ইংরেজগণ এই উপমহাদেশের একজন অকৃতজ্ঞ জাতিকে অগ্রসর
হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আর অপর একটি কৃতজ্ঞ জাতি
পশ্চাৎপদ করে রেখেছিল; কিন্তু এর ফল যা হয়েছিল তা দেখে পরবর্তী
কালে এই ইংরেজগণ শত আফসোস আর দুঃখ করেছে।এক উচ্চ পর্যায়ের ইংরেজ হাকিম গােরক্ষপুরে সফরে গিয়েছিলেন ।
সেখানকার জমিদারের মানোরের কাছে এ প্রসঙ্গে তিনি দুঃখ করে একটি
ঘটনা বলেছিলেন। ঘটনাটি হলাে নিম্নরূপঃ
নির্জন কক্ষে এক দরবেশ বাস করতেন। সেই কক্ষে এক ইঁদুর এসে
বাচ্চা প্রসব করলো। পরে দরবেশকে দেখতে পেয়ে সব কয়টি পালিয়ে
গেল। কিন্তু একটি ইদুরের বাচ্চা রয়ে গেল। বুযুর্গের দয়া হলো। তিনি
বাচ্চাটিকে দুধ ইত্যাদি পান করাতে লাগলেন। একদিন দেখলেন বাচ্চাটি
মন ভার করে বসে আছে। তিনি তার দুঃখের কারণ জিজ্ঞাসা করলেন!
বাচ্চা বললাে “আজ একটা বিরাট ইঁদুর আমাকে ধাওয়া করেছিল,
আজ কোন রকমে প্রাণ বাড়িয়েছি; কিন্তু একদিন সে আমার উপর জয়ী
হবে এবং আমার প্রাণ বধ করবে। তাই আমার দুঃখ।”
বুযুর্গ বললেন, “তাহলে আমি এখন তাের জন্যে কী করতে পারি?
সে বললাে, “আমাকে বিড়াল বানিয়ে নিন ।
বুযুর্গ তখন আল্লাহ পাকের দরবারে দোয়া করলেন এবং তার শরীরে
হাত বুলালেন সঙ্গে সঙ্গে সে একটি বিরালে পরিণত হয়ে গেল।
কয়েকদিন পর দরবেশ দেখলেন বিড়ালটি বিমর্ষ মনে বসে আছে।
তিনি আবার তার দুঃখের কারণ জিজ্ঞাসা করলেন।
বিড়াল বললো, “আজ মহল্লার গলিতে পিয়েছিলাম। এক কুকুর
আমাকে তাড়া করেছিল। বড় কষ্ট করে প্রাণ বাঁচিয়ে এসেছি। কিন্তু এভাবে
কতদিন প্রাণ বাঁচাতে পারবাে; তাই ‘আনি চিন্তিত
দরবেশ বন্দলোন তাহলে তুই এখন চাস?”
বিড়াল বললাে আমাকে কুকুর বানিয়ে
বুযুর্গ আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন এবং বিড়ালের গায়ে হাত বাড়ালেন আর সাথে সাথে কুকুর হয়ে গেলো
পাচ সাত দিন পর দেখলেন কুকুরটি বিষন্ন মনে বসে আছে। তিনি
কুকুর বললো, “আজ আমি জঙ্গলে গিয়েছিলাম সেথানে একটি
নেকড়ে আমার উপর হামলা করেছিল।”বুযুর্গ বললেন, তাহলে তুই এখন কী চাস?”
সে বললাে, “আমাকে নেকড়ে বানিয়ে দিন।”
বুযুর্গ দোয়া করে তার উপরে হাত বুলালেন । আর অমনি কুকুরটি
নেকড়ে হয়ে গেল।
কয়েক দিন পর দেখলেন আবার সে মন জ্বরিাপ করে বসে মাছ।
বুযুর্গ জিঞ্জাসা কললেন, “মন, খাৱাপ হওয়ার কারণ কী
সে বললাে, “আমি জঙ্গলে গিয়েছিলাম সেখানে একটি বাঘ আমাকে।
ফেড়ে খাওয়ার জন্যে তাড়া করেছিল।”
বুযুর্গ বললেন, “এখন তবে তুই কী চাস?”
সে বললাে “আমাকে বা বানিয়ে দিন।*
দরবেশ আল্লাহর দরবারে দোয়া করে তার পায়ে হাত বুলালেন তখন
সে একটি বাঘ হয়ে গেল। বাধ্য হয়ে সে মনের আনন্দে জঙ্গলে গেল।
জঙ্গলে যেতেই আগের সেই বাঘটি তাকে দেখে বলে উঠলো “আরে
বহুরূপী! খুব রূপ দলিয়েছি বটে, কিন্তু তার মধ্যে মার আমার মধ্যে
এখনও পার্থক্য রয়েছে। তুই হলি মানুষের তৈরী বাঘ, আর আমি হলাম
আল্লাহর তৈরী বাঘ। (দৱৰেশের তাছাররুমের মধ্য্যেমে তৈরী বাঘ আর
আল্লাহর তৈরী আসল বাঘের ক্ষমতা এখনই পরীক্ষা হবে। হাকীকত
এখনই খুলে যাবে দাঁড়া!”
এই কথা শুনে সে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বললাে, “তাহলে আমার।
প্রাণে বাঁচার কি কোন পথ নাই
বাঘ বললাে, “একটি মাত্র পথ আছে। আগে তুই তাকে খতম করে
আয় যে খোদার উপর খেলকারী করেছে, তােকে ইদুর থেকে বাঘ।
বানিয়েছে। আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে যে হস্তক্ষেপ করেছে তাকে খতম করলেই
তােকে ছাড়বাে।”
সে চললাে। জঙ্গল থেকে দরবেশের কামৱায় এসে উপস্থিত হলাে।
বুযুর্গ দেখলেন সে নখ বাহির করে থাবা প্রস্তুত করে সামনে এসে ঘড় ঘড়
ভালোবাসার আরেক নাম,কষ্ট
ভালোবাসা,,, আপনি কী জানেন ভালো বেশে যারা বিয়ে করে তাদের মধ্যে ৮৫% সুখী হয়না। রাস্তায় যেদিন দেখা হয় একদেখাতে প্রেমে...