আধুনিক যুগকে বলা হয় বিজ্ঞান এর যুগ।এর অন্যতম কারণ বিজ্ঞানের অভাবনীয় সাফল্য ও আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে এর নিবিড় সম্পর্ক।জীবন-যাপনের প্রতিটি ক্ষেএে নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে বিজ্ঞান আমাদের দোরগোড়ায় এসে হাজির হয়েছে। এসকল আবিষ্কার মানুষের জীবনে এনেছে গতিময়তা,পৃথিবীকে এনেছে হাতের মুঠোয়।বিজ্ঞান সভ্যতার অগ্রযাএাকে এগিয়ে এনেছে।
বিজ্ঞান মানুষের সনাতন ধ্যান -ধারনা ও চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন ঘটিয়ে মানুষের জীবনকে উন্নতি করেছে এক নতুন উচ্চতায়। টমাস আলভা এডিসন আবিষ্কার করেছেন টেলিভিশন।বিজ্ঞানের আশ্চর্য সব আবিষ্কার মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে দিয়েছে অনাবিল সুখ।
১৪৪০ সালে জন গুটারবার্গ সর্বপ্রথম ছাপাখানা আবিষ্কার করেন।প্রাথমিক পর্যায়ে এর গঠন আজকের মতো ছিল না।এশিয়াতে প্রথম ছাপাখানার ব্যবহার হয় চীনে।
বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলোর মধ্য অত্যন্ত গুরুতপূর্ন আবিষ্কার হলো বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ ছাড়া ইলেকট্রনিক সকল আবিষ্কার বিফলে পরিণত হত।কে প্রথম বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেছেন তা সঠিকভাবে বলা দুরূহ।খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ সাল থেকে শুরু করে ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন গবেষনার ফলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আজকের দিনে এত উন্নত হয়েছে।
যোগাযোগ মাধ্যমের মূল আবিষ্কারগুলো হলো টেলিগ্রাফ, টেলিফোন, রেডিও ও টেলিভিশন। ১৮৩৬ সালে স্যামুয়েল মোর্সের টেলিগ্রাফ আবিষ্কারের পর থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসে অনন্য পরিবর্তন। এরপর টেলিফোন আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষ অন্য একজন মানুষের প্রকৃত কণ্ঠস্বর বহুদূরে বসেও শুনতে সক্ষম হয়। ফলে কমে যায় মানুষের মধ্যবর্তী দূরত্ব।সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন বাজারে আসে ১৯৮৩ সালে।
যুগে যুগে যেসব বিখ্যাত আবিষ্কার মানুষের জীবনকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে তার মধ্য কম্পিউটার অন্যতম।কম্পিউটার বিজ্ঞানকে প্রায়শই অ্যালগারিদমীয় পদ্ধতি একটি বিধিবদ্ধ অধ্যয়ন হিসেবে অভিহিত করা হয়, যে পদ্ধতির সাহায্যে তথ্য সৃষ্ট, বর্ণিত ও পরিবর্তিত হয়। কম্পিউটার বিজ্ঞানের অনেক উপশাখা আছে। কিছু শাখা, যেমন কম্পিউটার গ্রাফিসকেে ফর্লাফল গণনাটাই মূল লক্ষ্য। আবার কিছু শাখা, যেমন গননামূলক জটিলতা বিভিন্ন গণনা সমস্যার বৈশিষ্ট্যসমূহ বিশ্লেষণ করাই আলোচ্য। এছাড়াও কিছু শাখা আছে যেখানে বিভিন্ন ভৌত ব্যবস্থায় গণনা বাস্তবায়ন করার পদ্ধতি সমূহ আলোচিত হয়; যেমন প্রোগ্রামিং ভাষা তত্ত্বে একটি গণনামূলক পদ্ধতিকে কীভাবে কম্পিউটারের ভাষায় প্রকাশ করা যায় তা আলোচনা করা হয়।
১৯০৩ সালের ১৭ই ডিসেম্বর অরভিল এবং উইলভার রাইট মানুষের উড়ে বেরানোর সম্ভাব্যতা নিয়ে পরীক্ষা চালান। অবশেষে রাইট এর চেষ্টায় ১৯১১ সালে এরোপ্লেন আবিষ্কৃত হয়।বর্তমানে সারা পৃথিবীতে অসংখ্য যাএী বিমানে যাতায়াত করে।
বিনোদন জগতে বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ন আবিষ্কার টেলিভিশন। সর্বপ্রথম টেলিভিশন এর আবিষ্কার হয় ১৯৫৮ সালে।
বর্তমানে যেকোনো কাজে আমরা ইন্টারনেট এর সাহায্য নিয়ে থাকি।আমাদের সবার কাছেও ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ শব্দটি খুব পরিচিত।১৯৯০ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী টিম বারনারস লি এটি আবিষ্কার করেন।
বিজ্ঞানের কল্যান আমাদের জীবনে ব্যপক। জীবনযাত্রার সকল দিকের স্বাচ্ছন্দ্য বিধানে বিজ্ঞান আজ নিয়োজিত। দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত বিজ্ঞানের নানাবিধ আবিষ্কার ও উপকরণ নিয়ে আমাদের চলতে হয়। মানুষের জীবনে তাই বিজ্ঞানের সার্থক ও ইতিবাচক প্রয়োগ ঘটাতে হবে। বিজ্ঞানের আলোকে মানবজীবন আলোকিত করতে হবে। বিজ্ঞানের অপব্যবহার রোধে সকল মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।