Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

নবজাতকের পাতলা পায়খানা হলে করণীয়

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। আজকের বিষয়ঃ নবজাতকের পাতলা পায়খানা হলে করণীয় । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

শিশুর পাতলা পায়খানা যাতে না হয় তার জন্য কি করবেন?

শিশুর পাতলা পায়খানা যাতে না হয় এ কারণে সবাইকে ভালো মতো হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। শিশুর ও শিশুর মায়ের নিয়মিত নখ কাটা, প্রতিদিন গোসল এবং বাচ্চাকে দুধ দেয়ার আগে স্তন ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে । জন্মের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়ানোই উত্তম। কারণ বুকের দুধ জীবাণুমুক্ত এবং শিশুদের বিভিন্ন রোগ থেকে প্রতিরোধ করে থাকে।

শিশু যখন অসুস্থ হয় তখন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন এন্টিবায়োটিক বা যেকোনো ধরনের ঔষধ সেবন করাবেন না। প্রতিটি বাড়িতেই জীবাণু যাতে না ছড়ায় এ কারণে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নির্মাণ করতে হবে এবং বাড়ির ছোট-বড় সবাইকে সেখানে মলত্যাগ করতে হবে। শিশুদের পায়খানা করার পর অবশ্যই শিশুর শরীর স্যাভলন দিয়ে এবং সাবান দিয়ে ভালোমতো ধৌত করাতে হবে। শিশুকে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন তাহলে দেখবেন শিশুর পাতলা পায়খানা থেকে এবং বিভিন্ন অসুখ থেকে রক্ষা করতে পারবেন।

নবজাতকের পাতলা পায়খানা হলে করণীয়

একটি শিশু যখন পাতলা পায়খানা হলে শিশুটি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হলে শিশুর শরীরে পানিশূন্যতা হয়ে যায়। শিশুটি খুব খিটখিটে এবং অস্থির হয়ে যায় । এমনকি চোখ গর্তের ভেতর ঢুকে যায় এবং চামড়া কুঁচকে যায়। শিশুর পাতলা পায়খানা হওয়ার পর জ্বরও আসলে পারে।

শিশুর ডাইরিয়া হলে যা করনীয় নিচে কিছু পদ্ধতি শেয়ার করা হলোঃ

(০১) শিশুর পাতলা পায়খানা নিরাময়ে খাবার স্যালাইন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনি চাইলে আপনি বাসায় এটা তৈরি করতে পারেন। সেজন্য এক লিটার পানি ভালো করে ফুটাতে হবে এবং সেটা ঠান্ডার জন্য রাখতে হবে। তারপর ৬ চা-চামচ চিনি ও হাফ চা-চামচ লবণ দিয়ে মিক্সিং করতে হবে। সম্পন্ন মিশে যাওয়ার পরে শিশুকে খাওয়ান। এছাড়াও অনেক ওষুধের দোকান থেকে শিশুর জন্য খাবার স্যালাইন সংগ্রহ করতে পারবেন।

(০২) আপনি শিশুকে ডাবের জল খাওয়াতে পারেন। বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে ডাবে। আপনার শিশুকে পাতলা পায়খানা থেকে মুক্তি দিতে পারে এই পানীয়। সাধারণত ডাবের পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া পানি শূন্যতা পূরণ করতে অনেকটাই সাহায্য করে।

(০৩) শিশুর যখন পাতলা পায়খানা হয় তখন শরীরে পটাশিয়াম হারিয়ে ফেলে। এজন্য তাঁকে কলা খাওয়ানো অনেক ভালো। কারণ কলাতে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম , ভিটামিন-এ ছাড়াও অনেক পুষ্টিগুণ। তাই কলা বাচ্চাকে শরীর শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করবে।

(০৪) আপনার শিশুর যখন পাতলা পায়খানা হয়, তখন তাকে আপেল খাওয়াতে পারেন। আপেলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। আপেল আপনার শিশুকে খাওয়ালে আপনার শিশুর মলকে শক্ত করতে সাহায্য করবে। আপনি আপনার বাচ্চার জন্য আপেল সুন্দর করে ধুয়ে আপেলের রস খাওয়াতে পারেন। এটি আপনার শিশুর দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করবে।

(০৫) শিশুর পাতলা পায়খানা নিরাময়ে জিংক ট্যাবলেট অনেকটাই পাতলা পায়খানা কমাতে সাহায্য করে। যদি পেটে অস্বস্তি বোধ করে শিশুর জন্য প্যারাসিটামল খাওয়ানো যেতে পারে। তবে যে ওষুধ সেবন করাবেন, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করাতে হবে।

পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts

7 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No