আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজকে ” তুমি কি সত্যি আমার ” গল্পের পঞ্চম পর্ব দেওয়া হবে। ” তুমি কি সত্যি আমার ” গল্পটি রূহান নামক একটি কলেজ ছাত্রের প্রেমের কাহিনী নিয়ে লেখা। এই গল্পের সম্পুর্ন ঘটনা বাস্তবতার সাথে মিল আছে। চলুন শুরু করা যাক।
চতুর্থ পর্বের পর থেকে….. ঈতিশা সহ একসাথে ক্লাসে গেলাম। ঈতিশা সবসময় প্রথম বেঞ্চে বসে। আজ ও তার ব্যাতিক্রম হলো না। আমি পাশের সারির দ্বিতীয় বেঞ্চে বসলাম। ক্লাস করতে করতে হঠাৎ আমার চোখ টা পড়ল ঈতিশার বাম গালের ঐ তিলটার উপর। আমি তিলটার দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম। ঈতিশাকে নিয়ে বেড়াতে গেছি । দুজনে বসে গল্প করতেছি। আমি ওর গালের তিলটায় আলতো ছোঁয়া লাগাচ্ছি। এমন সময় আমার পাশে বসে থাকা আমার সহপাঠী তাসকিন আমার মাথায় একটা আলতো বারি দিল। হঠাৎ মাথায় বারি খেয়ে হতভম্ব হয়ে গেলাম। তাসকিন এর দিকে তাকিয়ে দেখি আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমার আর বুঝতে বাকি রইল না যে আমি কি করছিলাম। আমি ঈতিশা মনে করে ভাবনার মধ্যে তাসকিনের গালে হাত দিয়ে ফেলেছি।
তাসকিন : কী হইচ্ছে যে তোর? আগে তো কখনো এরকম করিস নাই।
আমি: নারে… কিছু না। আসলে ক্লাস ভাল লাগছে না। তাই তোর সাথে একটু মজা করলাম।
তাসকিন : ক্লাস করতে ভালো লাগছে না তোর! (খুব অবাক হয়ে বলল) আচ্ছা, সত্যি কথা বলতো, কি হয়েছে তোর?
আমি : আরে কিছু না। কাল রাতে না আমার ভালো ঘুম হয় নাই। ক্লাসে একটু ঘুম ধরেছিল তাই আর কি… ( কথাটা বলে আমার আসল ঘটনা এড়িয়ে গেলাম)
তাসকিন কিছুই বুঝতে পারল না। এভাবেই চলতে লাগল। ঈতিশা প্রতিদিন আমাকে কাতুকুতুর ভয় দেখায় আর প্রচন্ড হাসতে থাকে। আমিও ওর সাথে তাল মিলিয়ে হাসতে থাকি। তাছাড়া সিঁড়ি বেয়ে উঠার সময় ঈতিশা মাঝে মাঝে আমার পিছন থেকে ব্যাগ ধরে নিচের দিকে টানে নয়ত বাগ ধরে থাকে। আমি ওকে টেনে নিয়ে উপরে উঠি। এভাবেই ঈতিশা আমার সাথে মজা করত। ওর মজা গুলো আমার খুব ভালো লাগত। আসল কথা ওর মজার মাধ্যমে ওর কাছাকাছি থাকতাম। তাই আরো বেশি ভালো লাগত। ধীরে ধীরে ওর প্রতি দুর্বলতা আরো বৃদ্ধি পেয়ে গেল। কিন্তূ, এই কথাটা কাউকেই বলি নাই, বুঝতেও দেই নাই। নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছি।
হঠাৎ বেশ কয়েক দিন ঈতিশা কলেজে আসল না। আমি খুব চিন্তিত হলাম। ঈতিশা কখনই কলেজে অনুপস্থিত থাকে না। একদিন দুদিন হলে মেনে নেয়া যেত। এক সপ্তাহ ধরে কলেজে আসছে না। কি এমন হলো যার জন্য এতদিন কলেজে আসতেছে না। ওর মোবাইল নাম্বার ও আমার কাছে নাই যে ওকে ফোন করে জেনে নিব ওর কি হয়েছে। মোবাইল নাম্বার নাই বললে ভুল হবে, কখনো মোবাইল নাম্বার চাওয়ার সাহস হয় নাই। আমার ভয় হত মোবাইল নাম্বার চাইলে যদি বুঝতে পারে আমি কি চাই। যদি আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। অবশেষে………
গল্প টা সম্পুর্ন পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমার গল্প ভালো লাগলে বলবেন। তাহলে আমি গল্প লিখতে উৎসাহিত হবে। আপনাদের অনুপ্রেরণায় এগিয়ে যেতে চাই।