আশা করি সবাই ভালো আছেন, সবাইকে সালাম জানিয়ে শুরু করছি: নতুন বাসার অলৌকিক ঘটনা ৩
রহস্য নিয়ে ভাববো না রিয়াকে নিয়ে ভাববো বুঝতে ছিলাম না!! আসলে স্কুল জীবন এ কোনো মেয়ে কে ভালো লাগেনি, আমার ভালো লাগা প্রথম মেয়ে হলো রিয়া। টাই ওর প্রতি আমি একটু বেশিই দুর্বল ছিলাম।
কিন্তু আসল ঘটনাটা কি বুঝতে পারছিলাম না, কেনো ওই জিনিস আমার সামনে আসে, আর কিইই বা ওই জিনিস টা। কিছুই মাথায় আসছিলো না।
পরদিন সকালে, রাফি বাসায় আসলো, সাথে ওর বোন।
রিয়া: ভাইয়া কেমন আছেন এখন?
আমি: হুম, ভালো।
রিয়া: শুনলাম আপনার নাকি জ্বর আসছে খুব?
আমি:কই না তো।
রিয়া: মিথ্যা বলবেন না আমার সাথে,(রাগ দেখিয়ে)
আমি: না মানে, ইয়ে আর কি!!!
রিয়া: মানে মানে করবেন না,, আপনার কিছু হলে আমার ভালো লাগে না,, আপনি আপনার যত্ন নিবেন ভাইয়া কেমন,
আমি: জী, আচ্ছা।
আমার তো খুব খুশি খুশি লাগছিলো। রিয়া আমার খোঁজ খবর নিচ্ছে, আমার মন আজ অনেক ভালো।
রাফি আমার রুমে ঢুকলো, রিয়াকে বললো বাইরে যেতে, রিয়া বাইরে চলে গেলো।
রাফি: আমাকে সত্যি করে একটা কথার জবাব দে।
আমি: কি কথা?
রাফি: কালকে কি হয়েছিল? তুই কি দেখেছিস কালকে?
আমি: কই ‘ কিছুই না তো।
রাফি: সত্যি কথা বল রূপক।
আমি: সত্যিই তো বলছি, মাথা ঘুরে গেছিলো, টাই আর কি।
রাফি: আমি জানি তুই ভয় পেয়েছিস।
আমি: আরে না, কিযে বলিস তুই
রাফি: ভাই লজ্জা পাওয়ার কিছুই নেই, জায়গা টা এমনিতেও ভালো না, মানুষ দিনের বেলাতেও সাহস করে না এদিকে যাওয়ার।
আমি: কেন? সমস্যা কি গেলে
রাফি: আমি যায়নি কখনো, তবে বাবা বলেছে তার এক পরিচিত মানুষ নাকি একদিন এই জঙ্গলের ভিতরে গিয়ে অনেক কিছু দেখছে, অনেক ভয় পাইছে।
আমি: আরে যত্তসব বানানো কাহিনী, এগুলো শুনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই
রাফি: হতে পারে, কিন্ত কেমন জানি গা ছমছম করে এদিকে আসলে।
আমি: আমরা আসার আগেও আসতি এখানে?
রাফি: মাঝে মাঝে কিছু বন্ধু-বান্ধব নিয়ে খেলতে আসতাম, তখনই গা ছমছম করতো
আমি: বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হয়ে তুই এসব ভুতুড়ে কথা বলস!
রাফি: ভাই বিজ্ঞান বিজ্ঞানের জায়গায়, আর ভূত বা অশরীরীকে বিজ্ঞান দিয়ে বিচার করা যায় না।
এমন সময় রিয়া আবার আমাদের কাছে এলো,(হাতে চায়ের থালা)
রিয়া: আন্টি চা দিয়ে পাঠালো
আমি: রাখো, তুমি খাইছো?
রিয়া: না, মানে পরে খাবো নে,
রাফি: রিয়া তুই বাইরে যা, আমাদের কিছু কথা আছে
রিয়া: আচ্ছা
আমি: রিয়া বসো তো, তোমার ভাইয়ের কথা মানেই এখন ভূত
রাফি: বেপার টা কিন্তু মজার না, ভেবে দেখতো, আমি না আসলে তখন কি হতো তোর,,
আমি: কি আর হতো, হয়তো মরে যেতাম (হাসতে হাসতে)
রিয়া:(রাগী ভাবে) ভাইয়া মরার কোথায় আর বলবেন না,,,,
রাফি: আহা!!!! রূপকের জন্য কি টান তোর,,, আর আমি যে তোর আপন ভাই,,,,, আমার জন্য তো এত ভালোবাসা দেখি নি তোর মনে,,,, কাহিনী কি রিয়া!!!!!
রিয়া: কিছুই না, তুই বেশি কথা বলস,, আর কিছু না,,,
আমি আর কি বলবো হাসতে হাসতে শেষ,,, ওদের ভাই বোনের কথা শুনে,,,
আমি: হইসে, আর ঝগড়া করতে হবে না,,,
রিয়া মনে হয় একটু লজ্জা পেয়েছে, তাই উঠে আম্মুর কাছে চলে গেলো,,,
রাফি: আমার বোনটা খুব লজ্জা পায়,,, বেশি মানুষের সাথে মিশতে চায় না,,, পরিবারের মানুষ ছাড়া তুইই প্রথম মানুষ যার সাথে ও এত কথা বলল,,,
আমি: হুম, বুঝলাম
রাফি: রিয়া আসাতে আমাদের কথা কিন্তু শেষ হলো না,,
আমি: ওইযে ভুতের কথা,,, বাদ দে ভাই,,
রাফি: তুই সত্যি টা বললেই তো হয়,,,,
আমি: হইসে তুই থাক তোর ভূত নিয়ে আমি একটু রান্নাঘর থেকে ঘুরে আসি,, দেখি কি খাওয়াবে আজকে মা,,,,
আমি উঠে দরজা পর্যন্ত যেতেই রাফি বললো,,,,
রাফি: তাইলে কি তুই কালকে ওই সোনালি বর্ণের মানুষের অবয়ব টাকে দেখিস নাই?………..
আমি সাথে সাথে ওর দিকে ফিরে তাকালাম, আর বিস্ময়ের দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম….
আসছে: নতুন বাসার অলৌকিক ঘটনা ৪…