গরমের দিনে বাইরে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলে যাবেন না। নাহলে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ত্বক। আমরা অনেকেই সানস্ক্রিন সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখি না। তাই ব্যবহার ও করি না। কিন্তু আমাদের ত্বক কে রক্ষা করতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । তাই যদি দীর্ঘ সময়ের জন্যে বাইরে থাকতে হয় তাহলে সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। এতে আপনার ত্বক ‘ইউভি-এ’ এবং ‘ইউভি-বি’ নামক ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষিত থাকবে।
সানস্ক্রিন ব্যবহারের ফলে ত্বকে অকালে বয়সের ছাপ পড়া থেকে রক্ষা পায়, ত্বক উজ্জ্বল থাকতে সাহায্য করে,সান ট্যান থেকে রক্ষা করে। আসুন দেখে নেই এর কিছু উপকারিতা-
* অতিরিক্ত রোদে পুড়ে ত্বকে দ্রুত বয়সের ছাপ পরতে থাকে। এজন্যে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
*ইউভি-এ এবং ইউভি-বি রশ্মির প্রভাবে ত্বকে্র প্রতিরক্ষা স্তর ক্ষতগ্রস্ত হয়। সানস্ক্রিন ব্যবহার করার মাধ্যমে এই ক্ষতি থেকে ত্বক কে সুরক্ষা দেয়া যায় ।
*তীব্র রোদে পুড়ে ত্বকে সান বার্ন, সান ট্যান ইত্যাদি নানান সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা থেকে সুরক্ষা দেয় সানস্ক্রিন।
* ত্বক কে ধুলা বালি থেকে রক্ষা করে।
সানস্ক্রিন সাধারণত ২-৩ ঘণ্টা পরপর লাগাতে হয়। বাজারে অনেক ব্র্যান্ড এর সানস্ক্রিন পাওয়া যায়।অবশ্যই এর উপাদান ও মেয়াদ দেখে কিনতে হবে। লক্ষ্য রাখবেন আপনার সানস্ক্রিনে যেন টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইড এবং জিঙ্ক অক্সাইড থাকে। আমাদের দেশের আবহাওয়া অনুযায়ী এসপিএফ-৪০ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
আপনার ত্বক এর ধরণ অনুযায়ী সানস্ক্রিন কিনতে হবে। তৈলাক্ত ত্বক হলে জেল বেসড সানস্ক্রিন কিনতে পারেন। আর যদি শুস্ক ত্বক হয় তাহলে ময়েসচারাইজার বেসড সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে শীতকালে ও কি সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে ? উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ। কারন শীতকালে রোদের দেখা না মিললেও ইউভি-এ এবং ইউভি-বি রশ্মি ঠিকই ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
নিজের যত্ন নিন। ভালো থাকুন।