হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সবাই ভালো আছেন তো ? আশা করি আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন । আমিও বেশ ভালো আছি । আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই করি সব সময় । আজ আমি টিপস এন্ড ট্রিকস সংক্রান্ত নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
আশা করছি grathor.com এর সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ যারা নিয়মিত পোষ্ট পড়ে থাকে তাদের কিছুটা হলেও এই আর্টিকেলটি পড়ে নিজেদের উপকারে আসবে।
বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লোমনাশক ক্রিম পাওয়া যায়। তবে যার মধ্যে অনেকগুলো ব্র্যান্ডই ব্যয়বহুল। তাও কিছু কিছু ব্র্যান্ডের লোমনাশক ক্রিম রয়েছে যেগুলো ব্যবহারে আপনার ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই আপনি যদি নিজের ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন না হতে চান, তাহলে চেষ্টা করবেন যত সম্ভব সঠিক ব্র্যান্ডের ক্রিম ব্যবহার করার। তবে আপনি যদি ঘরোয়া উপায় লোমনাশক ক্রিম তৈরি করে নিজের ত্বকে ব্যবহার করেন, তাহলে কোনো ক্ষতির মুকে আপনাকে পড়তে হবে না।
এক্ষত্রে একদিকে যেমন এটি আপনার ত্বকের জন্য নিরাপদ, অন্যদিকে অনেক সাশ্রয়ীও বটে। কেননা বর্তমান সময়ে যেখানে একটি লোমনাশক ক্রিমের মূল্য তাও কমপক্ষে ২০০–৩০০ টাকা, সেখানে আপনি ঘরোয়া উপায়ে লোমনাশক ক্রিম বানাতে আপনার খরচ হবে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা। কারণ ঘরোয়া উপায়ে লোমনাশক ক্রিম বানাতে কেবল মাত্র ৩ টি উপাদনের প্রয়োজন হবে।
যেমন—
১. এক কাপ চিনি,
২. মধু এক কাপ এবং
৩. আধা কাপ লেবুর রস।
তবে চলুন জেনে নেয়া যাক, কিভাবে এই তিনটি উপাদন দিয়েই কিন্তু কেবল ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করেই তৈরি করে নিতে পারেন বাজারের লোমনাশক ক্রিম।
ঘরোয়া উপায়ে লোমনাশক ক্রিম
ঘরোয়া উপায়ে লোমনাশক ক্রিম তৈরি করতে উপরের তিনটি উপাদান বাজার থেকে আপনি কিনে আনার আগে চিনি যেন মিহিদানা যুক্ত এবং লেবু যেন পাতিলেবু হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
এবার গ্যাস চুলা অন করে তার উপর একটা প্যান বা কড়াই রাখুন। প্যানে এক কাপ পরিমান পানি দিয়ে পানিটি গরম করতে থাকুন। তবে বেশি আঁচে আবার না, পানি হালকা গরম হয়ে গেলে তারপর পানিতে ধীরে ধীরে চিনি ও মধু ঢালতে থাকুন। একটা হাতা দিয়ে চিনি এবং মধুর মিশ্রন করতে থাকুন। এভাবে ফুটাতে ফুটাতে যখন এটা একটা ঘন আঠালো কাই এর মতো ধারণ করবে, তখন সেই আধা কাপ লেবুর রস এতে ভালোভাবে মিশিয়ে নাড়তে হবে। নাড়া হয়ে গেলে চুনা বন্ধ করে কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিন। অথবা আপনি চাইনে প্যান বা কড়াইটি চুলা থেকে নামিয়েও রাখতে পারেন। তারপর যখন এটি ঠান্ডা হয়ে গেল, তাহলে বুঝবেন আপনার লোমনাশক ক্রিম তৈরি হয়ে গেল। এখন শুধু আপনি এই ক্রিমটি কোনো কৌটায় ভরে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। তাহলে এর স্থায়ীত্ব বেশিদিন থাকবে।
কিন্তু আপনার ক্রিম তৈরি হয়ে যাওয়ার পর এটি সাধারণ লোমনাশক ক্রমির মতো নিজের ত্বকে ব্যবহার করবেন না। ত্বকে ব্যবহার করার আগে কিভাবে এই ঘরোয়া লোমনাশক ক।রিম ব্যবহার করবেন, তার ব্যবহার বিধি সংক্ষেপে জেনে নিন। কেননা সাধারণত আমরা যেই লোমনাশক ক্রিমগুলো বাজার থেকে কিনে থাকি, সেগুলো এমনি সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করি।
কিন্তু ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করা এই ক্রিম ব্যবহারের স্থানে আগে যে কোনো বেবি পাউডার বা কর্নস্টার্চের পাউডার লাগিয়ে নিবেন। এতে চামড়ার উপরের তেল ও ময়লা অপসারিত হয় আর ক্রিমটি ভালো কাজ করে থাকে। এবার পাউডার লাগানোর পরে এই ক্রিমটি ভালোমতো লাগিয়ে রাখুন ১–২ মিনিট আর অপেক্ষা করুন। তারপর এটি পরিষ্কার কাপড় বা টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। ব্যাস, আপনি পেয়ে যাচ্ছেন লোমহীন মসৃণ ত্বক কেবল মাত্র ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করেই। কাজের এবার থেকে এই উপায়টি অবশ্যই অবলম্বন করবেন।
তো আজকে এ পর্যন্তই। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করুন। সামনে নতুন এক টপিক নিয়ে যেন আবার আপনাদের সামনে ফিরে আসতে পারি তার জন্য দোয়া রাখবেন।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন।