Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

নবজাতকের খিচুনি চিকিৎসা, কেন শিশুদের খিঁচুনি হয়

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। আজকের বিষয়ঃ নবজাতকের খিচুনি চিকিৎসা, কেন শিশুদের খিঁচুনি হয় । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

নবজাতকের খিচুনি চিকিৎসা

শিশুদের অনেক সময় খিঁচুনি রোগে আক্রান্ত হতে দেখা দেয়। উচ্চমাত্রার জ্বর হলে বা মাথায় কোন ধরনের সমস্যা থাকলে বা মাথার আঘাতে শিশুর খিঁচুনি হতে পারে। খিঁচুনি হলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজকর্মে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ফলে শিশু জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে।

যখন খিঁচুনি হয় তখন অনেক শিশু জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, অনেকের চোখ পিটপিট করে বা একদৃষ্টিতে এক দিকে তাকিয়ে থাকি, অনেক সময় চোখের পাতা উল্টে যায়, সারা শরীর কেঁপে ওঠে বিশেষ করে হাত-পা কাঁপতে থাকে, মাঝে মাঝে অত্যাধিক খিঁচুনিতে প্রস্রাব পায়খানার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।

শিশুর খিঁচুনি হলে করণীয়-

খিঁচুনি সময় যদি বাচ্চার শরীর গরম থাকে তাহলে শরীর থেকে কাপড় চোপড় খুলে ফেলা উচিত এবং পানি দিয়ে শরীর মুছে ফেলা যেতে পারে তবে কিছুটা সময় কোন ভাবেই গোসল করানো যাবে না। এ সময় শিশুকে শান্ত রাখার চেষ্টা করা উচিত। খিঁচুনির সময় যাতে আশেপাশের মানুষ বেশি গন্ডগোল না করে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

খিঁচুনির সময় শিশুকে কোন কিছু খাওয়ানো উচিত নয় বা কোন ঔষধও দেওয়া উচিত নয়। শিশুকে একপাশে কাত করে শুইয়ে রাখা উচিত বা উপুড় করে রাখা যায়। উপুড় করে রাখলে মুখ থেকে সহজেই লালা বেরিয়ে যায় ফলে আস্তে আস্তে খিঁচুনি কম হয়।
কিছু নিতে যদি বাচ্চা কাঁপতে থাকে তাহলে কাপা থামানোর জন্য বাচ্চাকে জোর করে ধরে রাখা যাবেনা।

খিঁচুনি কতক্ষণ স্থায়ী হয় বা কত সময় ধরে খিঁচুনি হচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, দীর্ঘক্ষন খিঁচুনি চলতে থাকলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে ডাক্তারের পরামর্শমতো চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। খিচুনির পর বাচ্চাকে পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে।

কেন শিশুদের খিঁচুনি হয় / নবজাতকের খিচুনি চিকিৎসা

পরিবারের কারো যদি খিচুনি রোগ থেকে থাকে, তাহলে বংশানুক্রমিকভাবে তারা পরবর্তী বংশধর এর ভিতরেও ছড়িয়ে পড়ে।
গর্ভকালীন নানা জটিলতার কারণে শিশুর কিডনির সমস্যা হতে পারে।

যেমন- গর্ভকালীন সময় যদি মাথায় কোন ধরনের আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাহলে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সেটা প্রকট আকার ধারণ করে এবং খিঁচুনি হয়। শিশুর জন্মের পর যদি জন্ডিসের মাত্রা বেড়ে যায়, তাহলে সেখান থেকে খিঁচুনি হয়। শিশুর জন্মের সময় শ্বাসনালীতে কোন ধরনের সমস্যা হলে খিঁচুনি হতে পারে।

জ্বর, সর্দি-কাশি, ঠান্ডা সময় শিশুর খিঁচুনি বেড়ে যেতে পারে। তাই এ সময় শিশুর স্পেশাল কেয়ার নিতে হবে। যেসব শিশুর খিঁচুনি সমস্যা রয়েছে তাদেরকে আগুন এবং পানি থেকে দূরে রাখতে হবে। যেহেতু গর্ভকালীন নানা জটিলতার কারণে শিশুর খিঁচুনি হয়ে থাকে, তাই গর্ভাবস্থায় মাকে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত এবং এ সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। খিঁচুনির পর যদি বাচ্চার জ্ঞান না ফিরে আসে তাহলে অবশ্যই হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে।

পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts

12 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No