মধু প্রকৃতির দেওয়া এমনই একটা উপহার যেটা মানুষকে সাহায্য করে নানা প্রকার রোগ থেকে বাচতে, নিজের সৌন্দর্য দীর্ঘদিন ধরে রাখতে, শরীরের মেধ কমাতে, সুসাস্থের অধীকারী হতে।
মধু এর গুন এবং সাদের জন্য সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত। প্রাচীন কালে এবং বর্তমানে ও চিকিৎসা শাস্ত্রে বিভিন্ন রোগ সারাতে ও ম মধুর ব্যাবহার লক্ষনীয়। তাই মধুকে বলা হয় প্রকৃতির দেওয়া আর্শীবাদ। তাই আজ মধুর গুনের কিছু সামান্য কথা আলোচনা করা হলো।
১) বিভিন্ন রোন প্রতিরোধ করেঃ মধু মানুষের বিভিন্ন রোগ প্রতি রোধ করতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন রোগ কমাতে ও সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে মধু খাওয়ার ফলে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মধুতে আছে রোগ প্রতিরোধের গুন। এর ফলে মধু মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মধু বিভিন্ন ঠান্ডার রোগ সারাতে সাহায্য করে করে সর্দী, কাশি ইত্যাদি । প্রতিদিন মধু খাওয়া মাধ্যমে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। এর মাধ্যমে আমার সহজে রোগআক্রান্ত হই না।
এছারাও মধুতে প্রাকৃতিক আন্টিবাইটিক থাকে যা মানুষকে বিভিন্ন
রোগ সারাতে সাহায্য করে।
২) শরীরের মেধ কমায়ঃ মানুষের শরীরে অনেক রোগ আছে অতিরিক্ত মেধ থেকে।
মধু প্রাকৃতিক ভাবে শরীরের ওজন কমায়।
এর জন্য প্রতিদি সকাকে উঠে এক গ্লাস পানির সাথে একটা লেবুর অর্ধেক এবং এক চামচ মধু মিসিয়ে খেলে মেধ কমে।এছাড়াও প্রতিদিন রাতের বেলা ঘুমের আগে এক চামচ মধু খেলে অনেকটাই মেধ কমে।
৩)নিজের সৌন্দর্য দীর্ঘ দিন ধরে রাখার জন্যঃ এখন প্রতিটি মানুষ নিজেকে সুন্দর রাখতে পছন্দ করে। কিন্তু মানুষের সৌন্দর্য চিরস্থায়ী নয়। তা সর্তে ও প্রতিদিন এক চামচ মধু খাওয়ার মাধ্যমে
মানুষ অনেক দিন নিজের যৌবন ধরে রাখতে পারবে। এছাড়া ও মধু মানুষের তকের উজ্জ্বল বৃদ্ধি করে।
এর জন্য মধু এবং দুধ এক সাথে মিসিয়ে তকে লাগাতে হবে।
রোদে পোড়া ভাব দূর করতে ও মধু অনেক কার্য কর। এর জন্য মধুর সাথে ঘৃতকুমারীর রস মিসিয়ে তকে লাগাতে হবে এবং ১ ঘন্টা পরে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এর ছাড়াও তকের রুক্ষতা দূর করতে মধুর ভূমিকা অনেক। এর জন্য কয়েক এক চামচ মধুর সাথে
গ্লিসারিন ভালো করে মিশিয়ে
তকে লাগতে হবে
শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে।
মধু প্রতিদিন এক চামচ নিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়।
৪)চুলের যত্নেঃ
মধু শুধু তকের জন্যই উপকারী না
চুলের রুক্ষতা দূর করতে ও মধু অনেক উপকার করে। এর জন্য মধুর সাথে
টক দই মিশিয়ে লাগাতে হবে এবং ১ঘন্টা লাগতে হবে তার পর ভালো ভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এছাড়া ও পেয়াজের রসের সাথে মধু এবং ঘৃতকুমারী রেখে মিশিয়ে লাগাতে হবে এবং ১ ঘন্টা রেখে ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলেই হবে।
এছাড়াও মধু, পাকা কলা, এবং মেথি মিশিয়ে লাগালে চুলের আগাফাটা দূর ও কমে।
৫)সু সাস্থ পেতে সাহায্য করেঃ মধু মানুষে সু সাস্থের অধিকারী করে। প্রতিদিন দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে সুস্যাস্থের অধিকারী হওয়া সম্ভাব।
এই ছিল মধু নিয়ে আজকের কিন্তু টিপস আশা করি এ গুলো সবার ভালো লাগবে।