: কীভাবে? ময়দা আর মেকআপ কি এক হয় নাকি?
আমি: হয়। ময়দা ও দেখতে সাদা মেকআপ ও দেখতে সাদা। মুখে ময়দা মাখলে যেমন মানুষ কে চেনা যায় না তেমনি মেকআপ মাখলেও মানুষকে চেনা যায় না।
ঈতিশা: তাহলে আমাকে চিনলে কি করে?
আমি: প্রথমে তো চিনি নাই। পরে ধরে নিলাম তুমিই হবে যেহেতু ছবি টা তুমিই দিয়েছো।
ঈতিশা: ওও…. তাই বুঝি।
আমি: হুম।
ঈতিশা: মেকআপ করা মেয়ে তোমার পছন্দ না?
আমি: মেয়েদের কে সাজলে সুন্দর লাগে তবে অতিরিক্ত মেকআপ করা মেয়েদের ভালো লাগে না।
ঈতিশা: হা হা হা….
আমি: হাসছো কেন?
ঈতিশা: একটা কথা ভেবে।
আমি: কি কথা?
ঈতিশা: তোমার বউ যদি এমন হয় তখন কেমন হবে। (একটা vedio পাঠিয়ে দিয়ে বলল।)
আমি: এই না। আমার বউ কখনো এমন হবে না।
ঈতিশা: হবে হবে। এরকমি হবে যে সারাদিন মেকআপ করবে।
আমি: আমার বউ যদি ওরকম হয় তাহলে তোমার কপালে ও একটা টাকলা আর ইয়া বড় ভুঁড়ি ওয়ালা বর জুটবে।
ঈতিশা: ছি! না! এরকম হতেই পারে না। বিয়ে করার আগে বর কে আগে ভালোভাবে দেখব তারপর যদি আমার পছন্দ হয় তবেই বিয়েতে রাজি হবো। না হলে বিয়ে করব না।
আমি: তাই! যদি বর handsome দেখায় বিয়ে ঠিক করে পরে বিয়ের সময় পর পাল্টায় ভুঁড়ি ওয়ালা বুরো কাকুর সাথে বিয়ে দেয় তখন?
ঈতিশা: আমি কবুল বলার আগে আর চোখে বর কে দেখব তারপর কবুল বলব।
আমি: বুদ্ধি আছে। বলতেই হবে।
ঈতিশা: হুম। দেখতে হবে না, মেয়েটা কে? আচ্ছা bye. অনেক সময় ধরে কথা বললাম।
আমি: হুম। Bye.
এভাবেই রোজ ঈতিশা এর সাথে কথা হয় Facebook এ। মজাও হয় বেশ সময়টাও দারুন কাটে। এক ঘন্টা সময় কে পাঁচ মিনিট মনে হয়। Facebook এ কথা হয় তবে মোবাইল নাম্বার টা এখনো নিতে পারি নাই। ওর সাথে বন্ধুত্ব টা খুব ভালোই জমছে। কালকেই মোবাইল নাম্বার টা চাব দেখি কি বলে?
আরে! আপনারা এখনো আছেন? আমি তো ভাবছি চলেই গেছেন। আমি তো ঈতিশার সাথে মজা করতে গিয়ে ভুলেই গিয়েছিলাম যে আপনারাও আমার সাথে আছেন। আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ সম্পুর্ন সময় জুড়ে আমার সাথে থাকার জন্য। যারা পুর্বের পর্ব গুলো পড়তে চান, তারা grathor.com এ গিয়ে ” তুমি কি সত্যি আমার!!” সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।
পরবর্তী পর্ব পড়তে চাইলে আমার সাথেই থাকুন। আমি আছি grathor.com এর সাথে। আমার সব গল্প grathor.com এ পেয়ে যাবেন। আপনাদেরকে আবারো অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শিঘ্রই পরবর্তী পর্ব আসছে।